জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট পাওয়ার ঝামেলার দিন শেষ, এই দিন লঞ্চ হচ্ছে নতুন সাইট

নিজস্ব প্রতিবেদন : জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট অর্থাৎ শংসাপত্র পাওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষকে বহু ক্ষেত্রেই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। হাসপাতালে শিশু জন্মগ্রহণ করার পর সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য ছুটে যেতে হয় মিউনিসিপালিটি অথবা পঞ্চায়েত অফিসে। এর পাশাপাশি মৃত্যু সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক সময় ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে এবার এই সকল ঝামেলার দিন শেষ।

জন্ম ও মৃত্যু সার্টিফিকেট প্রদান এবং ঝামেলা থেকে রাজ্যের বাসিন্দা তাদের মুক্ত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রশাসনিক স্তরে সংস্কার করা হয়েছে। এই সংস্কারের ফলে পরিষেবায় স্বচ্ছতা আসবে। রাজ্যের তৈরি নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে এবার এই জন্ম ও মৃত্যু সার্টিফিকেট বিলি করা সম্ভব হবে এবং সেই তথ্য অতি সহজে আগের মতই কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সিভিল রেজিস্ট্রি সিস্টেম’-এ নথিভূক্ত হবে।

নতুন এই ওয়েবসাইট লঞ্চ হতে পারে আগামী ৫ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। এর উদ্বোধন করতে পারেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ও মাতৃসদনকে। এর পাশাপাশি যুক্ত করা হয়েছে সব পুরসভা, পঞ্চায়েত ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে থাকা ‘স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি’।

এর পাশাপাশি যাতে এই জন্য অথবা মৃত্যু সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র কোনোভাবেই জাল করা সম্ভব না হয় তার জন্য স্বাক্ষরকারী সাব-রেজিস্ট্রারের ডিজিটাল সিগনেচার নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কোনভাবেই সার্টিফিকেট জাল করা সম্ভব হবে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য এবার থেকে আর পঞ্চায়েত অথবা মিউনিসিপ্যালিটির দৌড় গোড়ায় দৌড়াতে হবে না। অনলাইনে এই সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে।

এর পাশাপাশি নতুন এই ওয়েবসাইট সংক্রান্ত বিষয়ে অথবা অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হলে নাগরিকরা ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২ নম্বরে ফোন করে নিজেদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।