Rail Station Name: কিছু কিছু রেল স্টেশনের নামের পিছনে লেখা থাকে P. H.! এর অর্থ কী!

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Why at the end of the station name written on the station board is P.H. is written: কম খরচায় দূরবর্তী স্থানে রিলাক্সে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো রেল মাধ্যম। কাজের সূত্রে গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার অন্যতম পথ হিসেবে সাধারণ মানুষ বেছে নেয় এই ট্রেন পথকেই। বিভিন্ন জায়গার সাথে সংযুক্ত রয়েছে এই ট্রেন পথ। প্রত্যেক জায়গাতেই রয়েছে স্টেশন (Rail Station Name)। অনেক স্টেশনের বোর্ডে স্টেশনের নামের পিছনে অনেক কিছুই লেখা থাকে সেন্ট্রাল, টার্মিনাল বা রোড।

Advertisements

তবে কখনো কি লক্ষ্য করে দেখেছেন কোনো কোনো স্টেশনের স্টেশন বোর্ডে স্টেশনের নামের পিছনে P.H. লেখা থাকে কেন? এই নামের পিছনে P.H. লেখার মানে কি জানা আছে আপনাদের? জানা নেই না? এই পি.এইচ-এর রয়েছে আকর্ষণীয় তথ্য। যা আজকের এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক স্টেশনের নামের (Rail Station Name) পিছনে এই পি.এইচ কেন লেখা থাকে। এই পি.এইচ-এর মানে কি?

Advertisements

স্টেশনের নামের (Rail Station name) পিছনে লেখা P.H. এর সম্পূর্ণ নাম হলো ‘প্যাসেঞ্জার হল্ট’। এই নামের অর্থ হলো ওই স্টেশনে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন থামবে। অর্থাৎ যেসব স্টেশনের বোর্ডের নামের পিছনে পি.এইচ লেখা থাকে সেই সব স্টেশনে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেনই থামবে। এই ‘প্যাসেঞ্জার হল্ট’ স্টেশনগুলি হল ডি ক্লাস স্টেশন। এই স্টেশনগুলি অন্যান্য স্টেশনের থেকে একটু আলাদা। এই স্টেশনগুলিতে ট্রেন থামার কোনো সিগন্যাল থাকে না। এমনকি রেলওয়ে কর্তৃক কোনো আধিকারিক বা কর্মচারী নিয়োগ করা হয় না এই স্টেশনগুলিতে।

Advertisements

তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে কর্মচারী না থাকায় স্টেশনের টিকিট কাটা হয় কিভাবে? তবে এই বিষয়ে জানা গিয়েছে এই ধরনের স্টেশনগুলিতে টিকিট বিক্রি করার জন্য একজন স্থানীয় ব্যক্তিকে কর্মী হিসেবে রাখা হয়। তবে সেই ব্যক্তিকে চুক্তি বা কমিশনের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়।

অন্যদিকে এও প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই স্টেশনগুলিতে সিগন্যাল থাকে না তাহলে ট্রেন থামে কি করে? এই বিষয়ে জানা গিয়েছে লোকো পাইলটরা তাদের বিবেচনার ভিত্তিতে এই ধরনের স্টেশনগুলিতে ট্রেন থামান। তবে ট্রেন চালকরা এই ডি ক্লাস স্টেশনগুলিতে প্রায় ২ মিনিটের জন্য ট্রেন থামানোর নির্দেশ পান। প্রসঙ্গত, এই স্টেশনগুলি থেকে সেরকম লাভ না পাওয়ায় বিলুপ্তির পথে এই ডি ক্লাস স্টেশনগুলি। তবে জনগণের দাবিতে রেল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হচ্ছে এই স্টেশনগুলি চালু রাখতে। অন্যদিকে, যেসব ডি ক্লাস স্টেশনগুলি বন্ধ হয়ে গেছে সেই স্টেশনগুলিও আবার চালু করা হচ্ছে।

Advertisements