Lightning Strike on Train: যদি চলন্ত ট্রেনের উপর বজ্রপাত হয়, তাহলে যা ঘটবে

What will happen if there is a lightning strike on the train: ভারতের গণপরিবহনগুলির মধ্যে সবথেকে বৃহত্তম হলো ভারতীয় রেল। সূত্র মারফত জানা গেছে যে, প্রতি বছর ১৩,৫২৩টি ট্রেন চলে এই দেশে। ভারতীয় রেলের ট্রেন যাত্রা বাতিল হয়েছে এমনটা কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শোনা যায়না। যেকোনো রকম আবহাওয়াতে ট্রেন যাত্রা অব্যাহত থাকে প্রতিদিন। দেরি করে ছাড়লেও আজ পর্যন্ত যাত্রীদের ট্রেনযাত্রা ব্যাহত হয়নি কখনো। কিন্তু ট্রেনের ওপর বজ্রপাত হওয়ার (Lightning Strike on Train) ঘটনা সেভাবে একটা শোনা যায়নি আজ পর্যন্ত। বিস্তারিত জানতে অবশ্যই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়তে হবে।

অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার থেকে ভারতীয় রেল অনেক বেশি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। যাত্রীরা ট্রেনের আরামদায়ক জার্নি অনেক বেশি পছন্দ করে। আবার সাধারণ মধ্যবিত্তের কাছে স্বল্প খরচে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার মতো সুবিধা একমাত্র ট্রেন যাত্রাতেই মেলে। একটা বিষয় আশা করি সবাই লক্ষ্য করেছেন যে, ঝড়, জল, দুর্যোগে নানা জায়গা থেকে দুর্ঘটনার খবর মেলে। আবার বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতের কারণে প্রাণহানির খবরও পাওয়া যায়। বজ্রপাতের বিকট শব্দে বহু মানুষেরই মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু চলন্ত ট্রেনে কখনো বজ্রপাত হওয়ার ঘটনা শোনা যায়নি (Lightning Strike on Train)। যদি কখনো এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে কি হবে কখনো ভেবে দেখেছেন?

জানেন কি একটি ট্রেন তৈরি হয় যথেষ্ট মজবুতভাবে এবং তার পিছনে খরচ হয় কোটি কোটি টাকা। ট্রেনের বাইরের অংশ তৈরি করতে লাগে মজবুত লোহা এবং ইস্পাত আর ভিতরের অংশ তৈরি করতে লাগে কাঠ। এত মজবুতভাবে ট্রেন তৈরি করার ফলে বজ্রপাত (Lightning Strike on Train) হলেও লোহার তৈরি ট্রেনে কোনও প্রভাব পড়ে না। অর্থাৎ বজ্রপাতের সময়ও ট্রেনে বসে থাকা যাত্রীরা সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকেন।

চলন্ত ট্রেনের গতি অনেকটাই বেশি থাকে, তাই ট্রেন থেমে গেলে শুধু ট্রেনের ক্ষতি না যাত্রীদেরও ক্ষতি হবে। তাই ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক না কেন ট্রেন কখনই থামতে পারে না। কিন্তু কোন কারণে যদি ফেল ট্রাকের ক্ষতি হয় তাহলে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।

আরেকটি বিষয় যা আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিত, ট্রেন লোহার তৈরি কিন্তু ট্রেনে আর্থিং ডিভাইস বসিয়েছে ভারতীয় রেল। বজ্রপাতের (Lightning Strike on Train)মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে এই আর্থিং ডিভাইস বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই কখনো যদি ট্রেনে বাজ পড়ে, সেটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত রুট নেয়। প্রথমে বগি থেকে ট্র্যাকে এবং তারপর আর্থিং ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাউন্ডেড হয়, এর ফলে যাত্রীদের কোনরকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না।