Peaceful Countries: প্রকাশিত হল শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকা, কত নম্বরে পাকিস্তান, ভারত আর বাংলাদেশ

What is India’s name in the list of peaceful countries: আপনারা কি জানেন পৃথিবীর শান্তিপূর্ণ দেশগুলির নাম (Peaceful Countries)? যেখানে কোন প্রকার অপরাধ কখনোই হয় না। সম্প্রতি Global Peace Index বা GPI ২০২৩ সালে এই সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে মোট ১৬৩টি দেশের উপর। সমীক্ষার উপর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যাতে রয়েছে ভারতের নাম। এই তালিকায় সবার শীর্ষে নাম রয়েছে আইসল্যান্ডের। এই দেশটি ২০০৮ সাল থেকে বিশ্বের সবথেকে শান্তিপূর্ণ দেশের তকমাটি পেয়ে আসছে। এছাড়া রয়েছে আরও বিভিন্ন দেশ যেমন নিউজিল্যান্ড আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক এবং অস্ট্রিয়া।

জানলে অবাক হবেন যে, আফগানিস্তান চরম অশান্ত দেশ হিসেবে অষ্টম বারের জন্য তালিকার একেবারে শেষে মনোনীত হয়েছে। আফগানিস্তানে ঠিক উপরেই রয়েছে চারটি দেশের নাম সেগুলি হল ইয়েমেন, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও গণতান্ত্রিক-প্রজাতন্ত্র দেশ কঙ্গো। শান্তিপূর্ণ দেশের (Peaceful Countries) তালিকায় ভারতের নাম কত নাম্বারে? ১৬৩ টি দেশের মধ্যে ভারত ১২৬ তম স্থান অধিকার করেছে। ভারতের মধ্যে বিভিন্ন কারণে হিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের আগের থেকে অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। দেশের জনগণের জন্য এটি সত্যি একটি সুসংবাদ।

গত দুই বছরে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে কোন রকম সংঘর্ষে জড়ায়নি ভারত। GPI কিন্তু এই প্রসঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের কথাও উল্লেখ করেছে। কোনরকম সংঘর্ষ বিরতি চুক্তিও লঙ্ঘন করা হয়নি। GPI-র তালিকায় পাকিস্তানের নাম ভারতের থেকে অন্তত ২০ ধাপ নীচে। এছাড়া অবাক করা কাণ্ড হলো, ভারতের (Peaceful Countries) নীচে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৩১ নম্বর স্থান অধিকার করেছে আমেরিকা।

চিন কিন্তু ভারত থেকে অন্তত ৪৬ ধাপ উপরে রয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য (Peaceful Countries)। এই তালিকাতে বেজিংয়ের স্থান হলো ৮০। অন্যদিকে, নেপাল ৭৯ নম্বর স্থান অধিকার করেছে এবং ১০৭ নম্বর স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে ভারতের উপরেও রয়েছে বহু দেশ যেমন জাপান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মত দেশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে ১৬৩টি দেশের মধ্যে। পৃথিবীর ৯৯ শতাংশ মানুষ এখানেই বাস করেন। বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে কিছুটা হলেও অশান্ত এবং সেই কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করেছে GPI। সাধারণত, সামাজিক নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ ও বহির্দেশীয় সংঘর্ষ এবং সেনা শাসনের উপর নির্ভর করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।