Heat Stroke Prevention: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ, শরীর সতেজ রাখতে পান করুন এই ৫ পানীয়

What to do for Prevention of Heat Stroke due to intense heat wave: শীতের আমেজ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে গেছে গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহ। অসহ্য গরমে বাইরে বেরোনো মানুষের পক্ষে একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার ওপরে শুরু হয়েছে ক্রমাগত একটানা হিট স্ট্রোক। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে এবং প্রিয়জনকে বাঁচাবেন (Heat Stroke Prevention) দিনে নিন আজকের প্রতিবেদন থেকেই। ঘুম থেকে উঠেই কোন কাজগুলো করলে আপনি গরম থেকে নিস্তার পাবেন আসুন দেখে নেবেন এক ঝলকে। শরীর এবং মনকে ফুরফুরে রাখার জন্য বিশেষজ্ঞরা কিছু পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

বাইরের তাপমাত্রা এখন ৩৮ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে এবং সপ্তাহান্তে তা আরো বাড়বে নিঃসন্দেহে। মরুভূমির তীব্র গরমের সঙ্গে আর পার্থক্য নেই দক্ষিণবঙ্গের বর্তমান আবহাওয়ার। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হল বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বললেই চলে। ঘরে এবং বাইরে উভয় জায়গাতেই টিকে থাকা এখন দুষ্কর। শীত চলে গিয়ে শহরবাসীকে একেবারে নাজেহাল করে দিয়েছে এই গরম। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে (Heat Stroke Prevention) কি কি পানীয় প্রতিদিন খেতে হবে আসুন জেনে নিই।

ফলের রস

এই গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে (Heat Stroke Prevention) ফলের রস অত্যন্ত উপকারী। মরশুমি ফলের মধ্যে অন্যতম হল তরমুজ, তাই আপনি তরমুজের শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। প্যাকেটের জুস না খেয়ে গোটা ফলের জুস একটু কষ্ট করে তৈরি করে নিন। শরীর অবশ্যই ভালো থাকবে কিন্তু এই রসে চিনি ব্যবহার করবেন না।

লেবুর জল

অসহ্য গরম থেকে শরীরকে বাঁচাতে আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জলে পাতি লেবু চিপে খেয়ে নিন। চরম হিট স্ট্রোকে আপনার শরীরের আর্দ্রতা হারাবে না (Heat Stroke Prevention)। পাশাপাশি আপনার হজমশক্তি বাড়বে এবং ওজনও কমবে। ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ লেবুর জল। আপনার শরীরের ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করবে এই পাতি লেবু।

ছাতুর শরবত

গরমকালের শরীর ঠান্ডা রাখার অন্যতম উপকারী পানীয় হলো ছাতুর শরবত। রোজ সকালে এক গ্লাস ছাতুর শরবত পান করুন। প্রথমে গ্লাসে জল নিন। দু’চামচ ছাতু দিন তাতে এবং লেবু চিপুন। বিট নুন যোগ করুন। স্বাদ বৃদ্ধি করতে লঙ্কা এবং পিঁয়াজ়ও দিতে পারেন।

বাটার মিল্ট

ক্রমাগত হিট স্ট্রোকে যখন গোটা শহরবাসী নাজেহাল নিজের শরীরকে ঠিক রাখার জন্য কি করতে চান আপনি (Heat Stroke Prevention)? সারাটাদিন শরীরটাকে তরতাজা রাখতে সকালেই খেতে পারেন বাটার মিল্ক। নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগতে পারে এই বাটার মিল্ক কি? দুধ থেকে মাখন আলাদা করলে যেটা পরে থাকে সেটাকেই বাটার মিল্ক বলে। ফ্রিজে কিংবা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে পান করুন একগ্লাস।

আরও পড়ুন 👉 Summer Vacation: তীব্র গরমে খুশির খবর, বাংলায় এই দিন থেকেই পড়তে পারে গরমের ছুটি

নারকেলের জল

ঘুম থেকে ওঠার পর না খেয়ে একটু বেলার দিকে অর্থাৎ ১০টা নাগাদ পান করুন ডাবের জল। ডাবের কিংবা নারকেলের জল হল একেবারে ন্যাচারাল হেল্থ ড্রিঙ্ক। শরীরের আর্দ্রতা হারাতে দেয় না এবং শরীরের ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে (Heat Stroke Prevention)। ক্লান্তি দূর করে আপনাকে প্রচুর এনার্জি দেয়।

তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে, গরমে বাইরে থেকে ঘরে এসেই পানীয়র গ্লাসে চুমুক দেবে না অথবা এসি ঘরে ঢুকে যাবেন না। প্রথমে আপনি ১০-১৫ মিনিট পাখার হাওয়ার তলায় থাকুন। না হলে সর্দি-কাশি লেগে যেতে পারে।