লঞ্চ হল ইয়ামাহার নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার, রয়েছে রিমুভেবল ব্যাটারি

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বালানির দাম তাতে অধিকাংশ মানুষের পক্ষে মোটরবাইক ও স্কুটার ইত্যাদি চালানো দুরূহ বিষয় হয়ে পড়ছে। তবে দুরূহ হয়ে দাঁড়ালেও কাজের তাগিদে তা ব্যবহার করতেই হচ্ছে। আবার একইভাবে মাত্রাতিরিক্ত পেট্রোল ডিজেল চালিত যানবাহন চলাচলের কারণে বাড়ছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা।

এমন পরিস্থিতিতে মানুষের ঝোঁক ব্যাটারি চালিত যানবাহন এদিকে বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সংস্থাগুলিও নতুন নতুন ব্যাটারি চালিত যানবাহন তৈরি করছে। ঠিক তেমনই এবার আরও একটি ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করল ইয়ামাহা। এই ইলেকট্রিক স্কুটারটিতে রয়েছে রিমুভেবল ব্যাটারি।

সংস্থার তরফ থেকে লঞ্চ করার এই ইলেকট্রিক স্কুটারের নাম দেওয়া হয়েছে ইয়ামাহা নিও। ফিচার থেকে ডিজাইন সব কিছুতেই এই ইলেকট্রিক স্কুটার অন্যান্য স্কুটারকে পিছনে ফেলে দেবে বলে দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। এই ইলেকট্রিক স্কুটারটিতে বারংবার চার্জ দেওয়ার ঝক্কি নেই। আপাতত এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি লঞ্চ করা হয়েছে ইউরোপের মার্কেটে এবং তা আগামী এপ্রিল মাসেই ভারতের বাজারে লঞ্চ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি ডিসি মোটর যা স্ট্যান্ডার্ড মোডে ২.০৩ কেডব্লু শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম। পাশাপাশি ইকো মোড অন করলে এতে ১.৫৩ কেডব্লু শক্তি উৎপাদন হয়। স্ট্যান্ডার্ড মোড এবং ইকো মোডে এই ইলেকট্রিক স্কুটারের গতিবেগ যথাক্রমে ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং ৩৫ কিলোমিটার।

এই ইলেকট্রিক স্কুটারে রয়েছে রিমুভেবল ব্যাটারি বা ডুয়েল ব্যাটারি সেট আপ। ব্যাটারি চার্জ হতে সময় নেয় ৮ ঘণ্টা। অতিরিক্ত মাইলেজের জন্য দুটি ব্যাটারি ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাওয়ার পর ৩৭.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ২৭ লিটারের আন্ডার সিট স্টোরেজ।

এই ইলেকট্রিক স্কুটারে রয়েছে স্মার্ট কি ও এলসিডি ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। স্মার্টফোনের মাধ্যমে এইগুলি কানেক্ট করা যেতে পারে। ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে দেখা যাবে, ব্যাটারি স্টেটাস, রুট ট্র্যাকিং, কল, মেসেজ অ্যালার্ট ইত্যাদি। ১৩ ইঞ্চির অ্যালয় হুইলস, ডিআরএল সহযোগে এলইডি হেডল্যাম্প এবং ১৩৫ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে এই স্কুটারে। এর ওজন ৯০ কেজি। ইউরোপের বাজারে বর্তমানে এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় মুদ্রায় ২.৫ লক্ষ টাকায়। ভারতের বাজারে লঞ্চ হলে এর দাম কমবে বলে জানা যাচ্ছে।