এখনো রয়ে গেছে ২০০০ টাকার নোট! বদলে ফেলুন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৬ সালের নোট বন্দির পর ফের একবার ২০২৩ সালে নোট বাতিল হয়। যদিও এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) অথবা কেন্দ্র সরকার এবারের এই পদক্ষেপকে নোট বন্দি হিসাবে আখ্যা দিতে চাইছে না। ২০১৬ সালে নোট বন্দি করা হয়েছিল পুরাতন ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোটের। এবার ২০২৩ সালে বাতিল করা হয় গোলাপী ২০০০ টাকার নোট (2000 note)।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ২০০০ টাকার নোট ফেরত দেওয়ার জন্য শেষ সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল অক্টোবর মাসের ৭ তারিখ। ১৯ মে বাজার থেকে এই নোট তুলে নেওয়া হবে এমন ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে দীর্ঘ সময় পেয়েছেন নাগরিকরা তাদের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু এরপরেও যদি কারো কাছে এই ধরনের নোট ভুলবশত থেকে থাকে তাহলে তাও পরিবর্তন করা যাবে। এই পরিবর্তন করা যাবে পোস্ট অফিসের (Post Office) মাধ্যমেই।

২০০০ টাকার নোট বদলানো অথবা জমা দেওয়ার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে দেওয়া অন্তিম সময়সীমার পরও ২০০০ টাকার নোট বদলের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা করা যাবে না। এক্ষেত্রে টাকা জমা করা অথবা বদলানোর জন্য যেতে হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক অফিসে। কিন্তু সবার বাড়ির কাছে তো আর এই ধরনের আঞ্চলিক অফিস নেই! তাই পোস্ট অফিসের (Post Office) মাধ্যমেও বিকল্প পথ বেছে নিয়ে এই কাজটি করা যেতে পারে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার যে অন্তিম সময়সীমা ছিল সেই অন্তিম সময়সীমা অনুযায়ী ৯৭ শতাংশের বেশি নোট জমা পড়েছে। হিসাব অনুযায়ী এখনো বাজারে ৩ শতাংশের কাছাকাছি নোট পড়ে রয়েছে। সুতরাং এখনো যদি আপনার কাছে পুরাতন ২০০০ টাকার নোট থাকে তাহলে তা জমা করার সুযোগ রয়েছে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।

পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ২০০০ টাকার নোট বদলানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে পোস্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনার কাছে থাকা সমস্ত ২০০০ টাকার নোট রেজিস্টার্ড পোস্টের মাধ্যমে আপনার নিকটবর্তী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক অফিসে পাঠিয়ে দিতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক ডিরেক্টর রোহিত পি. জানিয়েছেন, এখনো যদি কেউ এইভাবে তাদের কাছে থাকা দু’হাজার টাকার নোট পাঠিয়ে দেন তাহলে আমরা সেই টাকা সরাসরি ওই গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে দেব। সুতরাং এই পদ্ধতি অবলম্বন করে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা এড়িয়ে জমা করা যেতে পারে বাতিল হওয়া দু’হাজার টাকার নোট।