হঠাৎ বদলে যাবে আকাশ, ভরা শীতে ৫ দিন দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম কয়েকটা দিন শীতের অনুভব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও এই শীতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কাঁটায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে উত্তুরে শীতল হাওয়া। তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। যেখানে গত সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির মধ্যে অধিকাংশ জেলাতেই দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ নেমেছিল ১০ ডিগ্রির নিচে, সেই জায়গায় রবিবার থেকে এসেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ ডিগ্রির কাছাকাছি।

কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ যেখানে ঘোরাফেরা করছিল ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে, সেই তাপমাত্রার পারদ এখন ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ ডিগ্রির কাছাকাছি। মেঘলা আকাশের কারণে এবং উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় তাপমাত্রার পারদের এমন ঊর্ধ্বগামীতা।

এমত অবস্থায় আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, ১১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে এই বৃষ্টি তুলনামূলক বেশি হবে বলেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।

আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও আগামীকাল থেকেই শুরু হবে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং তা চলতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত।

ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাসের জেরে একাধিক সর্তকতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। যেমন মাঠ থেকে আগেই শস্য তুলে নিতে বলা হয়েছে, এখনই কীটনাশক অথবা সার মাঠে যেতে বারণ করা হয়েছে, চাষের জমি থেকে অতিরিক্ত জল বের করে দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।