Tinpahar: ছুটির দিনে সময় কাটিয়ে আসুন বোলপুরে, তবে শান্তিনিকেতন নয়! এবার ঘুরে আসুন তিনপাহাড়

রোজের ব্যস্ততম জীবন থেকেই একটু ছুটির স্বাদ পেলেই ভ্রমণ পিপাসুদের মন আর বাড়িতে টেকে না। মন তখন ছুঁতে চায় নীল সমুদ্র সৈকত অথবা নিরিবিলি পাহাড়ের হিমশীতল কোল। আজ সন্ধান দেবো এমনই এক অজানা জায়গার যার সৌন্দর্যে যে কারোর মন ভালো হতে বাধ্য। রাজ্যের বুকে এমন কিছু জেলা রয়েছে যা বারবার পর্যটকদের টেনে নিয়ে যায় সেখানে। তেমনই এক জেলার নাম হল বীরভূম। বীরভূম এসে প্রাণের রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে পা পড়েনি এমন মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে। কারণ এই বোলপুর শান্তিনিকেতনে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশ থেকে ছুটে আসে বহু পর্যটক।

তবে প্রাণের রবি ঠাকুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য দেখার জায়গা যার মধ্যে বেশ কিছু বছর ধরে জনপ্রিয় হওয়া সোনারঝুরি হাটের নাম বাদ দেওয়া চলে না। সময় যত এগোচ্ছে ততই এই স্থান যেন পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। তাই বাড়তি ভিড়ও নজর কারে। সোনাঝুরি হাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সেখানকার শিল্পীদের হাতে বানানো জিনিসপত্র যে কারোর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য। তাই ব্যবসায়ীরাও দিনে দিনে ফুলে ফেপে উঠছেন।

শান্তিনিকেতনের লাল মাটিতে তো পা পড়েছে বহুবার কিন্তু কোনদিন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা সেখানকার তিনপাহাড় ঘুরে দেখেছেন? অধিকাংশ মানুষই এই জায়গা সম্পর্কে অবগত নয়। বোলপুর শান্তিনিকেতন স্টেশনে নেমে খুব স্বল্প খরচ মাত্র ১০ টাকা হাতে থাকলেই আপনি পাড়ি দিতে পারবেন এই তিনপাহাড়ে। অনেকেই জানেন না বোলপুর শান্তিনিকেতনের মধ্যে এক ঐতিহ্যবাহী জায়গা এই তিনপাহাড় বোলপুর শান্তিনিকেতনে।

আরও পড়ুন: Viral Video: চিতাবাঘদের মুখে জল তুলে দিচ্ছেন এক যুবক! তারপর কী হল জানেন?

তিনটি নুরির ধাপ দিয়ে করা রয়েছে একটি পাহাড় তাই তিনপাহাড় নাম রাখা হয়েছে। একটি বহু পুরোনো বটগাছ রয়েছে যার মধ্যে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গাছটি রোপন করেছিলেন বলে জানা যায়। প্রথম শান্তিনিকেতনে পা রেখে তিনি এই গাছটি রোপন করেছিলেন। বটগাছটি বড় হওয়ার পর রবি ঠাকুর তিনটি নুরি দিয়ে গাছটিকে সুন্দর ভাবে বাঁধিয়ে তোলেন। গাছের নিরিবিলি শান্ত পরিবেশের মাঝে বসে তিনি অসংখ্য কবিতা লিখেছেন।

তবে বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে বোলপুর শান্তিনিকেতনের পথপ্রদর্শকরা এই সব ধারণাকে ভ্রান্ত বলে দাবি করছেন। বিশ্বভারতীর পথপ্রদর্শক এর তরফে জানা গিয়েছে, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন তৈরির সময় সেখানে একটি পুকুর খনন করেছিলেন। এখন যে স্থানে তিনপাহাড় অবস্থিত সেখানে পুকুর ছিল যার নাম ছিল তালপুকুর।

তারপর জলাশয় বুজিয়ে সম্পূর্নটাই মাটি ভর্তি করে দেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপরে ওই স্থানে একটি বটগাছ রোপন করা হয় বর্তমানে যেটির নাম তিনপাহাড়। এই বট গাছের ছবি সহজ পাঠের মলাঠের উপর দেখা যায়। তবে এই স্থানে বসে রবি ঠাকুর কবিতা লিখেছেন এটা ভুল কথা। অনেক পর্যটকেরা বোলপুর এসে এখানে ভুল তথ্য নিয়ে বাড়ি ফেরেন যা একবারেই সত্য নয়।”