Panjhora Bunglow: দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর খুলে গেল পানঝোরা বনবাংলোর দরজা!

রোজের একঘেয়ে জীবন থেকে একটু ছুটি পেলেই মন ছুঁয়ে দেখতে চায় তুলির টানে আকা শান্ত মনোরম পরিবেশকে। আর ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে নতুন নতুন জায়গার সন্ধান পাওয়া যেন হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান। তবে আজ যে জায়গার কথা বলবো তা কিন্তু নতুন বা অজানা জায়গা নয়। বরং দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবারও খুলে গিয়েছে সেই জায়গার দার। গত ২১শে এপ্রিল উৎসাহী পর্যটকদের জন্য খুলে গেল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থানা এলাকায় অবস্থিত পানঝোরা বনবাংলো।

পর্যটকদের শখ আহ্লাদ পূরণ করতে আরও ঢেলে সাজানো হয়েছে গোরুমারার অধীনে অবস্থিত বাংলোটি। বলে রাখা ভাল, পর্যটকরা অনলাইনের মাধ্যমে বুকিংয়ের এর সুবিধা পাবেন। পর্যটকদের থাকার জন্য পানঝোড়ায় চারটি কটেজ রয়েছে। প্রতিটি কটেজ নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কটেজে বিদ্যুতের সংযোগের ব্যবস্থার বদলে সোলার সিস্টেম রাখা হয়েছে। পর্যটকদের দরকারে জেনারেটর এর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘সিভিকরা নিজেদের এইভাবে, ঐভাবে’, বিস্ফোরক দাবি মিনাক্ষী মুখার্জীর

বাংলোটি লাটাগুড়ি থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার ও অন্যদিকে চালসা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। প্রকৃতির সৌন্দর্যের চাদরে মোড়া এই বনবাংলোর পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে অপূর্ব সুন্দর মূর্তি নদী। আর একপাশে চাপড়ামারির জঙ্গল যেন আলিঙ্গন করছে পর্যটকদের। এই পথে অনেক সময় হাতি কিংবা হরিণের দলের দেখা মিলতে পারে। গোরুমারা নর্থ রেঞ্জের রেঞ্জার নীলাদ্রীকিশোর রায় এর তরফে জানা গিয়েছে, ‘বর্তমানে সংস্কারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ২১শে এপ্রিল থেকেই পর্যটকরা থাকতে পারবেন।’

উল্লেখ্য, ডুয়ার্সের এই সবুজে ঘেরা অরণ্যে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে এক সময়ে এই বনবাংলো জনপ্রিয় ছিল। যা কোভিডের সময়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে একাধিক বনবাংলোর দরজা পর্যটকদের জন্য খুলে গেলেও পানঝোরায় কিন্ত তালা ঝুলছিল। অভিযোগ উঠেছিলো ভরা পর্যটকের মরসুমেও এই পানঝোরা খোলা হয়নি। প্রায় চার বছর ধরে এই পর্যটন স্থলে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় যৌথ বন পরিচালন কমিটির দাবিকে মান্যতা দিয়ে বনদপ্তর এর তরফে নতুন রূপে এটির সংস্কারের কাজে হাত লাগানো হয়।

কমিটির সদস্য অমৃত ছেত্রী এর তরফে জানা গিয়েছে, ‘কোভিড কালের পর থেকে এই বনবাংলোর সঙ্গে জড়িত বনবস্তিবাসীদের নাজেহাল হতে হয়। আর্থিক সঙ্কটে জেরবার হয়ে পড়েন তারা। শেষমেশ বনবাংলোর দরজা খোলার পর আমরা কিছু টাকা পয়সা আয় করতে পারবো।’ সম্প্রতি বনবাংলোটির সংস্কারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। তাই ২১শে এপ্রিল থেকেই অনলাইনে বুকিংয়ের মাধ্যমে পর্যটকেরা সেখানে আরামে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন।