নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের বিতর্কিত জমি রামলালার, রায়ে এমনটাই জানিয়ে দেয় শনিবার সুপ্রিম কোর্ট। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের জন্য আলাদা করে ৫ একর জমির ব্যবস্থাও করা হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে তৈরি হবে রাম মন্দির। কিন্তু জানেন এই রাম মন্দির আন্দোলনের প্রথম শহীদ দুই ভাই বাংলার। কলকাতার বড় বাজারের কোঠারি ভাইদের সেই আত্মত্যাগ অনেকেরই অজানা।
১৯৯০ সালের ২রা নভেম্বর, বাবরি মসজিদ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত হনুমান গড়ি মন্দিরের সামনে জড়ো হয় কয়েক হাজার করসেবক। বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম রথযাত্রা আবেদনে সাড়া দিয়ে তারা রাম মন্দির নির্মাণের দাবি জানাতে জড়ো হয়েছিলেন। আর এই করসেবকদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বড়বাজারের রাম ও শরদ কোঠারি। কিন্তু তারপরেই ওই জায়গা ঘিরে ফেলে তৎকালীন মুলায়ম সিং যাদবের সরকারের পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায়, মুলায়ম সিং যাদবের নির্দেশ ছিল যেকোন উপায়ে করসেবকদের আটকাতে হবে। প্রয়োজনে গুলিও চালানোর নির্দেশ ছিল। এদিকে করসেবকরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল বাবরি মসজিদের দিকে। পথ আটকানো হলে ভজন করতে শুরু করছিল তাঁরা। অভিযোগ, জায়গা ছাড়তে না চাইলে পুলিশ তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। সেই ঘটনায় দুই কোঠারি ভাইসহ ১৬ জন করসেবকের মৃত্যু হয়। আর এই করসেবকদের স্মৃতিতে ওই গলির নাম রাখা হয় ‘শহীদ গলি’।
এদিকে আজ অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে গত শুক্রবার থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন করা হয়। প্রশাসনিক নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার সকলকে সর্তকতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।