বীরভূম থেকে গ্রেপ্তার ২ জ*ঙ্গি! জেলায় বসে চালাতেন এই সকল দেশবিরোধী কার্যকলাপ

ভারত পাকিস্তান সরগরম পরিস্থিতির মধ্যেই বীরভূম থেকে ধরা পড়লেন দুই ব্যক্তি। যে দুই ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গী যোগের অভিযোগ রয়েছে। যে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশী জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একেবারে শান্ত সৃষ্ট দুজনকে দেখে কোনভাবেই টের পাওয়া মুশকিল যে এই দুজনই জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন।

রাজ্য স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তৎপরতাই ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার ভোরবেলায় তাদের নলহাটি এবং মুরারই থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয় এবং নিজেদের হেফাজতে নেয় এসটিএফ।

আরও পড়ুন: বীরভূমের যুবকের সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’! তারপর যা ঘটল…

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের মধ্যে একজন হলেন আজমল হোসেন এবং অন্যজন সাহেব আলী খান। আজমলের বাড়ি নলহাটি থানার অন্তর্গত বাণীওর সংলগ্ন চন্ডিপুর গ্রামে। অন্যদিকে সাহেবের বাড়ি মুরারই থানার অন্তর্গত রুদ্রনগর গ্রামে।

জানা যাচ্ছে সাহেব কলকাতার মেটিয়াব্রুজে জামাকাপড় সেলাই এর কাজ করতেন। আর আজমল হাতুড়ে ডাক্তার। শুক্রবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশের জামাতুল মুজাহিদীন বা জেএমবির মতাদর্শ অনুসরণ করে চলছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, অত্যাধুনিক মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং জিহাদি পুস্তিকা প্রচার করার। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে গাজাওয়াতুল হিন্দু জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ সংগ্রহ এবং বিস্ফোরক তৈরীর পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানকে তারা বেছে নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।