এইভাবেও কি কেউ ইতিহাসকে দুমড়ে মুছড়ে ভেঙে দেয়!

এইভাবে কি কেউ ইতিহাসকে ভেঙে দিতে পারে! যেখানে পৌরসভার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে পৌরসভার নিষেধাজ্ঞাকে কোনরকম তোয়াক্কা না করেই দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে ফেলা হলো ইতিহাস। তাহলে কি যারা এমনটা করলেন তাদের হাতে রয়েছে অনেক বেশি ক্ষমতা! এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।

দুমড়ে মুছে ভয়ঙ্কর ভাবে ইতিহাসকে ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের শান্তিনিকেতনে। যেখানে ভেঙে ফেলা হচ্ছে প্রখ্যাত শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি। অবাক লাগছে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত একজন প্রখ্যাত শিল্পীর বাড়ি এইভাবে ভেঙে ফেলা হচ্ছে কেবলমাত্র জমি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্তের কারণেই বলে অভিযোগ।

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো। তিনি বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় আচার্য ছিলেন। তার ছেলে অলকেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন আর সেই বাড়িটিতেই বেশ কিছুদিন ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নমানুসারেই এলাকার নাম হয়েছিল অবনপল্লী। অন্যদিকে যে বাড়িতে কিছুদিনের জন্য হলেও ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির নাম আবাস। এই আওয়াজকেই এখন ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

প্রথম যখন আবাস ভেঙ্গে ফেলার কাজ চালানো শুরু হয় তখন বোলপুর পৌরসভা গেটে তালা মেরে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এবার দেখা গেল পৌরসভার তালা বন্ধ করার থাকলেও ওই বাড়ি কিন্তু ভেঙে ফেলার কাজ চালানো হচ্ছে।