দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পার হঠাৎ চলতে শুরু করায় পথ দুর্ঘটনা! এমন দুর্ঘটনা নেহাৎ কপালে ছিল বলেই মনে করছেন অনেকেই। তবে কি শুধুই কপাল, নাকি এর পিছনে রয়েছে কারো গাফিলতি?
১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সিউড়ির নতুন পল্লী এলাকায় এমন দুর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকালবেলায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে ওই এলাকায় ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পারাপার করছেন দুই ধারের রাজ্য সড়কের পথচারীরা। জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে একের পর এক গাড়ি। আর তাদের সঙ্গেই দাঁড়িয়ে ছিল ঘাতক ডাম্পারটিও।
সবকিছু ঠিকঠাক চলার সময় সমীরণ দলুই নামে এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী দুজনে সাইকেল নিয়ে জাতীয় সড়ক পার করে হুসনাবাদের দিকে যাচ্ছিলেন। আর তখনই ডাম্পারটি চলতে শুরু করে। সমিরন দলুই এর স্ত্রী পালিয়ে গেলেও ডাম্পারের নিচে চলে যান সমিরন।
ঘটনার সময়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা তড়িঘড়ি চিৎকার চেঁচামেচি করে ডাম্পারটিকে থামায় এবং তারপর সমিরন দলুইকে উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন, পরে তাকে বর্ধমান পাঠানো হয়।
আর এমন ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ারের দিকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে আঙ্গুল তুলেছেন। অন্যদিকে ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা শুরু হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এলাকা ফাঁকা করে। পাশাপাশি ঘাতক ডাম্পারের ড্রাইভার ও খালাসিকে মারধর করা হলে তাদেরও সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।