যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশনে রিজার্ভেশন টিকিট কাউন্টার খুললো রেল

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ বিরতির পর ভারতে মে মাসের প্রথম দিন থেকেই প্রথম শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হয়। এরপর চালু হয় ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন। আর এবার ১লা জুন থেকে শুরু হতে চলেছে আরও ১০০ জোড়া বিশেষ প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তবে এই সকল বিশেষ প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে টিকিট কাটার জন্য প্রথম থেকে রেলের তরফ থেকে বলা হয়েছিল টিকিট করা যাবে একমাত্র অনলাইনে আইআরসিটিসির অ্যাপ অথবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। কিন্তু যাত্রীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাদের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজ থেকে খুলল বিশেষ কিছু রেল স্টেশনে টিকিট রিজার্ভেশন কাউন্টার।

তবে শুধু স্টেশনের টিকিট কাউন্টারই নয় পাশাপাশি আইআরসিটিসি অনুমোদিত এজেন্টরাও টিকিট বুক করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। দেশে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই সমস্ত রকম টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে। আর এই দীর্ঘ দিনের পর অবশেষে টিকিট কাউন্টার খোলা ভারতীয় রেল যাত্রী পরিষেবাকে স্বাভাবিক করতে চলেছে তারই নিদর্শন।

টিকিট কাউন্টার খোলার বিষয়ে শুক্রবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ট্যুইট করে জানান, “যাত্রীদের সুবিধার্থে আজ থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন স্টেশনে রিজার্ভেশন টিকিট কাউন্টার খোলা শুরু হলো। আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই সকল স্টেশনগুলিতে রিজার্ভেশন টিকিট বুক করছেন যাত্রীরা।”

রেলমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী আজ থেকে টিকিট কাউন্টার খোলা শুরু হলেও সমস্ত জায়গায় রিজার্ভেশন টিকিট কাউন্টার আজ খোলা হয়নি। সেক্ষেত্রে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রেলের বিভিন্ন জোন পরিস্থিতি ও প্রয়োজনের চাহিদামত কোন স্টেশনে রিজার্ভেশন কাউন্টার খোলা হবে তা সিদ্ধান্ত নেবে। এমনকি কবে থেকে কোন কোন দিন খোলা হবে তাও তারা সিদ্ধান্ত নেবে।

দিন কয়েক আগে থেকেই ভারতে করোনাভাইরাসের আবহেও ভারতীয় রেল স্পেশাল ট্রেন চালানো শুরু করলেও কেবলমাত্র অনলাইনে টিকিট করার সুবিধা রাখাই অনেকেই অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। ভারতের মতো দেশে এখনো পর্যন্ত বহু মানুষই অনলাইন সম্পর্কে ধাতস্থ নন। যে কারণে সেই সকল যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের তরফ থেকে। তবে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট রিজার্ভেশনের ক্ষেত্রেও মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। অবশ্যই বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব আর মুখ ঢাকা রাখা অথবা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।