১লা জুলাই থেকে বদলে যেতে পারে ATM থেকে টাকা তোলার নিয়ম

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও শুরু হয়েছে আর্থিক সংকট। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত রকম সরকারি ও বেসরকারি অফিস। সংক্রমণ এড়াতে বদলে ফেলা হয় ব্যাঙ্ক ও এটিএম থেকে টাকা তোলার অনেক নিয়ম। পরিবর্তিত হওয়া নিয়মের মধ্যে একটি হলো ATM থেকে টাকার তোলার ক্ষেত্রে, যেখানে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া হয় নগদের যোগান বজায় রাখতে। আগে নিয়ম ছিল এটিএম থেকে পাঁচবারের বেশি টাকা তুললে আট থেকে কুড়ি টাকা পর্যন্ত চার্জ কাটার। নির্দিষ্টভাবে কত টাকা কাটা হবে তা নির্ধারণ করা হয় গ্রাহক কত পরিমাণ টাকা তুলছেন তার উপর ভিত্তি করে।

লকডাউনের কারনে পুরো দেশ যখন বিপর্যস্ত। নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেরই যখন সংকটময় অবস্থা, তখন এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলেও যদি চার্জ কাটা হয় তাহলে তা গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে। তাই এই চিন্তার অবসান ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক গত ২৪শে মার্চ এটিএম থেকে টাকা তোলার নিয়মে পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেন।

গত ২৪শে মার্চ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেন, “আগামী তিন মাসের জন্য এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হবে। আগামী তিন মাস এটিএম থেকে গ্রাহকরা যতবার খুশি টাকা তুললেও কোন চার্জ লাগবে না। এছাড়া সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলে চার্জ কাটা হতো। এখন সেটা হবে না। এই সুযোগ-সুবিধা বা ছাড় পাওয়া যাবে আগামী তিন মাসের জন্য। অর্থাৎ এর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী ৩০শে জুন।”

চার্জ মুকুব করার এই মেয়াদ যেহেতু শেষ হতে চলেছে আগামী ৩০শে জুন। অর্থাৎ সরকারি ঘোষণা অনুসারে ৩০শে জুন অবধি এটিএম-এ টাকা তুললে এই ছাড়গুলি পাওয়া যাবে। আর তারপরেই আবার পুরাতন নিয়ম ফিরে আসতে পারে। অর্থাৎ ১লা জুলাই থেকে আবার লাগু হতে পারে নির্দিষ্ট বারের বেশি এটিএম থেকে তুললে আলাদা করে চার্জ করা। কারন এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র অথবা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ লকডাউন চলাকালীন নির্দেশিকায় মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কোনো নতুন নির্দেশিকা জারি করেনি।

তবে এখনো পর্যন্ত মুকুবরের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে নির্দেশিকা জারি না করলেও হাতে এখনও সময় রয়েছে। পুরাতন নিয়ম পুনরায় ফিরে আসবে, না কি সরকারে এই সুবিধার মেয়াদ বাড়াবে, তা মেয়াদ শেষের আগেই ঘোষণা করা হতে পারে। সাধারণ মানুষ থেকে মধ্যবিত্ত সকলেই এখন সরকারের নতুন নির্দেশিকার আশায় বসে আছেন।