সিউড়ির উন্নয়ন হবে কি করে? এখন এই একটি প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। আর এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়ানোর পিছনে যা রয়েছে তা হল শাসকদলের পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং শাসকদলের বিধায়কের লড়াই।
সিউড়ির উন্নয়ন নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই সময় সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় দাবি করছেন, যিনি সিউড়ির বিধায়ক তিনি সিউড়ি পৌরসভার জন্য কিছু করেননি। এখন চাপে পড়ে তিনি একটা ওয়াচ টাওয়ার করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এছাড়াও আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, আর সেই সকল অভিযোগ অন্য কেউ নয় করছেন খোদ তৃণমূলেরই সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ট্যাঙ্কি পাড়ায় ট্যাঙ্কি আছে, জল নেই! প্রদীপের নীচে অন্ধকার সহ্য করতে না পেরে পথ অবরোধ
উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের এমন অভিযোগের দিন কয়েক আগেই সিউড়িতে শুভেন্দু অধিকারী এসেছিলেন এবং তিনি সিউড়ির বিধায়কের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি শাসকদলের সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিধায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষদের মধ্যে নানান প্রশ্ন তুলছে।
তবে সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক দাবি করছেন, সিউড়ির কেন উন্নয়ন হচ্ছে না তা সবাই জানেন। সিউড়ি পৌরসভায় অনেকেই রয়েছেন যারা ভোট এলেই শরীর অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, লাইট থেকে শুরু করে জলের ব্যবস্থা, সব কিছুই তিনি করেছেন সিউড়ির জন্য। বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীর অভিযোগ নাম না করে হলেও মূলত সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই।
সিউড়ি এলাকার উন্নয়ন নিয়ে যখন শাসকদলেরই দুই নেতা একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছেন সেই সময় বিজেপির দাবি, বিধায়ক বালিঘাটে বেনামে ব্যবসা করার জন্য এসেছেন। রাস্তায় রাস্তায় ঝুপড়ি বসিয়ে এই ফ্যান ক্লাব ওই ফ্যান ক্লাব করে শহরটাকে গোজায় পরিণত করছেন। সিউড়ি পৌরসভা যতটা দুর্নীতিগ্রস্ত তার থেকেও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং গোঁজা বিধায়ক।