Tilpara Barrage: তিলপাড়া ব্যারেজে ভাঙন বাড়ছে, সম্পূর্ণ বন্ধ হল যান চলাচল, বাড়ছে দুর্ভোগ

Tilpara Barrage: বীরভূমের গুরুত্বপূর্ণ তিলপাড়া ব্যারেজ ঘিরে পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। কিছুদিন আগেই প্রশাসনের তরফে ভারী যানবাহনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত বাস চলাচল। তবে তখনও ছোট গাড়ি, বাইক ও সাইকেল চলাচল করছিল। আজ থেকে সেই চলাচলেও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রশাসন।

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের জেরে ব্যারেজের নীচের অংশে ভাঙন আরও বেড়েছে। সেতুর মাটির ভিতরকার স্তর সরে গিয়ে ব্যারেজের ফাউন্ডেশন দুর্বল হয়ে পড়েছে। উপরন্তু, ব্যারেজের রেলিং সংলগ্ন জায়গায় নতুন করে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল ও পূর্ত দপ্তরের পরিদর্শনের পরই আজ সকাল থেকে সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ছোট গাড়ি, টোটো, বাইক ও সাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে পুরো ব্যারেজটি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকায় এখনই কোনও যান চলাচল শুরু করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: ৩০ কোটি টাকা! তিলপাড়া ব্যারেজের কাজ! এত টাকা কোথায় গেল প্রশ্ন সাধারণ মানুষদের!

এদিকে এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, দুবরাজপুর সংলগ্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ব্রিজ ব্যবহার করতেন। ব্যারেজ বন্ধ থাকায় তাঁদের বিকল্প রাস্তায় ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে, যার ফলে সময় এবং অর্থ দুই-ই ব্যয় হচ্ছে বেশি। পড়ুয়া, রোগী, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সকলেই চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বহুবার তিলপাড়া ব্যারেজের দুর্বলতা নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনও স্থায়ী মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার অবস্থা এতটাই খারাপ যে সম্পূর্ণ ব্যারেজই কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করে ব্যারেজ সচল করার চেষ্টা চলছে। তবে ততদিন পর্যন্ত বিপজ্জনক সেতুতে কোনওভাবেই যান চলাচল অনুমোদন করা হবে না। তিলপাড়া ব্যারেজ ঘিরে এই সংকট গোটা বীরভূম জেলাতেই প্রভাব ফেলছে। এখন দেখার, কত দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় এবং সাধারণ মানুষ স্বস্তি ফিরে পান।