Ilegal Sand Smuggling: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরও অবাধে বালি লুঠ বীরভূমে!

অবৈধ বালি পাচার ঠেকাতে খোদ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রীতিমতো জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে চলছে অবৈধ বালি পাচার। ঠিক সেই রকমই অবৈধ বালি পাচার হচ্ছে বীরভূমের অজয় নদ থেকে পূর্ব বর্ধমান সহ বিভিন্ন জায়গায়। এমন বালি পাচারের ঘটনা সবাই জানলেও জানে না কেবল প্রশাসন।

জেলার বিভিন্ন জায়গায় থাকা বালুরঘাটের পাশাপাশি বোলপুরের রায়পুর সংলগ্ন অজয় নদে থাকা তিনটি বালিঘাটের কোন বৈধতা নেই। তবে এই সকল বালিঘাটের বৈধতা না থাকলেও পুরুষোত্তমপুর, দক্ষিণ রাধানগর সহ একাধিক জায়গায় রাতের অন্ধকারে ডাম্পার ডাম্পার ভর্তি বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে। এমনকি অনেক ঘাটের বৈধতা না থাকলেও বর্ধমানের চালান দিয়ে বীরভূমের অজয় নদ থেকে বালি লুঠ চলছে বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন: Dubrajpur News: জাল দলিল করে ভাইয়ের জমি হাতানো! প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে দাদার বিরুদ্ধে FIR

নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে বাঁধ নির্মাণ করার পাশাপাশি মেশিন দিয়ে ৩০ ফুট পর্যন্ত গভীর গর্ত করে মোটা বালি তুলে নিয়ে পাচার করছেন বালি পাচারকারীরা। আর এসবের ফলে একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি যাচ্ছে, ঠিক সেই রকমই আবার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এইভাবে নদীতে বালি উত্তোলনের কাজ চললে নদীর গতিপথ এবং অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি হবে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এমন ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ওই এলাকার অজয় নদ সংলগ্ন চাষীদের। এলাকার চাষী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনে অনেক সময় লুকিয়ে লুকিয়ে আর রাতে বালি উত্তোলনের কাজ চালানো হচ্ছে। আর প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানোর পরেও প্রশাসন কোনো রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

নাসিরউদ্দিন খান নামে স্থানীয় চাষী দাবি করেছেন, ডাঙ্গায় তাদের জমি রয়েছে। কিন্তু যেভাবে তারা প্রশাসনিক সমস্ত রকম নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে বালি তুলছে তাতে তাদের জমির অস্তিত্ব নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে। তারা সকালবেলায় এসে এই মেশিন যেন না চালানো হয় তার জন্য প্রতিবাদ করে যান। তবে প্রশাসনকে জানিয়েও প্রশাসন কোনরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে না।