৭ মার্চ মঙ্গলবার ছিল দোল উৎসব। এদিন সাধারণ বাঙালী থেকে তারকা সকলেই মেতে ওঠেন রংয়ের উৎসবে। টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ে (Srabanti Chatterjee) -এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। তিনিও আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো মেতে উঠেছিলেন দোল উৎসবে। তবে তার কাছে এই দিনটি ছিল দোলের আনন্দের থেকেও বিশেষ কিছু। কারণ তার প্রিয় মানুষের জন্মদিন ছিল আজ।
সেই বিশেষ মানুষের বুকে মাথা রেখে ফটো পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। শুধু তাই নয় তাকে দিয়েছেন তার রিয়েল লাইফ হিরোর তকমাও। স্বাভাবিকভাবেই কে সেই পুরুষ তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার কৌতুহল তুঙ্গে। তবে তিনি আর কেউ নন, তিনি শ্রাবন্তীর বাবা গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। তাই তো সকাল সকাল দারুণ খুশি শ্রাবন্তী। দোল এবং বাবার জন্মদিন একই দিনে পড়ায় মন উৎফুল্ল হয়ে রয়েছে তার।
বাবার সঙ্গে দোল খেলে রং মাখা অবস্থাতেই তুলেছেন ফটো। সেই ফটো শ্রাবন্তী পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। ফটোর ক্যাপশনে শ্রাবন্তী লিখেছেন, ”শুভ জন্মদিন আমার হিরো। ভালবাসি তোমায় বাবা”। ছবির কমেন্ট বক্সে নায়িকার বাবাকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন শ্রাবন্তীর অগুনতি অনুরাগীরা। তবে ছবিটি যেহেতু শ্রাবন্তী, তাই সেখানে নেতিবাচক কমেন্ট আসবে না তা তো সম্ভব নয়। প্রচুর শুভেচ্ছার মাঝে উড়ে এসেছে বেশ কিছু নেতিবাচক কমেন্ট। তবে তিনি এখন এসব আর গায়ে মাখেন না।
আসলে শ্রাবন্তী হলেন পরিবারের ছোট মেয়ে। পরিবারের অমতে খুব ছোট বয়সে বিয়ে করে বসেন তিনি। সেই পক্ষেরই সন্তান হল অভিমন্যু। যদিও তার প্রথম বিয়ে মোটেই সুখের হয়নি। ১২ বছর সংসার করার পর ছেদ পড়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে। তার প্রথম স্বামী ছিলেন বাংলার বিখ্যাত চলচিত্র পরিচালক রাজিব কুমার। উল্লেখ্য এই রাজিব কুমারই তাকে প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে পর্দায় এনেছিলেন। পরিবারের আদরের মেয়ে হলেও, বাড়ির অমতে গিয়ে বিয়ে করার শাস্তি তিনি ভালোই পেয়েছিলে। শোনা যায় বিয়ের পর তার বাবা মা তাকে শাস্তি দিতে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এমনিতে শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত জীবনে ঝামেলার শেষ নেই। তার উপর কিছু দিন আগে ছেলে অভিমন্যুকে নিয়েও এক অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্যে জড়িয়ে পড়তে হয়েছিল তাকে। তারা যে আবাসনে থাকেন, সেখানে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান অভিমন্যু। ঝামেলা যখন তুমুল পর্যায়ে সে সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন শ্রাবন্তী নিজেই। শোনা যায় সেখানে উপস্থিত ছিল তার প্রেমিক অভিরুপ নাগ চৌধুরীও। ঝামেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে দুই পক্ষই হাজির হয় আনন্দপুর থানায়। যদিও সেটি সেখানেই মিটে যায়। ঘটনাটি সামনে আসতেই আবারও কুমন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয় অভিনেত্রীকে।