পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে দার্জিলিং বেড়াতে যায়নি, এমন ভ্রমণপ্রেমী প্রায় নেই বললেই চলে। তবে পাহাড়ে গেলে এমন কিছু গল্প রয়েছে যা শুনলে হয়তো শিউড়ে উঠতে পারেন যে কেউ। কার্শিয়াংকে (Kurseong) ঘিরে এমনি নানা অলৌকিক ঘটনার অভাব নেই। শোনা যায় এখানের ‘ডাউ হিল’ (Dow Hill) এবং এবং ‘ডেথ রোডের’ (Death road) ভৌতিক কাহিনী (Ghost)।
দার্জিলিং, কার্শিয়াংয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম এখন বাঙালির অফবিট ডেস্টিনেশন। কিন্তু ডাউ হিলের বিকল্প এখনও পর্যটকেরা খুঁজে পাননি। বরং, ডাউ হিলের গল্পে এখনও শিউরে ওঠেন অনেকে। দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই হিল স্টেশন। ডাউ হিলের কোনও একটি অংশ ভূতুরে নয়। বরং, এই হিল স্টেশনের সম্পূর্ণটাই জুড়ে রয়েছে নানা ভুতুড়ে কাহিনি।
ডাউ হিল হল এমন একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র যেখানে দিন হোক বা রাত, কখনই বন্ধ হয় না ভুতুড়ে ক্রিয়াকলাপ (Paranormal Activities)। এখানে আসা পর্যটকরা শুধু যে এই পাহাড়ি স্থানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন তা নয়, তার সঙ্গে এই ভুতুড়ে স্থানের পিছনে থাকা গল্প শুনতেও তাঁরা আসেন।
কার্শিয়াংয়ের ডাউ হিলের নাম রয়েছে ভারতের ভুতুড়ে জায়গার তালিকায়। এই ডাউ হিলে রয়েছে সুন্দর পাহাড়ি রাস্তা, অর্কিডের বাগান, পাহাড়ের মধ্যে ঘন অরণ্য এবং চা বাগান। অর্কিডের প্রাচুর্যে এই অঞ্চলটিকে ‘ল্যান্ড অব অর্কিডস’ও (Land Of Orchids) বলা হয়। কিন্তু এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটি পরিচিত এর মৃত্যুর রাস্তা, মুণ্ডহীন ভূত, ভুতুড়ে স্কুলের গল্পে এবং অগণিত বাস্তব ভূতও রয়েছে।
ডাউ হিল রোড এবং বনদপ্তরের মধ্যে অবস্থিত ‘মৃত্যুর রাস্তা’ বা ‘ডেথ রোড’ (Death Road)- এ স্থানীয় কাঠুরেরা অনেক বার সাক্ষী হয়েছে মুণ্ডহীন ভূতের। এই রাস্তায় এক নয়, একাধিক বার ঘটেছে এই ঘটনা। অনেকেই কার্শিয়াং-এর এই জঙ্গলের রাস্তার ধারে দেখেছেন এক ধুসর কেশী বৃদ্ধাকে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই বৃদ্ধা কোথায় গিয়েছেন তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে আপনি যদি অফবিট ভালবাসেন এবং ভুতুড়ে গল্পে আগ্রহ থাকে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন কার্শিয়াংয়ের ডাউ হিল।