নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণের (Jibankrishna Saha) বাড়িতে। তার বাড়িতে হানা দেওয়ার পর নাটকীয় মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। নাটকীয় এই মুহূর্ত শুরু হয় মূলত বিধায়ক যখন তার সিজ হওয়া দুটি মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন।
গোটা বাংলা দেখেছে পুকুরে ফেলে দেওয়া বিধায়কের মোবাইল দুটি উদ্ধার করতে কিভাবে মরিয়া ছিল সিবিআই। প্রায় ৭২ ঘন্টার চেষ্টা শেষে সিবিআইয়ের হাতে দুটি মোবাইল আসে। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কেন ওই দুটি মোবাইলের জন্য উঠে পড়ে লাগেন সিবিআই আধিকারিকরা। অবশেষে সেই তথ্য ফাঁস এবং তার সঙ্গে ওই মোবাইলে কি কি রয়েছে তাও জানা গেল।
জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর হেফাজতের মেয়াদ দ্বিতীয়বারের জন্য শেষ হলে তাকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে পেশ করার পাশাপাশি সিবিআই আধিকারিকরা জীবনকৃষ্ণ সাহার ফোনের বিষয়ে আদালতকে জানান, ইতিমধ্যেই জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল থেকে ১০০ টির বেশি অডিও ফাইল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
যদিও উদ্ধার হওয়া এই সকল বিপুল পরিমাণ অডিও ফাইল কল রেকর্ডিং নাকি অন্য কোন ভাবে রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর তা স্পষ্টভাবে আদালতকে জানাননি সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া অডিও ফাইলগুলি পরীক্ষা করার প্রয়োজন আছে। এর পাশাপাশি বিধায়কের কণ্ঠস্বর এবং হাতের লেখা পরীক্ষা করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জীবন কৃষ্ণ সাহা গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই তার একটি কল রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে চাকরি না পাওয়ার জন্য বিধায়ক ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। যদিও আমাদের তরফ থেকে সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি, তবে এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। অন্যদিকে এদিকে সব পক্ষের শুনানি শুনে আদালতের তরফ থেকে আরও পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে।