Anubrata Mondal News: গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং সুকন্যা মন্ডলের (Sukanya Mondal) বিরুদ্ধে দিন কয়েক আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ED)। সেই চার্জশিটে অনুব্রত এবং সুকন্যা ছাড়াও নাম রয়েছে মনিশ কোঠারির (Manish Kothari)। ইডি চার্জশিটে যা উল্লেখ করেছে তা শুনলে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেতে হবে আপনাকেও।
চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, গরু পাচার কাণ্ডের কোটি কোটি টাকা অনুব্রত মণ্ডল হজম করার জন্য বাড়ির চাকর থেকে শুরু করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অ্যাকাউন্টকেও কাজে লাগিয়েছেন। বিভিন্ন জনের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন করা হয়েছে। অনুব্রতর গা-হাত-পা টিপতেন বিজয় রজক, তার নামেও লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে বিজয় রজক এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানতেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।
ইডির দাবি অনুযায়ী গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা যে সকল মানুষদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে হজম করা হয়েছে সেই তালিকায় পরিবারের লোকজন ছাড়াও রয়েছেন তৃণমূল কর্মী, বাড়ির চাকর, রাঁধুনি, বিজয় রজক সহ অনেকেই। অনুব্রতর বাড়ির চাকরের নামে ৭.৭২ কোটি টাকার জমি কেনা হয়েছিল। এককালে অনুব্রতর বাড়িতে চাকরের কাজ করা, যার ঘাড়ে বাড়ির যে হেঁসেলের দায়িত্ব ছিল তার আ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন আধিকারিকরা।
ইডি যে চার্জশিট দিয়েছে তাতে ভোলেব্যোম রাইস মিল, শিবশম্ভু রাইস মিল, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড সার্ভিস লিমিটেডের কথাও উল্লেখ রয়েছে। আধিকারিকদের তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে, এই সকল সংস্থার মধ্য দিয়ে লাভবান হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে এই সকল সংস্থায় ডিরেক্টর পদে রয়েছেন সুকন্যা মন্ডল এবং ভোলেব্যোম রাইস মিলের অংশীদারিত্ব রয়েছে তার নামে।
চার্জশিটে ইডি আধিকারিকরা দাবি করেছেন, অনুব্রত মণ্ডল যে বড় বড় লাভ করতেন তার পুরোটাই জানতেন মনীশ কোঠারি। এমনকি মনীশ কোঠারি অনুব্রত মণ্ডলকে পরামর্শ দিতেন কোন খাতে টাকা খাটিয়ে কালো টাকা সাদা করা যায়।