নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঠাঁই হয়েছে তিহার জেলে (Tihar Jail)। গতবছর রাখি পূর্ণিমার দিন গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই আধিকারিকরা তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দীর্ঘ কয়েক মাস আসানসোলে কাটলেও ইডি আধিকারিকরা তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান দিল্লিতে।
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ মণীশ কোঠারি এবং তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডল। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি এবং কালো টাকা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক সব তথ্য সামনে এসেছে মূলত তার বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে। এই চার্জশিট পেশ করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
চার্জশিটে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা সাদা করেছেন। তার নামে ৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও নিজেদের চাকর, রাঁধুনি, কর্মী সমর্থকদের নামেও কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এসবের মধ্যেই আবার চার্জশিটে দাবী করা হয়েছে, গরু পাচারের পাশাপাশি জেলা পরিষদ থেকেও কাটমানি নিতেন অনুব্রত।
জেলা পরিষদ থেকে কাটমানি নেওয়ার ক্ষেত্রেও নাম যোগ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের। তার মাধ্যমেই টাকা আদান-প্রদান করা হতো বলে দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এক চালকল মালিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের এই কথা জানিয়েছেন।
ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে সরকারি কাজের জন্য টেন্ডারের নামে টাকা তুলতেন সায়গাল হোসেন। অনুব্রত নির্দেশে জেলা পরিষদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শতাংশের ভিত্তিতে এই কাটমানি নেওয়া হতো। একাধিক ঠিকাদার জিজ্ঞাসাবাদে এই সকল কথা জানিয়েছেন।