Central is on the way to demonetisation again: নোট বাতিল (Demonetisation) নিয়ে সাধারণ মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল ২০১৬ সালে। এমনকি প্রাণ পর্যন্ত গেছিল অনেকের। মূলত দুর্নীতি রুখতে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। আবারো কি সেই দিন ফিরে এলো? কি বলছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফের আরো একবার বড় নোট বাতিলের দাবিতে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। দিল্লির উচ্চ ন্যায়ালয়ে ওই মামলা করেছেন আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায় (Ashwini Kumar Upadhyay)।
দেশের দুর্নীতিতে রাশ টানতে তিনি বিভিন্ন প্রস্তাব দেন। তার বিভিন্ন প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে- নগদে ১০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন একেবারে নিষিদ্ধ। যদি ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি হয় সেক্ষেত্রে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ অবশ্যই বাধ্যতামূলক। এইসঙ্গে ১০০ টাকার বেশি অর্থমূল্যের যাবতীয় নোট তুলে নেওয়া (Demonetisation) হবে মার্কেট থেকে।
আইনজীবী অশ্বিনীকুমার আরো আবেদন করেন যে, দুর্নীতি আটকাতে বিমান বা রেল টিকিট, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল কিংবা পুরসভার কর ইত্যাদি ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকার বেশি নগদ লেনদেন নিষিদ্ধ হোক। অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রেও তার এক মত। এইসব দুর্নীতি দেশ থেকে একেবারে নির্মূল হওয়া উচিত। এই কারণেই টাকা তুলে নেওয়ার (Demonetisation) প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিশিষ্ট আইনজীবী অশ্বিনীকুমার আক্ষেপের সুরে বলেন যে, স্বাধীনতার ৫ বছর পরে, একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হওয়ার ৭৩ বছর কেটে গেছে। তবু দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে ঘুষ, কালো টাকা, বেনামি লেনদেন, অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ, কর ফাঁকি, অর্থপাচারের মত অপরাধ নেই। দেশকে সুন্দর ও দুর্নীতিমুক্ত করা এই সরকারের অন্যতম কাজ। কোন কোন নোট বাতিল হবে জানেন কি? ১০০ এর বেশি অর্থমূল্য এর যেকোন নোটের ক্ষেত্রেই বাঁধা অস্তের পারে।
এইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে বদল আনতেই একগুচ্ছ প্রস্তাব করেছেন অশ্বিনীকুমার। তারপর দিল্লির পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে কী ভাবনাচিন্তা করছে, তা স্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছে দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ। চলতি বছরের আগস্টে এই মামলার সম্ভাব্য পরবর্তী শুনানি।