স্কুল পড়ুয়া হয়েও তারা যে এই অল্প বয়সে অসহায় মানুষদের কথা ভাবতে পারে তা সত্যিই অকল্পনীয়। যেখানে প্রাপ্তবয়স্করা বিভিন্ন কারণে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় থাকা অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবো দাঁড়াবো করেও দাঁড়াতে পারেন না, সেই জায়গায় এই সকল স্কুল পড়ুয়াদের এমন কাজ রীতিমত নজির গড়ল বীরভূমে। কেননা বীরভূমের একটি স্কুলের পড়ুয়ারা তাদের স্কুলে আয়োজিত প্রাণের মেলা থেকে যে টাকা লভ্যাংশ হিসেবে পেয়েছে সেই টাকা দিয়ে অসহায় বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়ালো।
সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল এন্ড পাবলিক ইনস্টিটিউশন বিদ্যালয়ে গত ২৯ জানুয়ারি প্রাণের মেলার আয়োজন করা হয়েছিল পড়ুয়াদের নিয়ে। যে মেলায় পড়ুয়ারা নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল দিয়ে দোকান করেছিল। সেই সকল দোকান থেকে যে টাকা লাভ হিসাবে উঠে এসেছিল সেই টাকা দিয়ে খাবারদাবার কিনে তারা কড়িধ্যাতে থাকা ছবিলার স্বপ্নপুরী বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছে যায়। তারপর সেগুলি তারা তাদের হাতে তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: Loknath Baba Quotes: সফলতা হাতের মুঠোয় ধরা দেবে! মনে রাখুন বাবা লোকনাথের এই ১০টি বাণী
স্কুলে আয়োজিত প্রাণের মেলা থেকে পাওয়া লভ্যাংশ থেকে খাবার দাবার দেওয়ার পাশাপাশি তারা আবার নিজেদের বাড়ি থেকে দশ টাকা করে সংগ্রহ করে এবং সেই টাকা দিয়ে ওই সকল বৃদ্ধাদের হাতে নারকেল তেল এবং ডিটারজেন্ট তুলে দেয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবস অর্থাৎ ৮ মার্চ তারা এই প্রশংসনীয় কাজগুলি করে। তাদের এমন কাজ রীতিমত নজির গড়েছে জেলায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক যামিনী কান্ত সাহা জানিয়েছেন, আমরা সবসময়ই এই সকল অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। মূলত পড়ুয়ারা এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। গত কয়েক বছর ধরেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি এই বছরও এমন উদ্যোগ নেওয়া হল এবং আগামী দিনেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ছবিলা অর্থাৎ যার হাতে তৈরি এই বৃদ্ধাশ্রম তিনি তো অল্পবয়সী এই সকল পড়ুয়াদের এমন উদ্যোগ দেখে রীতিমতো আপ্লুত। তিনি জানিয়েছেন, এই অল্প বয়সে তারা যেভাবে আশ্রমের অসহায় বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়ালো তা সম্পর্কে কথাই বলা একপ্রকার অসম্ভব। আগামী দিনে তারা অনেক বড় হোক এটাই কাম্য।