Note Ban History : ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ঘোষণায় বাতিল করেছিলেন ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। পরিস্থিতি সামাল দিতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট। গোলাপি রঙের এই নোট পকেট ভারী করে রাখত অনেকটাই। কিন্তু এই নোট খরচ করতে গিয়ে বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে ক্রেতাদের। ২০১৬ সালে নোট বন্দির ঠিক সাত বছরের মাথায় ফের বাতিল করা হয়েছে নয়া দুই হাজার টাকার নোট।
গত শুক্রবারই দেশের শীর্ষ ব্যাংক, অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে, আর নতুন করে ছাপানো হবেনা দু হাজার টাকার নোট। ব্যাংক থেকেও ২০০০ টাকার নোট দেওয়া হবে না গ্রাহকদের। পরিবর্তে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্রেতাদের কাছে যে সমস্ত দু হাজার টাকার নোট রয়েছে, তা ব্যাঙ্কে জমা করতে বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই নোটবন্দি পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন।
২০১৬ সালে বেশিরভাগ মানুষ প্রথম নোটবন্দি শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে দেশ থেকে বাতিল করা হয়েছিল পাঁচশো এবং হাজার টাকার নোট। রিজার্ভ ব্যাংকের নয়া সিদ্ধান্তকেও ছোট-খাটো নোট বন্দি বলছেন অনেকে। অনেকেই মনে করেন, 2016 সালে দেশে প্রথম ডি-মানিটাইজেশন অর্থাৎ নোট বন্দি হয়েছিল। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়। তাহলে সঠিক তথ্য কোনটা, আসুন জেনে নি।
আরও পড়ুন : ২০০০ টাকার নোট পরিবর্তন করতে কী লাগবে পরিচয়পত্র! জেনে নিন জরুরী ঘোষণা
নোটবন্দির ইতিহাস স্বাধীনতার থেকেও পুরনো। ইতিহাস বলছে স্বাধীনতার আগেও হয়েছিল নোটবন্দী। দেশে প্রথমবার নোটবন্দি হয়েছিল স্বাধীনতার আগের বছর, ১৯৪৬ সালে। সেই সময় দেশে ১০ হাজার টাকার নোটের চলন ছিল। কিন্তু এত বড় অঙ্কের লেনদেন না হওয়ার কারণেই বাজার থেকে ওই নোট প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধু দশ হাজার টাকার নোট নয়, বাতিল করা হয়েছিল ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। বাজারে সে সময় শুধু প্রচলিত ছিল ১০০ টাকার নোট।
৩১ বছর পর ১৯৭৮ সালে ফের নোটবন্দি হয়। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মোরারজি দেশাই। ১৯৭৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ১০০০, ৫০০০ ও ১০,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। সেই সময়ও কালো টাকার ব্যবহার রুখতেই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরপর 2016 সালে কালো টাকার রমরমা রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোটবন্দির ঘোষণা করেন। যার সঙ্গে আমরা ব্যাপকভাবে পরিচিত।