নিজস্ব প্রতিবেদন : একটি রিপোর্ট তলিয়ে দিয়েছিল আদানির সাম্রাজ্যকে। সেই রিপোর্ট সম্পর্কে প্রত্যেকেই ওয়াকিবহাল। যে রিপোর্ট হলো হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট (Hindenburg Research)। তবে সেই রিপোর্টকে পিছনে ফেলে এবার নিজের ছন্দে এগোতে শুরু করেছে গৌতম আদানির (Gautam Adani) আদানি গোষ্ঠী। চার মাস যেতে না যেতেই আগামী গোষ্ঠী নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করল। তাদের এইভাবে ঘুরে দাঁড়ানো একপ্রকার চমক বলা যেতেই পারে।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে আসার পর বিশ্ববাসী দেখেছে কিভাবে আদানি সাম্রাজ্য টলমল করতে শুরু করে। রিপোর্ট সামনে আসার আগে পর্যন্ত গৌতম আদানি বিশ্বের ধনীদের তালিকায় প্রথম সারিতে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু এরপরই যখন তার সম্পত্তি তড়তড়িয়ে কমতে শুরু করে সেই সময় তিনি বিশ্ব ধনী তালিকায় প্রথম ২৫ থেকে ছিটকে যান। তবে এবার নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে গৌতম আদানির।
প্রায় চার মাস পর গৌতম আদানি নতুন করে বিশ্ব ধনী তালিকায় উঠতে শুরু করেছেন। তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করেছে তার সম্পত্তি। মঙ্গলবার এক ধাপেই এই শিল্পপতির সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিশ্ব ধনী তালিকায় প্রথম ২০-তে তিনি উঠে এলেন। এই মুহূর্তে গৌতম আদানি বিশ্ব ধনী তালিকায় ১৮ নম্বর স্থানে রয়েছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গৌতম আদানি নিজের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করে বিশ্ব ধনী তালিকায় ২ নম্বরে উঠে এসেছিলেন। কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন আদানি সেই নিয়েই বিস্ফোরক রিপোর্ট পেশ করেছিল হিন্ডেনবার্গ। চাঞ্চল্যকর এই রিপোর্ট পেশ হওয়ার পরই দেখা যায় বিপুল সম্পত্তি হারাতে শুরু করেন। ২০২৩ সালের শুরু থেকে ৫৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পদ হারিয়েছিলেন আদানি।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সম্পর্কিত যে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট ক্লিনচিট দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্যানেল মনে পড়ছে, শেয়ার মার্কেটকে প্রভাবিত করার জন্য কোনরকম অবৈধ বিনিয়োগ করেনি আদানি গোষ্ঠী। অবৈধ বিনিয়োগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপরই মঙ্গলবার আগামী এন্টারপ্রাইজে ১০ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা করে রাজীব জৈনের সংস্থা।