নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি জমি লিজ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন অনেকেই। শিল্পপতিদের পাশাপাশি ছোট ছোট উদ্যোক্তারাও সরকারি জমি লিজ নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু সরকারি জমি লিজ নেওয়ার ক্ষেত্রে নানান ঝঞ্ঝাট থাকার কারণে অনেকেই এসবের ধারে কাছে যেতে চান না। এই সকল কথা মাথায় রেখে এবার নবান্নের তরফ থেকে সরকারি জমি লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মের সরলীকরণ করা হলো।
রাজ্য সরকারের নতুন এই নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছেন বাণিজ্য মহলের একাংশ। নতুন এই নিয়মের ফলে ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পাবেন লিজগ্রহিতারা এবং তারা সরকারি জমি লিজ নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি আগ্রহ প্রকাশ করবেন এমন আশা করা হচ্ছে রাজ্যের তরফ থেকেও। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সরকারি জমি লিজ নেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি পরিবর্তন আনা হলো।
বর্তমানে যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী, জমির বাজার দর যা রয়েছে তার ৯৫ শতাংশ সেলামি হিসাবে দিতে হয় লিজগ্রহিতাকে। পরবর্তীতে ভাড়া বাবদ বছরে সরকারকে দিতে হয় জমির দামের ০.০৪ শতাংশ। নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর একই নিয়মে সেই লিজ পুনর্নবীকরণ অর্থাৎ রিভিউ করতে হয়। এবার এই নিয়মে বিরাট পরিবর্তন আনা হলো।
লিজে থাকা সরকারি জমির মালিকানার অধিকার আগেই লিজগ্রহীতাদের নীতিগত ভাবে দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজি হয়েছিল রাজ্য। সোমবার সেই বিষয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। এই বৈঠকে যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে তার মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নবান্ন সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তা হল, লিজে থাকা জমির মালিকানা পেতে হলে লিজগ্রহীতাদের জমির বাজার দরের ১৫ শতাংশ দিতে হবে সরকারকে।
মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে উপকৃত হবেন বিপুল সংখ্যক মানুষ এমনই জানা যাচ্ছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সল্টলেক থেকে শুরু করে বাঁকুড়া, বর্ধমান, আসানসোল, পুরুলিয়া থেকে মালদহ-জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারের প্রচুর মানুষ দীর্ঘ অপেক্ষার পর লিজ নেওয়া বাড়ি বা শিল্পের জন্য লিজে নেওয়া জমির পাকাপাকিভাবে মালিকানা স্বত্ব পাবেন।