According to astrologer and religious guru Acharya Pramod Krishnan, the masnad of Delhi is going to change in 2024: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে সরানোর সমস্ত রকম প্রচেষ্টাই করছে বিরোধীরা। আবার উল্টোদিকে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত গেরুয়া শিবির। গোটা ভারতবাসী তার প্রমাণ পেয়ে গেছে এর মধ্যেই। খবরের শিরোনামে প্রায়ই একটা কথা উঠে আসছে, মোদি বনাম ‘ইন্ডিয়া’। ভারতের রাজনৈতিক মহল এখন যথেষ্ট উত্তপ্ত। এমনটা অনুমান করা হচ্ছে যে, ২০২৪-এ মোদিকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন এক মহিলা। এক জ্যোতিষের পরে এমনটাই দাবি করেছেন অন্য আরেক ধর্মগুরু (Acharya Pramod Krishnan)।
এমনটা প্রথম দাবি করেছিলেন কর্নাটকের এক জ্যোতিষী। সেই একই সুরে সুর মেলালেন আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণাম (Acharya Pramod Krishnan)। তিনি শুধুমাত্র ধর্মগুরু নয় একজন কংগ্রেস নেতাও বটে। সেই মতাদর্শ থেকেই তিনি জনপ্রিয় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তিনি দাবি করেছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে টক্কর দিতে পারবে প্রিয়াঙ্কাই।
তাঁর (Acharya Pramod Krishnan) যুক্তি অনুসারে, লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে হারাতে গেলে অবশ্যই দরকার জনপ্রিয় কোনও মুখ। বিরোধী দলগুলির মধ্যে প্রিয়াঙ্কাই এই ব্যাপারে যোগ্য বলে মনে করেছেন ধর্মগুরু। তিনি দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেই সামনে রাখা হোক। বিরোধী দলগুলির কাছে এমনটাই দাবি মানার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতার সাফ যুক্তি মোদি বনাম প্রিয়াঙ্কার লড়াই হলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আরও সহজ হবে দেশবাসীর কাছে।
তবে এর পিছনে অবশ্যই আছে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক কারণ। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি থেকে লড়বেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি বারাণসী থেকে লড়বেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আশা করা যাচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং নরেন্দ্র মোদির টানটান লড়াই হবে সেখানে। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাইয়ের ঘোষণার পর এমনিতেই রাজনৈতিকে মহলে শোরগোল শুরু হয়েছিল। সেই আগুনেই ঘি ঢাললেন আচার্য প্রমোদ (Acharya Pramod Krishnan)।
গেরুয়া শিবির অবশ্য সেইসব কথা মানতে চায়না। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদি ম্যাজিকেই ভরসা রাখছে বিজেপি দল। বিরোধী দলের কেউ পারবেনা মোদির জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যেতে। এতটাই স্থির বিশ্বাস বিজেপির। তবে, জ্যোতিষী বা ধর্মগুরুর কথা যাচাই করতে অপেক্ষায় থাকবে দেশবাসী। গোটা দেশবাসী অপেক্ষা করছে জল কোন দিকে গড়ায় তা দেখার জন্য।