নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবে সব সময় পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তবে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন তার স্বস্তি নেই। একদিকে সিবিআই, অন্যদিকে ইডি এই দুইয়ের চাপে রীতিমতো ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি এবং তার মেয়ে ও ঘনিষ্ঠরা। তবে বারবার এইভাবে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ার মধ্যেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন কেষ্ট।
ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে বারবার গরু পাচার মামলা পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হচ্ছে। বারবার আদালতে আবেদন জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এখন অনুব্রত মণ্ডল ও তার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে শঙ্কা আরও বিপত্তি মাথায় বাজ পড়ার মতো নেমে আসবে। তবে এসবের মধ্যেই ইডি আধিকারিকরা আদালতে বোঝাতে ব্যর্থ হলেন কেন এই মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ইডির তরফ থেকে আদালতে এমনটা বোঝাতে ব্যর্থ এই প্রথম নয় এই নিয়ে দ্বিতীয় বার হতে দেখা গেল। পরপর দু’বারের এই ঘটনায় রীতিমতো ধাক্কা খেলো ইডি। মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নেওয়া যাওয়া প্রসঙ্গে কোন এক্তিয়ারে ইডি এমন দাবি তুলছে এই প্রশ্ন বিচারক পড়েন। তবে সেই প্রশ্নের উত্তর ইডি দিতে পারেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত হওয়া ঝুলে যায়। ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র সঠিক উত্তর দিতে না পারলে ফের এই মামলা বুধবার আদালতে পেশ করা হবে।
শনিবার আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কয়েকটি প্রশ্ন করেন ইডির আইনজীবীকে। তিনি জানতে চান, সিবিআই এই মামলায় যা যা বাজেয়াপ্ত করেছে সেটা আর আপনারা যার ভিত্তিতে ইসিআই করেছেন সেগুলি কি এক? এর জবাবে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘না। আমরা কেবল আর্থিক দুর্নীতির বিষয় দেখছি’। এমনটা শুনে বিচারক জানতে চান, আইনে কোথায় লেখা যে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত কেবল ইডি করতে পারবে? এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী আইনের একাধিক ধারার প্রসঙ্গ তুলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। যদিও সেই সকল উত্তরে খুশি হননি বিচারক।
ইডির তরফ থেকে গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ৪৪(১/সি) নম্বর ধারায় গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছিল। এর প্রথম শুনানি হয় গত ১৯ অগস্ট। এই মামলায় দ্বিতীয় শুনানি হয় ২ সেপ্টেম্বর। তবে প্রথম শুনানির মতো দ্বিতীয় শুনানির দিনেও কার্যত ধাক্কা খেল ইডি। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে সামনের ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার।