Ansar Shaikh is an IAS officer who overcame poverty and passed upsc: ভারতের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা হল UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা (UPSC)। প্রতি বছর লাখ লাখ প্রার্থী এই পরীক্ষা দেন, কিন্তু মাত্র কয়েকজনই উত্তীর্ণ হতে পারেন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে প্রচুর পরিশ্রম, দৃঢ় সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আনসার শেখ, এক অটোচালকের ছেলে, মাত্র ২১ বছর বয়সে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সকলকে অবাক করে দিয়েছেন।
আনসার শেখের জন্ম মহারাষ্ট্রের জালনার জেলার শেলগাঁও গ্রামে। তার বাবা ইউনুস শেখ আহমেদ পেশায় একজন অটোচালক এবং মা বাড়িতে কাজ করেন। আনসারের পরিবার খুবই দরিদ্র ছিল। আনসারের বাবা-মা তাকে পড়াশোনার জন্য সবকিছু দিয়েছিলেন। কিন্তু অর্থাভাবে আনসারকে কখনও কখনও পড়াশুনার জন্য কোচিং করানোর মতো সুযোগ হয়নি। আনসারের সাফল্য তার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং এলাকাবাসীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, দরিদ্রতা বা অন্য কোনো বাধা কখনও একজন মানুষের স্বপ্ন পূরণে বাধা হতে পারে না। আনসারের সাফল্য সকলকে অনুপ্রাণিত করবে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য অনুপ্রাণিত করবে।
আনসার ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন। তিনি স্কুলে ও কলেজেই ভালো ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রথমবারই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি জালনার কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। কলেজ জীবনে আনসার UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তিনি জানতেন যে, এই স্বপ্ন পূরণের জন্য তাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তিনি কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি UPSC পরীক্ষার (UPSC) জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন বই ও ম্যাগাজিন পড়েন, অনলাইনে কোচিং নেন এবং বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের থেকে সাহায্য নেন।
আনসারের স্বপ্ন পূরণের পথে অনেক বাধা এসেছিল। অর্থাভাবে তাকে কখনও কখনও পড়াশুনার জন্য টাকা ধার নিতে হয়েছে। তিনি অনেকবার হতাশ হয়ে পড়েছেন, কিন্তু তিনি কখনও হাল ছাড়েননি। তিনি নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। আনসারের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ, তিনি ২০১৬ সালে UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (UPSC) উত্তীর্ণ হন। তিনি ৮৩তম স্থান অধিকার করেন। তিনি একজন আইএএস অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান।
আনসার শেখ একজন শুধুমাত্র ভারতের কঠিন পরীক্ষাতে (UPSC) সফল হয়েছেন তা নয় যুদ্ধেও তিনি আজ সফল। তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক। তিনি তার এলাকার মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করছেন। তিনি একটি NGO প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মতো বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, দৃঢ় সংকল্প, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা যায়।