Be sure to know about vehicle registration charges before buying a vehicle: গাড়ি পুরনো হোক কিংবা নতুন তার রেজিস্ট্রেশন (New Vehicle Registration Charges) করানো অবশ্যই প্রয়োজনীয়। সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয় গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য। তবে রেজিস্ট্রেশন করানোর অর্থ ফিক্সড নয় কারণ, আপনি যদি কোন নতুন গাড়ি লোনে কিনে থাকেন তাহলে তার আলাদা রেজিস্ট্রেশন খরচ হবে। এমন বহু মানুষ আছেন যারা এর আগে কখনোই RTO অফিসে যাননি। এমনকি এই সংক্রান্ত ট্যাক্সের কাজকর্ম তাদের কাছে জটিল মনে হতে পারে। আজকের প্রতিবেদনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত ধারণা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
এবার জেনে নেওয়া যাক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চার্জ (New Vehicle Registration Charges) সম্পর্কে। সমস্ত গাড়ির ক্ষেত্রেই রেজিস্ট্রেশন চার্জ হলো ৫০০ টাকা। আপনি যদি গাড়ি লোনে কেনেন তাহলে হাইপোথেকেশন চার্জ হলো ১৫০০ টাকা। পাশাপাশি নম্বর প্লেটের জন্য আপনাকে দিতে হতে পারে ২৩০ থেকে ৪০০ টাকা। এক মাসের জন্য অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন চার্জ করতে চাইলে ১৫০০ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ফাস্ট্যাগ চার্জ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। যখনই আপনি নতুন গাড়ি কিনবেন তার আগে এই সকল চার্জ জেনে নেবেন।
তবে রেজিস্ট্রেশন খরচের (New Vehicle Registration Charges) পর থাকে রোড ট্যাক্স। রাজ্য ভেদে এর ব্যতিক্রম হয়ে যায়। অনেকেই হয়তো জানেন যে বেশ কিছু রাজ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে রোড ট্যাক্স দিতে হলেও কোম্পানি ভেহিকেলের ক্ষেত্রে দিতে হয় না কোনও বাড়তি টাকা। এই রাজ্যগুলি হল – উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, পঞ্জাব, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং পন্ডিচেরি।
অন্যান্য রাজ্যের থেকে এ রাজ্যেও বেশ কিছু নিয়ম আলাদা রয়েছে। যেমন ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ৫ বছরে একবার এবং কোম্পানি ভেহিকেলের ক্ষেত্রে ১৫ বছরে একবার রোড ট্যাক্স জমা করতে হয়। তবে রোড ট্যাক্স ভারত সিরিজ নম্বর প্লেট অধিকারীদের ক্ষেত্রে আলাদা। কিন্তু এই নম্বর প্লেট কেবল রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী, PSU কর্মচারী এবং অন্তত চারটি রাজ্যে বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অফিস রয়েছে এমন বেসরকারি কোম্পানির কর্মীরাই এই নম্বর প্লেটের জন্য আবেদন করতে পারেন।
রেজিস্ট্রেশন খরচের (New Vehicle Registration Charges) পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যে পেট্রল অথবা CNG গাড়ির দাম যদি ১০ লাখের কম হয় তাহলে ৮ শতাংশ, ১০ থেকে ২০ লাখ হলে ১০ শতাংশ এবং ২০ লাখের বেশি হলে ১২ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হতে পারে। আবারবৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে রোড ট্যাক্সের পরিমাণ কম যথাক্রমে – ৬ এবং ৮ শতাংশ। ডিজেল গাড়ির ক্ষেত্রে -১০ শতাংশ, ১২ শতাংশ এবং ১৪ শতাংশ।