নিজস্ব প্রতিবেদন : আর মাস কয়েক পরেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha 2024)। এই লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এবার বিরোধীরা একজোট হয়ে তৈরি করেছে I.N.D.I.A.। যাতে মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা বিজেপি বিরোধী। ইতিমধ্যেই এই জোটের তরফ থেকে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞ মহল দাবি করছে, এই জোটের ক্ষেত্রে গলার কাঁটা হয়ে উঠতে পারে ৪টি রাজ্য। আসন সমঝোতা নিয়েই মূলত সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং শেষমেষ এই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
১) I.N.D.I.A. জোটের অন্যতম মুখ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) হলেও আসন সমঝোতা নিয়ে সব থেকে বেশি সমস্যা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গেই বলে দাবি করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে রাজ্যে জোট করতে চায় না সিপিএম এবং কংগ্রেস বলে আগেই তাদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে মাত্র দুটি আসন ছাড়তে রাজি তৃণমূল। এই দুটি আসনের মধ্যে আবার একটি আসন যদি সিপিআইএমকে দেওয়া হয় তাতে তাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সূত্রের এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে কি তা মেনে নেবে কংগ্রেস অথবা সিপিআইএম?
২) পশ্চিমবঙ্গের মতোই একই সমস্যা তৈরি হতে পারে বিহারে। সেখানে মোট ৪০টি আসন রয়েছে। এই সকল আসন ভাগাভাগি হবে কংগ্রেস, জনতা দল ইউনাইটেড এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মধ্যে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে জনতা দল ইউনাইটেড মোট ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং ১৬টি আসনেই জয়লাভ করেছিল। এক্ষেত্রে নিতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব চাইছেন তারা সমান সমান ভাবে আসন ভাগ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। বাকি আসন কংগ্রেসকে দিতে। এক্ষেত্রে কংগ্রেস কতটা রাজি হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
৩) বাংলা এবং বিহারের মতো একই সমস্যা তৈরি হতে পারে মহারাষ্ট্রেও। এখানে মোট ৪৮ টি আসন রয়েছে। এই ৪৮টি আসন ভাগাভাগি হবে কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার মধ্যে। সূত্র জানা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রে এই তিন দল সমান সমান ভাবে অর্থাৎ ১৬টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে। কিন্তু এমনটা হলে বাকি শরিক দলগুলির কি হবে? যদিও বাংলা এবং বিহারের মতো মহারাষ্ট্র এতটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে না বলেও জানা যাচ্ছে।
৪) দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আসন ভাগাভাগি নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা তৈরি হওয়ার কথা না হলেও রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় যেভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, তা অনুযায়ী তারা বেশি আসন দাবি করতেই পারে। সেক্ষেত্রে ডিএমকে এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এছাড়াও আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে দিল্লি এবং পাঞ্জাবে। এই দুই রাজ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির মধ্যে। গুজরাটের ক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং আদমি পার্টি সমান ভাগে ভাগ করে প্রতিযোগিতা করবে বলে জানা যাচ্ছে।