নিজস্ব প্রতিবেদন : মহাকাশ গবেষণায় ভারত যে সকল ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সফলতা হলো চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। এই মিশন ভারতকে কেবলমাত্র চাঁদের মাটিতে পৌঁছে দিয়েছে তা নয়, পাশাপাশি এই মিশন ভারতকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মতো প্রতিকূল এলাকায় পৌঁছে দিয়েছে। এমন সাফল্য একমাত্র ভারতের রয়েছে, যা নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা পর্যালোচনা। তবে ভারত কেবলমাত্র এই মিশনের মধ্য দিয়েই চাঁদে যাওয়ার মিশন শেষ করে দিতে চায় না। বরং খুব তাড়াতাড়ি আসছে নতুন মিশন চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4)।
চন্দ্রযান ৩ অংশ হিসাবে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে যেভাবে একের পর এক তথ্য সংগ্রহ করেছে তা আগামী দিনে ভারতকে নতুন নতুন মিশনে অংশগ্রহণ করতে অনেক সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি ল্যান্ডার বিক্রম যেভাবে হপ এক্সপেরিমেন্টে সফলতা অর্জন করেছে, তাও আগামী দিনে ইসরোকে (ISRO) নতুন নতুন গবেষণার জন্য উৎসাহ প্রদান করছে। আর এসবের মধ্যেই এবার নতুন মিশন আসছে তা হল চন্দ্রযান ৪।
চন্দ্রযান ৪ মিশনকে এক কথায় বলা হচ্ছে LUPEX অর্থাৎ লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন। তবে এই মিশনে কেবলমাত্র ভারত একা অংশগ্রহণ করবে না। বরং ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রেখে এই মিশনে অংশগ্রহণ করবে জাপান। জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা অর্থাৎ জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির সঙ্গে এই মিশন করার জন্য ২০১৭ সাল থেকেই হাত মিলিয়ে ছিল ইসরো। এবার সময় এসে গেছে এই নতুন মিশনের।
চন্দ্রযান ৪ মিশনের লক্ষ্য কি থাকবে? মহাকাশ গবেষণা হোক অথবা যেকোনো ক্ষেত্রে নতুন মিশন মানেই নতুন কোন লক্ষ্য অবশ্যই থাকে। তবে সেই লক্ষ্য আদৌ কি হতে চলেছে তা সম্পর্কে এখনই স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। নতুন এই মিশন সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত যেটুকু জানা গিয়েছে তা হল, চন্দ্রযান ৩ মিশনের মতোই চন্দ্রযান ৪ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এবং জলের অনুসন্ধান করবে।
কবে শুরু হবে নতুন এই মিশন? সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ইসরো এবং জাক্সা যৌথভাবে এই মিশন করবে ২০২৬ সালে। যদিও এখনো পর্যন্ত ইসরো অথবা জাক্সা কারোর তরফ থেকেই স্পষ্টভাবে দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। তবে ২০২৬ সালেই এই মিশন হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।