নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO) চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে সফলতা অর্জনের পর এবার নতুন নতুন মিশনে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী দিনে যে সকল নতুন নতুন মিশন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো গগনযান (Gaganyaan)। এই মিশনের মধ্য দিয়ে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত।
মহাকাশে মানুষ পাঠানো যতটা সহজ মনে হয় ততটা নয়। যে কারণে প্রতিনিয়ত ইসরোর তরফ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে এই মিশন নিয়ে। ইতিমধ্যেই এই মিশনের জন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে কিভাবে তাদের মহাকাশে পাঠিয়ে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায়। আর এই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই পরপর দুটি ট্রায়াল হবে এবং তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে গগনযান মিশনের জন্য।
গগনযান মিশনের প্রথম ট্রায়াল হবে ২১ অক্টোবর এবং তারপরই দ্বিতীয় ট্রায়ালের দিন ঠিক করা হবে। আর দ্বিতীয় ট্রায়ালেই মহিলা মহাকাশযাত্রী হিসেবে পাঠানো হবে একটি হিউম্যানেয়ড রোবটকে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ব্যোমমিত্র। সংস্কৃতিতে ব্যোম শব্দের অর্থ হলো শূন্য এবং মিত্র শব্দের অর্থ বন্ধু। ব্যোমমিত্র গগনযান প্রোটোটাইপ হিসাবে কাজ করবে। এই রোবটটির প্রথম আত্মপ্রকাশ হয়েছিল হিউম্যান স্পেসফ্লাইট অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন-প্রেজেন্ট চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ফিউচার ট্রেন্ডস ইভেন্টে।
ব্যোমমিত্র কেবল একটি রোবট নয়, এর পাশাপাশি এর দারুণ সব ক্ষমতা রয়েছে। সেই সকল ক্ষমতার জেরেই সে আগামী দিনে নতুন নতুন সব কারনামা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যোমমিত্র রোবটটির যে সকল ক্ষমতা রয়েছে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো মডিউল প্যারামিটার মনিটর, সর্তকতা জারি এবং লাইফ সাপোর্ট চালানোর। এর পাশাপাশি একটি সুইচ প্যানেল চালাতেও সক্ষম।
আগামী দিনে যখন গগনযান মিশনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের উৎক্ষেপণ করা হবে তখন এই ব্যোমমিত্র মহাকাশচারীদের যথার্থ সঙ্গী হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। কেননা এর মধ্যে ক্ষমতা রয়েছে মহাকাশচারীদের সঙ্গে কথোপকথনের, তাদের চিনতে পারা এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব তড়িঘড়ি দেওয়ার।