দীঘার চেয়েও এবার কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে পুরি! দারুণ এক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের বারো মাসে তেরো পার্বণের মতোই রয়েছে বছরভর ঘুরে বেড়ানো। এই ঘুরে বেড়ানোর প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথম যে নাম মনে আসে তা হলো ‘দিপুদা’ অর্থাৎ দিঘা, পুরি বা দার্জিলিং। যে কারণেই বছরের বিভিন্ন সময় এই তিন পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের ভিড়ে ফুলেফেঁপে থাকে। আবার এই তিন পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে পুরীর (Puri)। কেননা এখানে রয়েছে খোদ জগন্নাথ দেবের মন্দির (Jagannath Dev Temple)।

Advertisements

ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কম সময়ে দীঘা পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ থাকায় কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমান। কিন্তু এবার সরকারের তরফ থেকে এমন এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যার ফলে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে পুরী। এমনকি দীঘা যাওয়ার ক্ষেত্রে যে সময় লাগে তার থেকেও কম সময়ে পুরি পৌঁছে যেতে পারবেন। বিষয়টি খুবই কৌতূহলের তাই না!

Advertisements

দীঘার থেকে কম সময়ে পুরী পৌঁছে যাওয়ার বন্দোবস্ত করার জন্য এবার ওড়িশা সরকারের তরফ থেকে পুরীতেই তৈরি করা হবে একটি বিমানবন্দর। সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে পুরীতে শ্রী জগন্নাথ দেব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করছে নবীন পট্টনায়কের সরকার। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য জমির ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে পুরীতে বিমানবন্দর তৈরি হয়ে গেলেই খুব সহজে অনেক কম সময়ে সরাসরি পুরীতে পৌঁছানোর রাস্তা খুলে যাবে।

Advertisements

পুরীতে বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য এক বছর আগেই সরকারের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি বিমানবন্দর তৈরির জন্য গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টস ২০০৮ নীতি অনুযায়ী যে সকল ছাড়পত্রের প্রয়োজন সেই বিষয়েও ছাড়পত্র পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, MoCA ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য প্রকল্পের বিশদ রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছে সরকারকে।

পুরীতে বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য এর আগে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং সেই প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। যার ফলে এই বিমানবন্দর তৈরি এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। বিমানবন্দরটি তৈরি করার জন্য ৫৬৩১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিমানবন্দর দ্রুত তৈরি করার ক্ষেত্রে তৎপরতাও রয়েছে পুরী জেলা প্রশাসনের বলে জানা গিয়েছে। তাদের তরফে ব্রহ্মগিরি তহসিলের সিপাসরুবালি এবং সন্ধাপুরে ৬৮ একর বনভূমি ও ২২১.৪৮ একর ব্যক্তিগত জমি মিলিয়ে প্রায় ১,১৬৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisements