নিজস্ব প্রতিবেদন : মহাকাশ অভিযানের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে ভারতের নাম উঠেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর দৌলতে। চন্দ্রযান ৩ ভারতকে প্রথম চাঁদের মাটিতে ছুঁইয়েছে। পাশাপাশি ভারত প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। গত ২৩ আগস্ট এমন সব সফলতা অর্জনের পর নিজেদের কারনামা দেখিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। এদের নিয়ে ইসরো (ISRO) এবং ভারতীয়দের গর্বের শেষ নেই। তবে এর থেকেও বড় গর্বের খবর এলো দুর্গা পুজোর মাঝেই।
চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার পর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটি থেকে সংগ্রহ করেছে নানান তথ্য। যে সকল তথ্য ভারতীয় বিজ্ঞানীদের চাঁদ সম্পর্কে জানতে ব্যাপক সাহায্য করেছে এবং আগামী দিনেও করবে। এছাড়াও এদের কারনামার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার আগামী দিনে চাঁদের মাটিতে নতুন মিশন নিয়ে নামার পরিকল্পনাও করতে শুরু করে দিয়েছে।
তবে এই সকল কাজকর্ম করার পর যখন চাঁদের মাটিতে অন্ধকার নেমে আসে তখন বিক্রম এবং প্রজ্ঞান দুজনেই স্লিপ মোডে চলে যায়। তাদের স্লিপ মোডে যাওয়ার পর অনেকেই আশা করছিলেন, ফের যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো এসে পড়বে তখন পুনরায় তারা জেগে উঠবে। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। প্রবল ঠান্ডায় তাদের জেগে ওঠার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
তবে এসবের মধ্যেই ইসরো নতুন করে যে তথ্য সবার সামনে তুলে ধরল তাতে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে নিয়ে গর্ব আরও বেড়ে উঠছে। তাদের নিয়ে আশা আরও বাড়তে শুরু করছে। ইসরো চিফ এস সোমনাথ জানিয়েছেন, আপাতত রোভারকে কোন রকম ভাবে বিরক্ত করা হবে না। তাকে নিজের মত করে রেখে দেওয়া হয়েছে। সে জাগলে নিজের মতো করে জেগে উঠতে পারে। অর্থাৎ রোভার আবার জেগে উঠতে পারে এমনই আশা রয়েছে।
রোভারের পুনরায় জেগে ওঠার যে আশা রয়েছে তার পিছনে কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন এস সোমনাথ। মিশনে ল্যান্ডার এবং রোভার যুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ল্যান্ডারের আকৃতি যেহেতু বড় তাই পুরো পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি, কিন্তু মাইনাস ২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে রোভার কেমন থাকতে পারে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেই পরীক্ষায় সফলতা মিলেছে এবং মাইনাস ২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসেও রোভার কাজ করছিল। যদিও পুনরায় তারা জেগে উঠবে কিনা তার হলফ করে বলা সম্ভব নয়।