নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রভাবশালী নেতারা গ্রেফতার হওয়ার পরই দেখা যায় কেঁচো খুঁড়তে কেউটের পরিবর্তে বের হয় বড় বড় অজগর। ঠিক তেমনটাই হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) ক্ষেত্রেও। এই প্রভাবশালী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা এদিক ওদিক করার অভিযোগ উঠেছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রায় ২১ ঘন্টা জিজ্ঞাসাসাবাদের পর তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে ইডি।
শুক্রবার ভোররাতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু দাকে গ্রেপ্তার করার পরই বীরভূমের বোলপুরের শান্তিনিকেতন এলাকায় তার প্রায় ১০ কোটি টাকার একটি বাংলোর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তবে এখানেই শেষ নয়, এরই মধ্যে আবার তার গ্রামের বাড়িতেও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে। বিরোধীদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গ্রামের বাড়িতেও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নামে বেনামে রেখেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রামের বাড়ি হল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের পূর্বখাঁপুর গ্রামে। তার গ্রেফতারির পর এই বাড়ি এখন খাঁ খাঁ করছে। বিরোধীদের দাবি, গ্রামে বিলাসবহুল প্রাসাদ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কোটি-কোটি টাকা নামে বিনিয়োগ করে রেখেছেন। এই প্রসঙ্গে উঠে আসছে একটি আইআইটি কলেজের নাম। যেটির মালিকও নাকি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হতে পারেন বলে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
যে আইআইটি কলেজের নাম জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে জড়াচ্ছে তার দায়িত্বে রয়েছেন তার এক ভাই। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কয়েক বিঘা জমির উপর তৈরি করা হয়েছে এই কলেজ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দেওয়ার আগেই এই কলেজের সাইনবোর্ড রঙ দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এর পাশাপাশি অভিযোগ, মন্ত্রী হওয়ার আগে তার এবং তার পরিবারের যা সম্পত্তি ছিল তা এখন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। তিনি এবং তার পরিবার এই মুহূর্তে ৭০-৮০ বিঘা জমির মালিক বলেও দাবি তোলা হচ্ছে।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিলাসবহুল গ্রামের বাড়ির ঠিক পাশেই রয়েছে একটি রেশনের দোকান। এই রেশনের দোকানটি তার এক ভাইপোর বলে জানা গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, খাদ্য মন্ত্রী থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের ঘনিষ্ঠদের রেশন ডিলার সহ অন্যান্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন।