Major changes are coming in life certificates of pensioners: অবসর জীবনে বারবার লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে উপস্থিতি হওয়াটা সত্যি বড় কষ্টকর। কিন্তু নিজেদের পেনশন চালু রাখতে গেলে এই পদ্ধতিটি পালন করতেই হবে। তবে শারীরিকভাবে ব্যাংকে উপস্থিত হওয়ার এই নিয়মে কিছুটা হলেও পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। ১লা নভেম্বর থেকে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে। দেরি না করে ঝটপট জেনে নিন কি সেই পরিবর্তন?
এখন লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate)সহজেই জমা দিতে পারবেন বাড়িতে বসে তাও আবার অনলাইনে। আপনার বাড়িতে যদি স্মার্টফোন থাকে তাহলে নিমেষেই এই সার্টিফিকেট আপনি জমা দিতে পারবেন। ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পেনশনভোগীদের মুখের অথন্টিকেশন করাতে হবে, আপনি স্মার্টফোনের মাধ্যমে তা সহজেই করতে পারবেন। সম্প্রতি অর্থ দফতরের তরফে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার বহুদিন ধরেই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দেওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে পরিকল্পনা করছিল। লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে আর ট্রেজারি বা ব্যাঙ্কে শারীরিকভাবে উপস্থিত হতে হবেনা। বাড়িতে বসে মুখের অথন্টিকেশন করে সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
এতদিন পর্যন্ত পেনশনভোগীরা বা পারিবারিক পেনশনভোগীদের শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে যাচাই করা লাইফ সার্টিফিকেটের (Life Certificate)একটি হার্ড কপি জমা দিতে হত। পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, হার্ড কপিতে পেনশনভোগীর স্বাক্ষর বা সই থাকা ছিল ব্যাধ্যতামূলক। যদি কেউ নিজে উপস্থিত না থাকতে পারে তাহলে পেনশনভোগীর নিকটস্থ আত্মীয়কে একটি অথরিটি লেটার দিয়ে নির্ধারিত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যেতে হবে।
অনলাইনে এই ব্যবস্থা চালু হলেও আগের মত শারীরিক উপস্থিতি বজায় রেখে অফলাইনেও লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ব্যবস্থা আগের মতোই থাকবে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ট্রেজারি বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির পেনশন চালু রাখতে প্রত্যেক বছর লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। এতদিন পর্যন্ত সার্টিফিকেট জমা দিতেই ট্রেজারিতে বা ব্যাঙ্কে যেতে হত পেনশনভোগীদের। এই ব্যবস্থা প্রবীণ নাগরিকদের জন্য খুবই কষ্টকর। সেই জন্যই এই ডিজিটাল সমাধান চালু করেছে রাজ্য সরকার। লাইভ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার মাধ্যমে পেনশনভোগী ব্যক্তি এখন জীবিত আছেন কিনা সেটা জানাই আসল উদ্দেশ্য।