This e-motorcycle of Matter Aera will be launched in 2024: যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকদের আকর্ষণ পেট্রল জাতীয় স্কুটার কিংবা বাইকের থেকেও ইলেকট্রনিক স্কুটারের প্রতি অনেকটাই বেড়ে গেছে। ইলেকট্রনিক স্কুটার জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও ইলেকট্রিক বাইক তেমনভাবে সারা ফেলতে পারেনি। কেন এরকম হচ্ছে কখনো ভেবে দেখেছেন কি? গিয়ারের অনুপস্থিতির জন্য এতদিন সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি ইলেকট্রিক বাইক। ভারতের বাজারে গিয়ারহীন ই-বাইক দেখা গেছে কিন্তু প্রথমবারের জন্য দেশে গিয়ারযুক্ত ইলেকট্রিক বাইক লঞ্চ করেছে আমেদাবাদের এক স্টার্টআপ সংস্থা Matter। ই-বাইকটির নাম- Aera (Matter Aera e-motorcycle)। যারা এই গাড়িটি বুক করেছে তাদের জন্য সংস্থা নিয়ে এলো বড় চমক।
সূত্র মারফত জানা গেছে যে, ২০২৪ সালেই সংস্থা প্রথম ত্রৈমাসিক থেকেই Aera-এর (Matter Area e-motorcycle) ডেলিভারি শুরু করে দেবে। বাইকটির প্রি-বুকিং উইন্ডো এরমধ্যেই চালু রয়েছে। জানলে অবাক হবেন যে ইতিমধ্যে সংস্থাটির এই বাইকের বুকিং ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাহলে দেরি না করে বাইকটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
এই ইলেকট্রিক বাইকটির (Matter Area e-motorcycle) ফিচার্সের তালিকা কিন্তু বেশ বড়। এতে আছে ৭ ইঞ্চির টাচ স্ক্রিন যুক্ত ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, যায় মধ্যে পেয়ে যাবেন নেভিগেশন, মিউজিক, কল, মেসেজ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি দেখতে পাবেন। বাইকটির প্রতি কিমি যেতে খরচ হবে মাত্র ২৫ পয়সা। এছাড়াও সেফটি ফিচার হিসেবে ব্যাটারি ও মোটরে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি আছে। বাইকটি দুটি ভ্যারিয়েন্টে মার্কেটে লঞ্চ করা হয়েছে- ৫০০০ এবং ৫০০০+। এদের দাম যথাক্রমে ১.৭৪ লক্ষ টাকা এবং ১.৮৪ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।
বাইকপ্রেমীদের কাছে এ যেন এক দুর্দান্ত সুখবর। দুটো মডেলেই ১০ কিলোওয়াট অর্থাৎ ১৩.৪ বিএইচপি ক্ষমতা উৎপাদনকারী মোটর আছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই বাইকটি মাত্র ৬ সেকেন্ডের মধ্যেই ০-৬০কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ অর্জন করতে পারে। যদি সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া হয় তাহলে প্রায় ১২৫ কিমি পর্যন্ত যেতে পারবে Matter Aera (Matter Area e-motorcycle)। ম্যাটারের প্রতিষ্ঠাতা এবং কর্ণধার এই বিষয়ে বলেন যে, ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিসাধন করার জন্য সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। সংস্থার এই প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল Matter Aera হলো এক বিরাট পরিশ্রমের ফল।
এই ই-বাইটির উৎপাদন করার জন্য পর্যাপ্ত কারখানা গড়ার কাজ প্রায় শেষ এর পথে। কারখানাটিতে প্রতি বছর ৬০,০০০ টি মডেল তৈরি হতে পারবে। যখনই চাহিদার বৃদ্ধি ঘটবে বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে ১,২০,০০০ ইউনিট এমনটাই পরিকল্পনা করেছে বাইক সংস্থাটি এবং চাহিদার পরিমাণ বুঝে তারা তাদের ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের দ্বিতীয় কারখানা তৈরি করবে। এতো বড় পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য কর্মচারী নিয়োগ করা হবে প্রচুর। গত বছরের শেষের দিকে সংস্থার কর্মচারী ছিল দু’শো জন। সেই সংখ্যাটি এখন বেড়ে হয়েছে পাঁচশোর বেশি।