নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালিরা ঘুরতে পছন্দ করেন, সুযোগ পেলেই ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। তবে ঘুরতে যাওয়ার নাম করলেই পাহাড়ের কথা আসলে মনে পড়ে দার্জিলিং অথবা কার্শিয়াং, সমুদ্রের কথা আসলে মনে পড়ে দীঘা অথবা পুরি। কিন্তু এসবের বাইরেও আমাদের এই বাংলাতেই এত ভালো ভালো ঘোরার জায়গা (Tourist Place) রয়েছে যা অনেকেই জানেন না। ঠিক সেই রকমই আজ আমরা একটি জায়গার খোঁজ দেব যেটি হল পাহাড়ের কোলে মায়াবী এক ভিউ পয়েন্ট।
পাহাড়ের কোলে আজ যে মায়াবী ভিউ পয়েন্টের খোঁজ আমরা নিয়ে এসেছি সেখানে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, পাশাপাশি রয়েছে ঐতিহাসিক ঐতিহ্য। কেননা এই ভিউ পয়েন্টের টানে এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সিস্টার নিবেদিতা, নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের মতো ব্যক্তিত্বরাও বহুবার ঘুরে গেছেন। এই জায়গাটি খুব বেশি দূরে তাও নয়, দার্জিলিং থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কার্শিয়াং শহরের মধ্যেই রয়েছে এমন মায়াবী ভিউ পয়েন্ট।
আর বেশি কৌতুহল না বাড়িয়ে পাহাড়ের কোলের ওই ভিউ পয়েন্টের নাম আমরা জানিয়ে দিচ্ছি। পাহাড়ের কোলে কার্শিয়াংয়ের বুকে মায়াবী ওই ভিউ পয়েন্টের নাম হলো ঈগলস ক্র্যাগ (Eagles Crag)। এখানে অষ্টভুজাকার পাখির খাঁচার মতো রয়েছে একটি সুন্দর ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়াও রয়েছে সুন্দর একটি ফুলের বাগান। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে হিমালয়ের রেঞ্জের প্যানারমিক ভিউ আপনি দেখতে পাবেন। এই ভিউ এতটাই সুন্দর যে বছরের পর বছর ধরে পর্যটকদের মনে অনাবিল আনন্দ দিয়ে আসছে।
এই ভিউ পয়েন্টটি কার্শিয়াংয়ের সর্বোচ্চ যে সকল জায়গা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। যে কারণে আকাশ পরিস্কার থাকলেই এখান থেকে একসঙ্গে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা, শিলিগুড়ি শহর, নেপালের পাহাড় নদী এবং চা বাগান। বছরের পর বছর ধরে পর্যটকরা দার্জিলিং এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলেও অনেকেই এই মায়াবী ভিউ পয়েন্ট সম্পর্কে জানেন না। তবে এই ভিউ পয়েন্ট না গেলে পাহাড় ঘোরা অসম্পূর্ণ বলেই মনে করা হয়।
এই ভিউ পয়েন্টে পৌঁছাবেন কিভাবে? কলকাতা অথবা অন্য কোন জায়গা থেকে ট্রেনে অথবা বাসে প্রথমে এসে পৌঁছাতে হবে শিলিগুড়ি শহরে। শিলিগুড়ি শহরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে এই ভিউ পয়েন্টের দূরত্ব মাত্র ৪৭ কিলোমিটার। এক্ষেত্রে শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যেতে হবে কার্শিয়াং। কার্শিয়াং রেলস্টেশনের বাঁ দিক দিয়ে খুব সহজেই চলে যাওয়া যায় ঈগল ক্র্যাগে।