নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে সকল লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে তাদের মধ্যে এখন জমজমাট শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র (Serampore Lok Sabha)। এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে দাঁড় করানো হয়েছে তারই প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বসুকে। আর এই নিয়েই এখন প্রাক্তন শ্বশুর আর জামাইয়ের মধ্যে রীতিমতো ঠোকাঠুকি লেগে গেল।
এবার শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র কেবলমাত্র প্রাক্তন জামাই শ্বশুরের লড়াই নিয়ে জমজমাট তা নয়। এর পাশাপাশি এখানে আবার তরুণ মুখ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন বামফ্রন্টের দিপ্সিতা ধর। দুই তরুণ মুখ বামফ্রন্টের দিপ্সিতা আর বিজেপির কবীরের সামনে কতটা খেলতে পারবেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই এখন দেখার।
আবার এই কেন্দ্রে বলা যেতে পারে আইনজীবীদের লড়াই জমে উঠেছে। কেননা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে যেমন অভিজ্ঞ এক আইনজীবী, ঠিক সেই রকমই আবার তার প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বসুও একজন আইনজীবী। তিনি সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। তবে এই সকল প্রতিদ্বন্দ্বীদের পিছনে ফেলে তিনবারের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বাউন্ডারি হাঁকাবেন এমনটাই দাবি করেছেন। অর্থাৎ চতুর্থ বারের জন্যও তিনি সাংসদ হবেন এমনটাই দাবি।
আরও পড়ুন ? দুর্গাপুজোর অষ্টমীর সন্ধিপুজোয় কেন হাউ হাউ করে কাঁদেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
এই বিষয়ে দোলের দিন প্রচারে বেরিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, “গত বার হ্যাটট্রিক করেছিলাম। এবার বাউন্ডারি হাঁকাবো”। এর পাশাপাশি বিরোধীরা তার কাছে কোন ফ্যাক্টরই নন সেটাও দাবি করেছেন। অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন দাবির পাল্টা বিজেপি প্রার্থী অর্থাৎ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর জানিয়েছেন, “উনি বোল্ড হবেন। ৪ জুন ব্যাগ পত্র গুছিয়ে উনাকে চলে যেতে হবে।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্করের রাজনীতিতে পদার্পণ হয়েছিল মূলত ২০১৯ সালে। যে সময় থেকেই তাকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার করে নজর কাড়তে দেখা গিয়েছিল। এরপর তাকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তবে সেবার ভোটে তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। তবে তার প্রতি বিজেপি কোনভাবেই আস্থা হারাতে চাই না এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি।