নিজস্ব প্রতিবেদন : এখন দেশের অধিকাংশ বাড়িতেই পৌঁছে গিয়েছে দু’চাকার মোটরবাইক, স্কুটি ইত্যাদি যানবাহন। এছাড়াও রয়েছে চারচাকা। দু’চাকার সমস্ত মোটরবাইক স্কুটি পেট্রোল (Petrol) চালিত, সংখ্যায় একেবারেই নগণ্য রয়েছে ইলেকট্রিকের। এছাড়াও অধিকাংশ ব্যক্তিগত গাড়ি পেট্রোল চালিত। যে কারণে পেট্রোলের চাহিদা গেছে কম নয়।
পেট্রোলের পাশাপাশি যদি ডিজেলের (Diesel) কথা বলা হয় তাহলে বলা যেতে পারে, ডিজেল ছাড়া দেশের বাণিজ্যিক যানবাহন পরিষেবা অচল। পণ্যবাহী যানবাহন থেকে শুরু করে কোন পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম যাত্রীবাহী অধিকাংশ যানবাহন ডিজেলে চলে। তবে এই পেট্রোল ও ডিজেলের চাহিদা দিন দিন যত বাড়ছে ততই দাম আকাশছোঁয়া হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কিছু ভর্তুকি দেওয়ার ফলে দাম সামান্য কমেছে, তবুও দেশের অধিকাংশ জায়গায় পেট্রোলের দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি অথবা বেশি, আর ডিজেলের দাম ৯০ টাকার কাছাকাছি অথবা বেশি।
কিন্তু জানলে অবাক হবেন পেট্রোলের যে বেস প্রাইস রয়েছে তা আপনার দেওয়া টাকার অর্ধেক। বর্তমানে যে কর কাঠামোয় পেট্রোল বিক্রি করা হয়, সেই কর কাঠামো অনুযায়ী পেট্রোলের বেস প্রাইস (Petrol Diesel Base Price) হল ৫৫.৪৬ টাকা। কিন্তু এই পেট্রোলই যখন আপনার গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে দেওয়া হচ্ছে তখন দাম নেওয়া হচ্ছে কোথাও লিটার প্রতি ৯৪ টাকা আবার কোথাও লিটার প্রতি ১০৪ টাকা। এখন প্রশ্ন বাকি টাকা যাচ্ছে কোথায়?
দিল্লির হিসেব অনুযায়ী পেট্রোলের বেস প্রাইস ৫৫.৪৬ টাকার উপর পরিবহন খরচ ০.২০ টাকা চাপানো হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি এক্সইজ ডিউটি হিসাবে নেওয়া হয় ১৯.৯০ টাকা, ডিলার কমিশন থাকে ৩.৭৭ টাকা, ভ্যাট হিসাবে দিতে হয় ১৫.৩৯ টাকা। আর এই সবকিছু মিলিয়ে দাম দাঁড়াচ্ছে ৯৪.৭২ টাকা। অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে পরিবহন খরচ এবং অন্যান্য খাতে খরচ কমা বাড়ার কারণে দামে হেরফের দেখা যায়।
ডিজেলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে থাকে। ডিজেলের বেস প্রাইস হল ৫৬.২০ টাকা, তার সঙ্গে পরিবহন খরচ ০.২২ টাকা, এক্সাইজ ডিউটি ১৫.৮০ টাকা, ডিলার কমিশন ২.৫৮ টাকা, ভ্যাট ১২.৮২ টাকা মিলিয়ে গ্রাহকের কাছে যখন ডিজেল পৌঁছাচ্ছে তখন দাম দাঁড়াচ্ছে ৮৭.৬২ টাকা। পেট্রোলের মতোই ডিজেলের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন রাজ্যের পরিবহন খরচ এবং অন্যান্য খরচের কারণে দামে হেরফের হয়।