ঐন্দ্রিলা সব্যসাচীর প্রেমের শুরুটা কীভাবে! বাস্তবের এই প্রেমকাহিনী হার মানাবে সিনেমাকেও

দীর্ঘ লড়াই শেষ করে পরলোক গমন করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। তবে এই অভিনেত্রীর প্রেম কাহিনী হার মানাবে বিভিন্ন বড় বড় সিনেমার গল্পকেও। ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর প্রেম কাহিনী যেন রোমিও-জুলিয়েটের গল্পের সমান। মৃত্যু যেমন তাঁদের প্রেমকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেই একই জিনিস দেখা গেল ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর ভালবাসার মধ্যে। মৃত্যুর কাছে হেরে গেছে তাঁদের ভালোবাসা।

২৪ বছর বয়সী ঐন্দ্রিলার জীবন ছিল খুবই কষ্টকর। ১৮ বছর বয়স থেকেই জীবন যুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। যদিও সেই সময় সব্যসাচীর সাথে তাঁর আলাপ হয়নি। ১৮ বছর বয়সে ক্যান্সার রোগের সাথে লড়াই করে ফিরে এসে অভিনয় জগতে যুক্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। আর সেই সময়ই সব্যসাচীর সাথে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

তবে প্রথম দিকে তাঁদের মধ্যে কোন ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তাঁদের মধ্যে ছিল ভালো বন্ধুত্ব। এছাড়া ঐন্দ্রিলা আড্ডা দিতে খুবই ভালোবাসতেন। আর সেই আড্ডাতে যোগ দিতে দেখা যেত সব্যসাচীকেও। তারপর সেখান থেকেই ফোনে কথাবার্তার মাধ্যমে মিষ্টি প্রেমের গল্প শুরু হয় তাঁদের। তারপর তাঁদের জীবন বেশ ভালই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে আবার ২০২১ সালে ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ায় আবারো লড়াই করতে হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে।

তবে সেই সময় সব্যসাচী বলেছিলেন, “নিজে হাতে এনেছি নিজে হাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাব এর অন্যথা কিছু হবে না।” এছাড়া ঐন্দ্রিলাও তাঁর লাস্ট পোস্টে সব্যসাচীকে নিয়ে লিখেছিলেন, “আমার বেঁচে থাকার কারণ।” তবে তৃতীয়বার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আর ঐন্দ্রিলাকে নিজে হাতে ফেরাতে পারল না সব্যসাচী। নিয়তির কাছে হার মেনে গেল তাঁদের ভালোবাসা। তাঁদের অসম্পূর্ণ এই ভালোবাসা আপামর জনতার কাছে সারা জীবন গেঁথে থাকবে।

প্রসঙ্গত, গত ১লা নভেম্বর নিজের বাড়িতে হঠাৎ ই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তার সাথে সাথে তাকে হাওড়ার আন্দুলের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির দিন থেকেই তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কোমায় থাকাকালীন বেশ কয়েকবার কার্ডিয়াক আরেস্টে আক্রান্ত হন। তার পর ২০শে নভেম্বর সমস্ত যুদ্ধের শেষে শান্তির ঘুমের দেশে যাত্রা করেন ঐন্দ্রিলা।