‘ওকে পরে দেখবো’, বিশ্বভারতী নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই হুঁশিয়ারি অনুব্রত মণ্ডলের

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিকবার বিশ্বভারতী এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে ভোটের পরেও সেই বিতর্কের অবসান নেই। আর নতুন করে ফের বিতর্ক তৈরি হতেই অনুব্রত মণ্ডলের হুঁশিয়ারি ‘ওকে পরে দেখবো’।

নতুন করে বিশ্বভারতী এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে থাকা একটি বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে। যে বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ছিল, আগামী ১৮ মে বিকাল চারটের সময় অনলাইনে একটি আলোচনা হবে। আলোচনার বিষয়বস্তু হলো, ‘রাজ্য বিধানসভায় কেন বিজেপি ব্যর্থ হলো?’ আর এই আলোচনা করবেন নীতি আয়োগের যুগ্ম উপদেষ্টা সঞ্জয় কুমার। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিজড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নির্দিষ্ট করে কোন রাজনৈতিক দলের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনার বিজ্ঞপ্তি ঘিরে নিন্দার ঝড় বইতে থাকে শান্তিনিকেতন জুড়ে। যদিও এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষ শেষমেষ সেই আলোচনা সভা বাতিল করে।

তবে এই প্রসঙ্গ যখন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সামনে উপস্থাপিত করা হয় ঠিক সেই সময় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বিশ্বভারতীতে কখনও রাজনীতি হয় না। আমরা ইন্দিরা গান্ধীকে দেখেছি, রাজীব গান্ধীকে দেখেছি। তারা সভা করতে এলে ওখানে হেলিকপ্টার নামাতো না। ওর এত দুঃসাহস। মানছে না বাংলার মানুষ। এখন সামনে করোনা। করোনার জন্য মানুষের পাশে থাকি। ওকে পরে দেখবো।”

[aaroporuntag]
তবে শুধু এই প্রথম নয়, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বারংবার বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের। পাশাপাশি একাধিকবার অনুব্রত মণ্ডলকে ‘পাগল ভিসি’ বলেও কটাক্ষ করতে দেখা গেছে। আগেও অনুব্রত মণ্ডল উপাচার্যকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। আর এমত অবস্থায় বোলপুরের রাজনীতি যেন পুনরায় বিশ্বভারতী কেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।