‘সোনার বাংলা না গড়ে সোনার ইন্ডিয়া গড়ুক’, অনুব্রত মণ্ডল

অমরনাথ দত্ত : অনুব্রত গড়ে রবিবার বিশাল রোড শো করে একপ্রকার একুশের ভোটের দাদামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহের এই র‍্যালি বা রোড শো’তে অগুনতি মানুষের ভিড় অমিত শাহকে উৎসাহিত করে। যে কারণে তিনি রোড শো-র শেষ প্রান্ত অর্থাৎ বোলপুর চৌরাস্তা মোড়ে এসে তিনি বলেন, “অনেক জায়গায় রোড শো করেছি। তবে এত জনসমাগম লক্ষ্য করি নাই।”

রোড শো শেষ করার পর অমিত শাহ তাঁর তাৎক্ষণিক বক্তৃতায় দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস সরকার, বামফ্রন্ট সরকার এবং তৃণমূল সরকারের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ। আর এই সকল অনুপ্রবেশকারীদের হঠাতে তিনি বিজেপিকে বাংলার সিংহাসনে বসানোর আহ্বান জানান। বলেন, “আপনারা কংগ্রেসকে সুযোগ দিয়েছেন। বামফ্রন্টকে সুযোগ দিয়েছেন। আর দশ বছর তৃণমূলকে সুযোগ দিলেন। কিন্তু উন্নতি হয়েছে কি? অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়েছে কি? হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টিকে ৫ বছর সুযোগ দিন সোনার বাংলা গড়ে দেবো।”

আর অনুব্রত গড়ে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সোনার বাংলা গড়ে দেওয়ার মন্তব্যকে কটাক্ষ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলা তো মমতা ব্যানার্জী গড়ে দিয়েছেন। সোনার বাংলা না গড়ে সোনার ইন্ডিয়া গড়ুক।’

অমিত শাহের রোড শো শেষ হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেন, “আজকের এই র‍্যালিতে ঝাড়খন্ড, আসানসোল, রানীগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ থেকে বাস ভর্তি করে লোক আনা হয়েছিল। কিন্তু জেলার লোক কোথায়?” পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, “বিশ্বভারতীতে এসে, রবীন্দ্রনাথের জায়গায় এসে বিবেকানন্দের নামে রাস্তা ঘোষণা করছেন। এটা কি কখনো হয়! তাহলে রবীন্দ্রনাথকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছে না? রবীন্দ্রনাথকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছে না? বাঙালিকে আ’ঘাত করছে না? বাঙালিকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছে না? বিশ্বকবিকে শেষ করার একটা চ’ক্রান্ত না? আমরা কি বুঝতে ভুল করি!”

সোনার বাংলা প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সোনার বাংলা তো আছে। মমতা ব্যানার্জি গড়েছেন। আবার নতুন করে কি ডাক দেবে। সোনার ইন্ডিয়া করুক না। এখন তো বসে আছে দিল্লিতে। ওই বিচেকিচে না দিয়ে, আজ এই উঠিয়ে দেবো, কাল ওই উঠিয়ে দেবো, কাল ট্রেন বিক্রি করে দেবো, ওই সব না করে সোনার ইন্ডিয়া করুক না। তাহলে ভালো হবে না। আজকে কৃষকরা চাষীরা ধর্ণা দিয়ে বসে আছে ঠান্ডায় দিল্লিতে তাদের ব্যবস্থা করে দিক না। তাহলে বেটার হবে না!”