মাস্ক ও স্যানিটাইজার নিয়ে কালোবাজারি করলেই কড়া পদক্ষেপ, বার্তা পুলিশ প্রশাসনের

হিমাদ্রি মন্ডল, চন্দন কর্মকার ও লাল্টু : করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। দিনের পর দিন এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। চীন থেকে শুরু হওয়া এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ৭০ টি দেশে। বাদ পড়েনি ভারতও। ভারতে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের সংক্রমনের সংখ্যা ৯৩, মৃত ২। এমত অবস্থায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বীরভূমেও গত দু’দিন ধরে অমিল মাস্ক ও স্যানিটাইজার। বেশিরভাগ ওষুধের দোকান থেকে ক্রেতারা এই সকল দ্রব্যাদি না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।আর এই সকল প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে যেন কোন রকম কালোবাজারি না হয় তার জন্য রবিবার বীরভূমের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে দোকানে পুলিশি হানা।

এদিন বীরভূমের সিউড়ি শহরের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে হানা দেয় বীরভূম পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের একজন করে প্রতিনিধি। একইভাবে বোলপুর, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর ও অন্যান্য জায়গাতেও পুলিশ ওষুধের দোকানগুলিতে হানা দেয় ও দোকানদারদের সতর্ক করে দেওয়া হয় যেন কোন রকম এই প্রকার দ্রব্যাদি নিয়ে কালোবাজারি না করা হয়। আর কালোবাজারি করা হলে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির মুখে পড়তে হবে দোকানদারদের।

বীরভূম পুলিশের ডিএসপি ডিএনডি অভিষেক মন্ডল জানান, “ওষুধের দোকানগুলিতে আজ আমরা ঘুরে দেখলাম মাস্ক ও স্যানিটাইজার নিয়ে কোনোরকম জালিয়াতি অথবা কালোবাজারি হচ্ছে কিনা। আমরা দোকানগুলির স্টক মিলিয়ে দেখি।এছাড়াও গত ১৫ দিনে এই প্রকার দ্রব্যাদির বিক্রির হার মেলায়। কোথাও কোনো রকম অমিল দেখলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

তবে গ্রাহকরা অনেকেই জানিয়েছেন, গ্রাহকদের চাহিদা মতো শহরগুলিতে মাস্ক অথবা স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। আর এমন স্বীকারোক্তি শোনাও যায় পুলিশ আধিকারিকদের মুখ থেকে। তবে পুলিশ আধিকারিকরা সাধারণ মানুষকে বার্তা দিয়েছেন, “যদি কোথাও দেখা যায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার মজুদ রয়েছে অথচ দোকানদার বিক্রি করতে চাইছেন না। অথবা এগুলি নিয়ে কোনোরকম কালোবাজারি করছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিন। তৎক্ষণাৎ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”