সলভেক্স থেকে মাছ, কি-না নেই! ব্যবসায় কৃষ্ণ কল্যাণী হার মানাবেন তাবড় তাবড় শিল্পপতিদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : বুধবার সকাল থেকেই চর্চায় এসেছেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (MLA Krishna Kalyani)। বিজেপির টিকিটে জেতা এই বিধায়কের বাড়িতে বুধবার হঠাৎ হানা দেয় আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা (IT Raid)। তার বাড়িতে আয়কর হানার পর তার বাড়ি, গাড়ি সহ ব্যবসা নিয়ে চর্চার শেষ নেই।

বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাবা দিনদয়াল কল্যাণী একজন বড় ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন রাজনীতিক। প্রথম দিকে তিনি সিপিএম করলেও পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেন এবং কাউন্সিলর ছিলেন। কৃষ্ণ কল্যাণীও রাজনীতিক ছিলেন এবং ২০২০ সালে বাবার মৃত্যুর পর দান ধ্যানে মগ্ন হন। মানুষের জন্য কাজ করতে শুরু করেন এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। সেখান থেকে বিধায়ক হয়ে আবার পরে তৃণমূলে ফিরে আসেন।

বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ব্যবসায়ী হিসাবে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। তার ব্যবসা শুরু হয় ১৯৯৬-৯৭ সালে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি তার ব্যবসা ছড়িয়ে দিয়েছেন। যে সকল ব্যবসা তার রয়েছে সেই তালিকা চোখে পড়ার মতো এবং তিনি দেশের তাবড় তাবড় শিল্পপতিদের হার মানাতে পারেন। তার কোটি কোটি টাকার এই সকল ব্যবসা দেখলে যে কাউকেই ভিমড়ি খেতে হয়।

কৃষ্ণ কল্যাণীর রয়েছে কল্যাণী সলভেক্স, ধানের তুষের তেলের ফ্যাক্টরি, মাছের খাবার, এক্সপোর্টের ব্যবসা, ট্রাইব টিভি স্যাটেলাইট চ্যানেল, গাছের চারার ব্যবসা, দক্ষিণ দিনাজপুরে প্ল্যান্ট, প্রোমোটারি ব্যবসা, শপিং মল সহ আরও বিভিন্ন ব্যবসা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুলেফেঁপে ওঠেন কৃষ্ণ কল্যাণী।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে নামেন কৃষ্ণ কল্যাণী। প্রথমবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেন এবং বিধায়ক হন। তবে এর পরেই তার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তিনি খাতায়-কলমে বিজেপিতে থাকলেও যোগদান তৃণমূলে। বর্তমানে তিনি রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান।