কমে গেল রান্নার গ্যাসের দাম, জেনে নিন সিলিন্ডার পিছু নতুন দাম

নিজস্ব প্রতিবেদন : জিনিসপত্রের দাম দিনের পর দিন যে হারে বাড়ছে তাতে মধ্যবিত্তের পক্ষে রীতিমতো কষ্টের হয়ে যাচ্ছিল সংসার চালানো। এ যেন নুন আনতে পানতা ফুরানোর দশা। জিনিসপত্রের বিভিন্ন দামের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গত মাস পর্যন্ত বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। যা মধ্যবিত্তের পক্ষে মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো হয়ে উঠেছিল।

গত মাসে রান্নার গ্যাসের দাম ১০৫ টাকা বেড়ে যায়। সমস্ত মহানগরীতে ভর্তুকি ছাড়া ১৪.২ কেজির রান্নার গ্যাসের দাম ১৪৪.৫০ টাকা থেকে ১৪৯ টাকা বেড়ে যায়। এইরকম অবস্থায় মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে সিলিন্ডার পিছু গ্যাসের দাম বেশ কিছুটা কমলো। হ্যাঁ, দোলের আগে মধ্যবিত্তরা বড় একটি সুখবর পেলেন। আর এই সিলিন্ডার পিছু গ্যাসের দাম কমার খবরে কিছুটা হলেও তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।এখন জেনে নিবো সিলিন্ডার পিছু কত টাকা দাম কমলো?

ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসে ইন্ডিয়ান অয়েলের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে
১৪.২ কিলোগ্রাম রান্নার গ্যাসে ৫৩ টাকা কমলো। ১৯ কিলোগ্রাম বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসে ৮৪.৫০ টাকা কমলো। এতদিন অব্দি দিল্লিতে ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাসের দাম ৮৫৮.৫০ টাকা ছিলো‌। গ্যাসের দাম কমার পর আজ থেকে দিল্লিতে গ্যাসের নতুন দাম ভর্তুকি ছাড়া ৮০৫.৫০ টাকা।কলকাতাতে ভর্তুকি ছাড়া রান্নার গ্যাসের দাম হলো ৮৩৯.৫০ টাকা। মুম্বাইয়ে ভর্তুকি ছাড়া রান্নার গ্যাসের দাম হলো ৭৭৬.৫০ টাকা, চেন্নাইতে ভর্তুকি ছাড়া রান্নার গ্যাসের দাম হলো ৮২৬ টাকা।

রান্নার গ্যাসের দাম গতমাসে বেড়েছিল আবার এই মাসের প্রথম দিকে তা কমে গেল, কিন্তু কেন এভাবে গ্যাসের দাম কমা বাড়া হয় এটা কি জানা আছে?

আসলে বিদেশি মুদ্রার এক্সচেঞ্জ রেটের হিসেব ও আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক দর অনুযায়ী এলপিজি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়। আর যেহেতু এলপিজি গ্যাসের এই মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আলোচিত বিভিন্ন সময়ে এলপিজি গ্যাসের দাম তাই কমে যায় আবার কখনো অস্বাভাবিক রকমের দাম বেড়ে যায়। আর গ্যাসের এইভাবে দাম কমা বাড়ার জন্য মানুষ কখনো অস্বস্তিতে পড়েন কখনো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। মাসের প্রথম দিনে আজকের এই খবরটি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

শপথ নিয়েই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢোকার হুঁশিয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধান নারাভানের

নিজস্ব প্রতিবেদন : অনুমতি পেলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। ঠিক এভাবেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।

দিনের পর দিন উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়ে উঠছে ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখা। বারংবার কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের সেনারা গুলিবর্ষণ করছে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে। এমনকি গত বুধবার রাতেও এই ঘটনার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। তবে বুধবার রাতে সেই ঘটনায় উপযুক্ত জবাব দেয় ভারতীয় সেনারা। আর এই বিষয় নিয়ে নাভারানে মন্তব্য করেন, “এই ধরনের পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতের পুনর্ত্তর দেওয়ার অধিকার রয়েছে। প্রয়োজন হলে তাই করা হবে।”

ভারতীয় সেনাদের মনোবল ও প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর সহ দেশের সমস্ত সীমান্তে ভারতীয় সেনারা প্রস্তুত রয়েছে। সব রকম পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় সেনার। অনুমতি পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ভারতীয় সেনা।”

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে এদিন তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে হতবাক হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা তারা কোনদিন আশা করেনি। আর এখন তারা সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ভারতের উপর গুলিবর্ষণ করে মান সম্মান বাঁচাতে চাইছে।”

প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা প্রধানের কুর্সিতে বসেন মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। এরপর তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অন্যতম মুখ। তখনই বোঝা যায় যে কুর্শিতে বসেই তিনি পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেবেন। আর তাই হলো।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্‍ অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত, বলছে ব্রিটেনের সমীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই সুর চড়া করছে কেন্দ্রের বিরোধী দলগুলি। দেশের জিডিপির বৃদ্ধির হার তলানিতে নেমে ৪.৫ শতাংশে ঠেকেছে।বিনিয়োগের হ্রাস ও বেকারত্ব নিয়ে সরব বিরোধীরা। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এনিয়ে নিয়ে শোরগোল পরে গিয়েছে। ভারতের জিডিপি এখন নিম্নমুখী।

কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০২৬ সালে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে ভারত ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের বিলাসবহুল দেশ জার্মানিকে! হ্যাঁ, এরকমই কিছু সমীক্ষা করেছে ব্রিটেনের একটি সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক রিসার্চ অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ বা CEBR। শুধু এই টুকুই নয়, এই সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩৪ সালে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ জাপানকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত ও পরিণত হবে দুনিয়ার তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশে। তবে ওই সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে ২০১৯ সালেই ভারত অর্থনীতির দিক থেকে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সকে টপকে পরিণত হয়েছে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশে। কিন্তু চতুর্থ স্থানে পৌঁছাতে ভারতের ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।

ভারতের কেন্দ্র সরকার হিসেব দিয়েছে যে ২০২৪ সাল নাগাদ ভারতের অর্থনীতি হবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে। কিন্তু ব্রিটেনের এই সংস্থার মতে তা হবে ২০২৬ সাল নাগাদ।

বাড়িতে বসেই ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চান! রইলো Online-এ আবেদনের পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভায় পাশ হওয়া CAB এখন রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে CAA তে অর্থাৎ আইনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও CAA ও NRC নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব গোটা দেশ, নানান জায়গায় দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ ও নেতা নেত্রীদের বিক্ষোভ। অসমে NRC হওয়ার ফলে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ নাগরিকতা থেকে বাদ পড়েছেন। বিক্ষোভকারীদের ভয়, কেন্দ্র সরকারের এই দুই সিদ্ধান্তে নাগরিকতা কেড়ে নেওয়া হবে মানুষের। তাহলে চলুন প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক ভারতের নাগরিক হিসেবে কারা কারা বিবেচিত হবেন।

১) কোন ব্যক্তি যদি ২৬ শে জানুয়ারি ১৯৫০ অথবা তারপর থেকে ১লা জুলাই ১৯৮৭ সালের মধ্যে ভারতে জন্মগ্রহণ করে থাকেন তাহলে তিনি প্রাকৃতিক নিয়মেই ভারতের নাগরিক।

২) যদি কোন ব্যক্তি ১লা জুলাই ১৯৮৭ অথবা তারপরে থেকে ৩ রা ডিসেম্বর ২০০৪ এর মধ্যে ভারতে জন্মগ্রহণ করে থাকেন। আর তার বাবা-মা কেউ একজন ভারতের নাগরিক হয়ে থাকলে তিনিও ভারতের নাগরিক।

৩) কোন ব্যক্তি যদি ৩ রা ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখে অথবা তারপরে জন্মগ্রহণ করে থাকেন। আর সেই ব্যক্তির বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যেকোনো একজন ভারতীয় নাগরিক হয়ে থাকেন, অন্যজন বেআইনি অনুপ্রবেশকারী নাহলে ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন।

৪) কোন ব্যক্তির যদি বিদেশে জন্ম হয়ে থাকে তাহলেও তিনি ভারতীয় হিসেবে বিবেচিত হবেন, যদি তার বাবা জন্মসূত্রে ভারতীয় হয়। এক্ষেত্রে যে নিয়ম রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি বা তার পর ও ১০ই ডিসেম্বর ১৯৯২ বা তার আগে বিদেশে জন্মগ্রহণ করলে সেই ব্যক্তিকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবার জন্য তার বাবাকে জন্মসূত্রে ভারতীয় হতে হবে।

৫) ২০০৪ সালের ৩ রা ডিসেম্বর অথবা তারপর কোন ব্যক্তি যদি দেশে জন্মগ্রহণ করেন তাহলে তিনি ভারতীয় বলে বিবেচিত হবেন না। যদি না হলফনামা দিয়ে ওই ব্যক্তির বাবা মা জানান যে তাঁদের সন্তানের বিদেশি পাসপোর্ট নেই। এ ছাড়াও ওই শিশুটি বিদেশে জন্ম নেওয়ার এক বছরের মধ্যে স্থানীয় ভারতীয় কনসুলেটে তার নাম নথিভুক্ত করতে হবে।

২০১৯ সালে পাশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী বর্তমানে ভারতের তিনটি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্থান ও পাকিস্থান, যে দেশগুলিতে মূলত মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের বাস, সেই দেশে মুসলিম ছাড়া বাকি সংখ্যা লঘিষ্ঠ ধর্মের (হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিষ্টানদের) ভারতীয় নাগরিকত্ব দেবে সরকার। তবে এর মানে এই না যে অন্যান্য দেশের মানুষরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে তারাও আবেদন করতে পারে। এই নতুন আইন অনুসারে যারা বিগত ৮ বছরের মধ্যে ৬ বছর ভারত ভূখণ্ডে আছেন তারাই আবেদন করতে পারবেন।

এই আইনের ক্ষেত্রে মানুষের সবথেকে বড় প্রশ্ন নথি নিয়ে। অর্থাৎ কি কি নথি প্রয়োজন ভারতের নাগরিক হওয়ার জন্য। এই প্রশ্নের উত্তর আছে
indiancitizenshiponline.nic.in ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ভাবে বলা আছে। আবেদনকারীর বৈধ বিদেশী পাসপোর্ট, বৈধ আবাসিক অনুমতি ও মা-বাবার জন্ম তারিখের প্রমাণ এবং আবেদনকারীর পাসপোর্ট থাকা প্রয়োজন।

অনলাইনে নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য আপনাকে প্রথমেই আপনাকে (https://indiancitizenshiponline.nic.in/) ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর বিভিন্ন অপশন থেকে বেছে নিন কিসের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে চান। তারপর Apply Online অপশনে ক্লিক করে যে পেজ খুলবে যেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য (নিজের, নিজের মা বাবার, বৈবাহিক জীবনের তথ্য, পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদি) দিতে হবে ও তারপর ‘Save and Next’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর যে পেজ খুলবে সেখানে ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য, তার পরে পরিবার সম্পর্কিত তথ্য ও শেষ পেজে উল্লেখ করতে হবে যে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কিনা। এইসকল কাজ শেষে পরের পেজে নিজের ছবি আপলোড করে পেমেন্ট করতে হবে।

নতুন বছরে রান্নাঘরে ছ্যাঁকা, দাম বাড়লো রান্নার গ্যাসের

নিজস্ব প্রতিবেদন : অক্টোবর মাসের পর নভেম্বর মাস, ডিসেম্বর মাস, তারপর আবার নতুন বছরের শুরুতেই দাম বাড়লো ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের। কলকাতায় ভরতুকিবিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হলো ৭৪৭ টাকা। ডিসেম্বরের শুরুতেই এক লাফে দাম বেড়েছিল সাড়ে ১৯ টাকা, রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭২৫ টাকা ৫০ পয়সা।

৩১ দিনের মাথায় আবার দাম বাড়লো ২১ টাকা ৫০ পয়সা। ১লা জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে নতুন দাম। এই নিয়ে পর পর চার মাসের মধ্যে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লো ১৪৬ টাকা।

আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে রাষ্ট্রায়াত্ত তেল সংস্থাগুলি। প্রতি মাসের শুরুতে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়, যা চলে মাস জুড়ে। যার ফলে প্রতি মাসে গ্যাসের দাম বাড়া কমার পাশাপাশি ভর্তুকির ক্ষেত্রেও বদল ঘটে। এছাড়াও সরকারি নিয়ম অনুসারে বর্তমানে বছরে ১২ টি ১৪.২ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি পাওয়া যায়। যে ভর্তুকির টাকা সরাসরি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে এসে পৌঁছায়। বছরে ১২ টির বেশি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রয়োজন হলে ভর্তুকিহীন ভাবে বাজার দরের মূল্য দিয়ে গ্রাহকদের সিলিন্ডার নিতে হয়।

পুজোর আগে অর্থাৎ অক্টোবর মাসে ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হয়েছিল ১২.৫০ থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত। আর এরপর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন বছরের নতুন মাসেও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম বাড়ালো।

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ১৪.২ কেজি ভর্তুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৫.৫০ টাকা। আর জানুয়ারিতে রান্নাঘরে ছ্যাঁকা দিয়ে তা দাঁড়ালো ৭৪৭ টাকা।

১লা জানুয়ারি থেকে কাজ নাও করতে পারে এই সব ATM কার্ড! নির্দেশ RBI-এর

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের সাথে নগদ টাকা নিয়ে রাস্তাঘাটে চলাচল করা কিংবা ব্যাঙ্কে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে টাকা তোলা দুটোই বর্তমানে প্রায় চলে না। মানুষ টাকা তোলার জন্য ব্যবহার করেন এটিএম ডেবিট কার্ড। বর্তমানে ডেবিট কার্ড মানুষের অন্যতম প্রয়োজন। কিন্তু ভাবুন তো আপনার ডেবিট কার্ডটি যদি ব্লক হয়ে যায়! হ্যাঁ, ৩১ ডিসেম্বরের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুসারে EVM না থাকা ডেবিট কার্ডগুলি ব্লক হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ ১লা জানুয়ারি থেকে তা কাজ নাও করতে পারে। ডেবিট মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড না হলে সেই কার্ডগুলো ব্লক করে দাওয়া হবে।

সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে একটি গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের তার ম্যাগনেটিক চিপ কার্ড বদলে দিয়ে EMV বা পিন যুক্ত ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে। আশা করা হচ্ছে এই প্রক্রিয়াকরণের ফলে অনলাইন টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ফ্রড এবং সাইবার ক্রাইমের পরিমাণ কম হবে।

কিভাবে EVM বা পিন যুক্ত ডেবিট কার্ডের জন্য আপনার ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করবেন, জেনে নিন।

আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনার ব্যাঙ্কের পোর্টালে নেট ব্যাঙ্কিং হয় সেখানে গিয়ে লগ ইন করতে হবে।

পরের ধাপে সেই পোর্টালের ‘e-Services’ নামের সেকশনে গিয়ে ‘ATM Card Services’ অপশনে ক্লিক করুন।

এরপর যে অংশটি খুলবে সেখানে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে ‘ATM Card Services’ অপশনে ক্লিক করুন ও আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন এবং তার সাথেই যে নামে ডেবিট কার্ড করাতে হন, নামটি নথিভুক্ত করুন এবং কার্ডের টাইপ নির্বাচন করুন।

এরপরের ধাপে টার্মস আর কন্ডিশন মেনে নিয়ে (accept) ‘Submit’-এ ক্লিক করুন এবং OTP বা আপনার নিজস্ব অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন।

আরও একবার সমস্ত তথ্য দেখে নিয়ে ‘Submit’ করুন এবং শেষে স্ক্রিনে যে কনফারমেশন মেসেজ আসবে সেখানে আপনার ঠিকানা দিলেই সেই ঠিকানায় পৌঁছে যাবে নতুন EVM যুক্ত ডেবিট কার্ড।

এছাড়াও ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েও আবেদন করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর! চিনিয়ে দিবে PIB, রইলো WhatsApp নাম্বার

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ে আমরা দেখি নানান ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সমাজে ছড়িয়ে পড়ে ফেক নিউজ অর্থাৎ ভুল তথ্য। মানুষ সেগুলিকে সত্যি ভেবে নিজেদের পরিচিতদের কাছে সেগুলো ফরওয়ার্ড করেন এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এসব ফেক নিউজ থেকে মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এবার ‘PIB Factcheck’ হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় হওয়ায় আপনি সহজেই যাচাই করে নিতে পারবেন কোন খবরটি সত্যি ও কোনটি ফেক নিউজ।

PIB সম্প্রতি একটি ট্যুইটের মাধ্যমে জানায় যে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যগুলি সত্যি কিনা সেটা আপনি যাচাই করতে পারবেন একটি ছোট্ট উপায়ে। যেই খবরটির সত্যতা আপনি যাচাই করতে চান সেই খবরটি ‘৮৭৭৯৯৭১১২৫৯’ এই নম্বরে আপনি ফরোয়ার্ড করতে পারেন অথবা pibfactcheck@gmail.com এ সেই তথ্যটি পাঠাতে পারেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে একটি বিশেষ কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে কোন ধরনের রাজনৈতিক সংবাদ বা বেসরকারি পরিষেবা বিষয়ক সংবাদ ফেক নিউজ কিনা তা এই প্রক্রিয়ায় জানা যাবে না। বরং শুধুমাত্র কোনো সরকারি স্কিম বা ঘোষনা বা আদেশ সংক্রান্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই করা যেতে পারে এই পরিষেবার মাধ্যমে।

আশা করা হচ্ছে, সরকারি স্কিমের নামে যেসব ভুল তথ্য দিয়ে কিছু সুবিধাবাদী সংস্থা নিজের সুবিধার জন্য প্রচার করছে তারা একদিকে যেমন সংযত হবে, ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষের ফেক নিউজ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। এই উদ্দেশ্যেই ‘PIB Factcheck’ এই পরিষেবা চালু করেছে।ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই পরিষেবার বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

একেবারে সত্যি! রেলযাত্রীদের ধারে টিকিট কাটার সুযোগ করে দিলো IRCTC

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল টিকিট তাও আবার ধারে! শুনতে বিস্ময়কর লাগলেও এমনই অভিনব পন্থা নিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং এন্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC)। নতুন এই পদ্ধতি অনুসারে যাত্রীদের থেকে টাকা না নিয়েই টিকিট কাটার অনুমতি দিবে রেল। তবে আপনাকে সেই টিকিটের ভাড়া অবশ্যই মেটাতে হবে, হাতে পাবেন বেশ কয়েকটা দিন। IRCTC র তরফ থেকে চালু করা এই নতুন সিস্টেমের নাম হলো ‘Book now and pay later’.

নতুন এই পরিষেবা রেল টিকিট বুক করার জন্য গ্রাহকদের বেছে নিতে হবে ‘e-Pay Later ‘অপশনটিকে।এমনকি এই পদ্ধতিতে রিজার্ভ টিকিট অথবা তৎকাল টিকিট দু’ধরনের টিকিটই বুক করা যাবে, এমনটাই জানিয়েছে আইআরসিটিসি। এই পরিষেবা আসার ফলে অজস্র গ্রাহক উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে যে সমস্ত গ্রাহকদের হঠাৎ করে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে ওঠে অথচ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা থাকে না। তবে মনে রাখবেন এই সুবিধা কেবলমাত্র ই-টিকিটের ক্ষেত্রেই উপলব্ধ।

‘e-Pay Later’ অপশনের মাধ্যমে টিকিট বুক করার পদ্ধতি

‘e-Pay Later’ পরিষেবা ব্যবহার করে টিকিট বুক করার জন্য আপনাকে প্রথমে IRCTC র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নিজের অ্যাকাউন্ট লগইন করতে হবে। তারপর আপনার রেল যাত্রার পুরো তথ্য দিতে হবে। পাশাপাশি পূরণ করুন যাত্রীর নাম ও অন্যান্য তথ্য। এরপর পেমেন্ট অপশনে গিয়ে ‘Pay Later’ অপশনটি বেছে সেখানে ক্লিক করুন। তারপরে আপনি পেয়ে যাবেন রেলের টিকিট এবং পরে টাকা মেটানোর সুবিধা।

টিকিট বুক করার সময় আপনার রেজিস্টার মোবাইলে আসবে একটি ওটিপি। যেটিকে নির্দিষ্ট জায়গায় দিতে হবে। পরে টিকিটের টাকা মেটানোর শর্ত অনুযায়ী আপনাকে টিকিট কাটার ১৪ দিনের মধ্যে সেই টাকা আইআরসিটিসিকে মিটিয়ে দিতে হবে।

নতুন বছরে ২০ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, রইলো ছুটির তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরাতন বছর শেষ হতে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন, আসছে নতুন বছর। আর নতুন বছর আসা মানেই উৎসবের বাড়তি খরচ। তবে এই আনন্দের মাঝে জেনে রাখা জরুরি যে, নতুন বছরে কত দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। কারণ ব্যাঙ্ক বন্ধ মানেই টাকা পয়সার লেনদেন বন্ধ। তাই টাকা-পয়সা লেনদেনের কাজ সারার আগে চেখে দেখে নিন সেই তালিকা। প্রয়োজন মত সেই দিনগুলি এড়িয়ে সেরে ফেলুন লেনদেনের কাজ।

২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২০ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে তার তালিকা প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এগুলির মধ্যে অবশ্যই রবিবার বাদ রয়েছে। এছাড়াও বাদ রয়েছে মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবারের ছুটির দিন সংখ্যাটিও।

২৩ শে জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৩০ শে জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার : সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৯ ই মার্চ ২০২০, সোমবার : দোলযাত্রা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১০ ই এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার : Good Friday উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১৪ ই এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার : বাংলা নববর্ষ, ডঃ আম্বেদকরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১ লা মে ২০২০, শুক্রবার : মে দিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৭ই মে ২০২০, বৃহস্পতিবার : বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৮ ই মে ২০২০, শুক্রবার : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৫ শে মে ২০২০, সোমবার : ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১ লা আগস্ট ২০২০, শনিবার : ঈদ উদ জোহা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১৫ ই আগস্ট ২০২০, শনিবার : স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১৭ ই সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার : মহালয়া উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২রা অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার : গান্ধীজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৩ শে অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার : মহাসপ্তমী উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৪ শে অক্টোবর ২০২০, শনিবার : মহাষ্টমী উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৬ শে অক্টোবর ২০২০, সোমবার : বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৩০ শে অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার : লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

১৪ ই নভেম্বর ২০২০, শনিবার : কালীপূজা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

৩০ শে নভেম্বর ২০২০, সোমবার : গুরু নানকের উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

২৫ শে ডিসেম্বর ২০২০, শুক্রবার : ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

রবিবার পরায় যেসকল ছুটিগুলি ব্যাঙ্ক কর্মীদের বাদ গেল, সেগুলি হলো ১২ ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন, ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস, ৩০ শে আগস্ট মহরম ও ২৫ শে অক্টোবর মহানবমী।

দেশজুড়ে বিভিন্ন রিজিওনাল অনুযায়ী ২০২০ সালের এই ব্যাঙ্ক ছুটির সংখ্যা ২০, তবে এটি শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য। এই ছুটির বিস্তৃত তালিকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ছুটির তালিকাতে বর্ণনা করা হয়েছে।

দুর্গাপুরে আটকে যাওয়া বুড়ো বিমানকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল! কি হবে এর!

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইন্ডিয়া পোস্টের এক বুড়ো বিমানকে গত ২৪ শে ডিসেম্বর ২ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে ট্রলারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আটকে যায় দুর্গাপুর সেতুর নীচে। দমদম থেকে রাজস্থানের জয়পুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই বিমানটিকে। যার পরেই হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। খবর ছড়িয়ে পরে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু প্রশ্ন জাগছিল অনেকরই, এই বুড়ো বিমানটি নিয়ে কি হবে? এর উদ্দেশ্য কি?

আসলে জয়পুরের জাতীয় সড়কে এই বিমানটিকে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য একটাই, বাতিল বিমানের ভেতর একটি ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ তৈরি করা। বেশ মজাদার লাগছে শুনে। হ্যাঁ, জয়পুরের একজন ব্যবসায়ী একটি রেস্তোরাঁ খোলার উদ্দেশ্যেই কিনেছেন এই বাতিল আস্ত বিমানটিকে! ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানটি। তারপর একটি হ্যাঙ্গারে থাকা এই বিমানটি ১৮ লাখ টাকায় রেস্তোরাঁ তৈরির উদ্দেশ্যে কিনে নেন ওই ব্যবসায়ী।

তবে বাতিল বিমানে রেস্তোরাঁর নজির এর আগেও আছে এই দেশে। হরিয়ানার আম্বালাতে ১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এয়ার ইন্ডিয়ার বাতিল এয়ারবাস ৩২০, সেটাকেই একটি অসাধারণ রেস্তোরাঁ তৈরি হয়। যার নাম দেওয়া হয় রানওয়ে নম্বর ১। একই ধাঁচে এই বিমানটিরও খোলনলচে বদলে চালু করা হবে রেস্তোরাঁ। বিশ্বের মোট ৮টি দেশে এরকম রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে এবং প্রতিটিই বিমান রেস্তোরাঁয় তাক লাগিয়ে দেওয়ার মত। এই দেশেও হরিয়ানা ও উত্তর দিল্লিতেও এরকম রেস্তোরাঁ তৈরি হয়। আম্বালার সেই রেস্তোরাঁয় ৫০ জন কর্মী কাজ করেন, যারা এয়ার হোস্টেসদের মত সাজে পরিষেবা দেন অতিথিদের।

বিমানে চড়ার আগে বোর্ডিং পাস প্রয়োজন হয়, তাহলে এই রেস্তোরাঁতেও প্রয়োজন। হ্যাঁ, প্রথমেই আপনাকে পছন্দের খাবার রিসেপশন থেকে বুক করে নিতে হবে। প্রায় সবরকম কুইসিনের খাবারই পরিবেশিত হবে। বিমানের প্রতিটা ডানাও ব্যবহার করা হবে এই জন্য।

জয়পুরের এই রেস্তোরাঁর উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই সেই পুরনো বিমানের দুটি ডানা ট্রেলারে করে রওনা দিয়ে দিয়েছে। তবে গত সোমবার মাঝরাতে কলকাতা থেকে জয়পুর যাওয়ার পথে মেনগেট এলাকায় জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের ফ্লাইওভারে ট্রলারটিকে আটকে দেওয়া হয়। কারণ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দাবি তোলে যে, ভারী ট্রেলার নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই না ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাও দায়ের করা হয়। আটকে রয়েছে ট্রলারটি।

বিমান সংক্রান্ত মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিকের কথা অনুসারে, চালান অনুযায়ী বিমানটি জয়পুরে যাচ্ছে এবং সেখানকার একটি ঠিকানাও দেওয়া রয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ট্রেলারের বিরুদ্ধে মামলা করাতে বিষয়টি ট্র্যাফিক বিভাগের আধিকারিকরা দেখছেন। ট্র্যাফিক ওসি মহম্মদ আলির বক্তব্য, মামলা নিতে গেলেই ট্রেলারটি ছেড়ে দেওয়া হবে।

তবে এই পুরোনো বিমানের ছাড়পত্র খোঁজা খুব একটা সহজ কাজ না। জাতীয় সড়কের প্রজেক্ট ডিরেক্টরের কথা অনুযায়ী, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া হবে না ট্রলারটিকে।

পুরাতন ভোটার কার্ড বদলে আসতে চলেছে নতুন ‘Smart Voter Card’

ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে আসছে নতুন ডিজিটাল ভোটার কার্ড। জেনে নিন এর বৈশিষ্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে এখন টাকা থেকে শুরু করে প্রতিটি পরিষেবায় ডিজিটাল। রেশন কার্ড থেকে প্যান কার্ড সবকিছুকেই ডিজিটাল করে তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার বাকি থাকলো না ভোটার কার্ডও। হ্যাঁ, এবার ভোটারকার্ডও ডিজিটাল করার পথে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নতুন ভোটার কার্ড মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই পাবেন গ্রাহকরা।

ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, এই নতুন ডিজিটাল ভোটার কার্ড হবে রঙিন, শুধু তাই না আগে একটা ভোটার কার্ড পেতে হলে মানুষকে নানান ঝুট ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হতো, কিন্তু এবার সেই ঝামেলা থেকেও মুক্তি পাবে গ্রাহকরা। প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার এক পক্ষ অর্থাৎ মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই মিলবে নতুন ডিজিটাল ভোটার কার্ড। শুধু তাই নয়, নতুন অনেক সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা এই ভোটার কার্ডে। গ্রাহকদের নিরাপত্তাও আরও সুনিশ্চিত করা হবে এই কার্ডে। গোটা দেশকে একসাথে আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জানা গিয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরুও করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যারা সদ্য যুবক যুবতী অর্থাৎ ১৮ তে পা দিয়েছেন, তারা আগামী ২৫ শে জনুয়ারির মধ্যে পাবেন নতুন ডিজিটাল ভোটার কার্ড। পুরোনো ভোটার কার্ডের তুলনায় নতুন ভোটার কার্ডে অনেক নতুন নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাও বেশী দামে না, মাত্র ৩০ টাকায় গ্রাহকরা পাবেন এই নতুন ভোটার কার্ড। নতুন ব্যবস্থার মধ্যে কিছু উল্যেখযোগ্য, যেমন আগের ভোটার কার্ডে যে ল্যামিনেশনের ব্যবস্থা ছিল নতুন ভোটার কার্ডে তার বদলে প্লাস্টিক দিয়ে মালটিলেয়ার করে তার ওপর নির্বাচনের হলোগ্রাম এম বেস করা থাকবে। এছাড়াও এই কার্ডের সুরক্ষার জন্য থাকবে পৃথক বার কোড।

যাদের পুরোনো ভোটার কার্ড রয়েছে তারাও অনলাইন নতুন ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বন্ধ লেভেল ক্রসিংয়ের তলা দিয়ে পাড় হলে হতে পারে জেল

রেললাইনে লেভেল ক্রসিং অবজ্ঞা করে লাইন পর করেন? তাহলে এবার সাবধান হয়ে যান। নতুন আইন হতে পারে তিন বছর পর্যন্ত জেল।

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেললাইনের লেভেল ক্রসিং পার করার সময় অনেকেই তাড়াহুড়ো দেখান। বিশেষত দুচাকার মোটরবাইক লেভেল ক্রসিংয়ের নীচ দিয়ে পার করিয়ে দেন অনেকেই। এরফলে নানান সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এবার থেকে এরকম দুর্ঘটনা আটকানোর জন্য আরো শক্ত করা হলো আইন। এবার থেকে লেভেল ক্রসিংয়ে তাড়াহুড়ো করলে তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। লেভেল ক্রসিংয়ে মানুষকে সতর্ক করার জন্য RPF মোতায়েন করার কথাও বলা হয়েছে।

পূর্বে এরকম অভিযোগে একদিনের চালান ও জরিমানা কাটা হতো কিন্তু নতুন আইন আরও শক্ত করে লাগু হলো। এবার RPF জোয়ানদের বারন অমান্য করে যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করার চেষ্টা করেন সেই ক্ষেত্রে সরাসরি গ্রেপ্তার করা হবে।

অবশ্য দক্ষিণ পূর্ব রেলের আইজি এস.কে. পারি জানান যে, এরকম কোনো নির্দেশনা এখনও পর্যন্ত না এলেও ট্রেল চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা রেল আইনের চোখে চরম অপরাধ এবং এক্ষেত্রে দোষীদের তিন মাস থেকে ছয় মাসের শাস্তি হতে পারে।

বিভিন্ন রাস্তায় জন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজ্য সরকার রেলের কাছে লেভেল ক্রসিংয়ের আবেদন জানায় এবং রেল তা মঞ্জুর করে।ট্রেনের তরফ থেকে ট্রেন ভেহিকল ইউনিট দেখে গ্রেডেশন করে তারপর তার সিকিউরিটি সহ যাবতীয় ক্ষেত্র ঠিক করে। ট্রেন আসার সময় রাস্তার যাত্রীরা যাতে নিরাপদে থাকে এবং রাস্তাও যাতে সচল থাকে তার জন্য এই ব্যবস্থা করা, কিন্তু জোর করে এই নিয়ম ভঙ্গ করলে বড়ো বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয় এবং এর আগেও এরকম বিপদ ঘটেছে।

তাই এবার থেকে এরকম বিপদ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে রেল।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯, রইলো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ফিরে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক বিল সংশোধনের কাজ। বিতর্কিত বেশকিছু ধারা বা বিলের বিলোপ ঘটেছে বা সংশোধন হয়েছে ভারতের ইতিহাস থেকে, যার মধ্যে ৩৭০ অন্যতম উল্লেখযোগ্য। ৩৭০ বিলোপের সরগরম হয় গোটা দেশ, শুধু দেশ নয়, যা হয়ে ওঠে বিশ্বের অন্যতম আলোচ্য বিষয়।

তবে এখানেই শেষ নয়, এই সকল সংশোধনী বিলের মধ্যে আরও একটি অন্যতম বিল হলো নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম দেশ, এই লোকসভায় পেশ করার আগে থেকেই দেশজুড়ে নানান জায়গায় শুরু বিক্ষোভ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে লোকসভায় ৩১১টি ভোট পেয়ে পাশ হয়ে যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯৷ যার পরও বিলের বিরোধিতায় সরব বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। উত্তর-পূর্ব ভারতে অসম সহ বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ ও বনধ৷ কিন্তু এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কি? কেনই বা এই বিলকে নিয়ে এত প্রতিবাদ, বিক্ষোভ? রইলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য…

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯-এ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। এই বিলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে৷

ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে এই বিলে। ২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর বা তার আগে আসা ধর্মীয় নিপীড়িতরা নাগরিকত্ব পাবেন। বর্তমান আইন অনুযায়ী, ভারতে জন্মগ্রহণকারীদের বা ভারতে ১১ বছর বা তার বেশি সময় বসবাসকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়৷ নতুন বিলে সেই সময়সীমা কমিয়ে করা হয়েছে ৬ বছর।

নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীর জন্মের সংশাপত্র না থাকলে নতুন বিলে অনুযায়ী বলা হয়েছে, তাঁরা ছ’বছর দেশে থাকার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি ছিল। এছাড়াও সংসদীয় দলের বৈঠকে গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্ট করে দেন যে, এই বিলটি সরকারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ সংবিধানের ষষ্ঠ শিডিউলের আওতাধীন অঞ্চলগুলি যেমন অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের উপজাতি অধ্যুষিত স্বায়ত্তশাসিত এলাকাগুলিতে এই বিল কার্যকর হবে না। ইনার লাইন পারমিট রেজিম থাকায় অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ কার্যকর হবে না।

বিরোধীদের মতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯ বিল সংবিধানের ১৪ ধারাকে লঙ্ঘন করছে। যে ধারা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমতার অধিকারের কথা বলেছে৷ কিন্তু এই বিল ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যে কারণেই বিরোধীদের এত প্রতিবাদ।

পাশাপাশি এই বিলের সাথেই জড়িয়ে রয়েছে NRC প্রসঙ্গ বলেও মনে করছেন বিরোধীরা। কারন বারবার বিজেপি নেতাদের মুখে উঠে এসেছে ‘দেশজুড়ে এনারসি করার কথা’। আর তারা বারবার বলেছেন এনআরসি হওয়ার আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ পাশ করা হবে। তাই বিরোধীদের মত, এই বিল পাশের মধ্য দিয়েও এনআরসির পথকে প্রশস্ত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, লোকসভায় এই সংশোধনী বিল পাশ হলেও বুধবার বিলটিকে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাশ করাতে হবে কেন্দ্রকে। বিল পাশ করানোর জন্য কেন্দ্রের প্রয়োজন ১২১। এনডিএ-র পক্ষে রয়েছে ১১৬, অন্যান্যদের তরফে ১৪ নিয়ে তারা ১৩০-এ পৌঁছে যাবে বলে আশা কেন্দ্রের।

মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে ৩৬০০০ টাকা পেনশন, কেন্দ্র সরকারের নয়া প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদন : সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিমের অন্তর্গত একটি প্রকল্পটির, যার নাম প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা চালু করেছে কেন্দ্র সরকার৷ জাতীয় পেনশন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রেখে এই প্রকল্পটি লঞ্চ করা হয়েছে। যাতে মাসে মাত্র ১০০ টাকা বিনিয়োগেই পাওয়া যাবে বার্ষিক ৩৬,০০০ টাকার পেনশন। ৬০ বছর পরে নিশ্চিত পেনশনের টাকা পাওয়ার সুযোগ সুবিধা থাকছে।

অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষেরা, যেমন রিকশা চালক, ফুটপাতে যিনি ব্যবসা করেন, যিনি পরিচারক বা পরিচারিকার কাজ করেন, মিড ডে মিলের দলে কাজ করেন, ধোপার কাজ করেন এই রকম পেশার সাথে যুক্ত মানুষেরা যাঁদের মাসিক আয় ১৫,০০০ টাকার কম এই প্রকল্পে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা এই প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। এই প্রকল্প তাদের জন্যও, যাদের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। সেই সমস্ত ব্যবসাদাররাও এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে ৬০ বছর পর মাসে ৩০০০ টাকা করে অর্থাৎ বছরে ৩৬০০০ টাকা পেনশন পাবেন। তবে ব্যবসাদারদের ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের একটি সীমানা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পটি শুরু করতে হলে গ্রাহকদের অবশ্যই আধার কার্ড থাকা প্রয়োজন, পাশাপাশি থাকতে হবে সেভিংস অ্যাকাউন্ট অথবা জনধন যোজনা অ্যাকাউন্ট। এগুলি থাকলে মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটেই এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করা যাবে। কোন ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর হলে প্রতি মাসে তাকে কম করে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ বছরে ১২০০ টাকা বিনিয়োগ। এইভাবে প্রতিমাসে সঞ্চয় করলে দেখা যাবে ওই ব্যক্তির ৬০ বছর বয়সে সঞ্চয় দাঁড়াচ্ছে ৩৬০০০ টাকা।

এরপর ৬০ বছর বয়সের পর থেকে ওই ব্যক্তি মাসে ৩০০০ টাকা নিশ্চিত পেনশন স্কিমে পড়বেন। কোন পেনশনভোগী মারা গেলে তার স্ত্রী ৫০% অর্থাৎ ১৫০০ টাকা করে মাসে পেনশন পাবেন।

মহিলাদের অন্তর্বাসে চমক, যুগান্তকারী আবিষ্কারে ধর্ষণ থেকে বাঁচবে মহিলারা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১২ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর, কিছু মানুষরূপী প্রাণীর লালসার শিকার হন নির্ভয়া, প্রথমে পৈশাচিক ধর্ষণ, তারপর খুন। আজ, সালটা ২০১৯ আবারও নর পিশাচের লালসার শিকার একটি মেয়ে, প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা থেকে নির্ভয়া থেকে আসিফা থেকে কামদুনি, ৩ মাসের কন্যা সন্তান থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা, তাদের পৈশাচিক পরিণতির কথা রোজই একাধিক থাকে খবরের কাগজের পাতায় পাতায়। তবে হয়তো বা মাত্র ২০% ঘটনা আমাদের সামনে উঠে আসে বাকি সবই মিডিয়ার আড়ালে। এই কথা সবাই মানতে বাধ্য ভারতে নারীরা বরাবরই অসুরক্ষিত। তাই অনেক নারীরাই রাস্তায় বের হওয়ার সময় নিজের সুরক্ষার কথা ভেবে পেপার বা চিলি স্প্রে বা ধারালো অস্ত্র রাখেন। তবে যদি এমন কোনো অন্তর্বাস হতো যা ধর্ষণ প্রতিরোধে সক্ষম হতো!

এরকম অনেকেই ভেবেছেন নিশ্চয়। ঠিক সেমতই ভারতের বুকেই নারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আবিষ্কার হলো ‘ধর্ষণ প্রতিরোধক অন্তর্বাস’!

না, কল্পনা নয়, সত্যি। ভারতের একটি জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। জনবহুল হওয়ার সাথে সাথেই নানারকম অপরাধমূলক কাজকর্ম মূলত ধর্ষনের মতন ঘটনার খবর এই জেলা থেকে বারে বারেই উঠে এসেছে। এই জেলারই ফারুকবাদ নামক এক ছোট্ট জেলার বাসিন্দা বিএসসি শিক্ষার্থী সিনু কুমারী এই অলীক কল্পনাকে সত্যিতে রূপান্তরিত করে প্রমাণ করলেন, ভাবলে হয়ত অনেক কিছুই হয়। তিনি এক এমন অন্তর্বাস আবিষ্কার করেছেন যা কেবল ধর্ষণ প্রতিরোধে করতেই না বরং ধর্ষককে শনাক্ত করে দিতেও সাহায্য করবে।

একটি ক্যামেরা এবং একটি জিপিএস যুক্ত করা এই অন্তর্বাসের সাথে যাতে ধর্ষকের ছবি ধরা পড়বে এবং জিপিএসের মাধ্যমে কাছের মানুষ জানতে পারবে তার অবস্থান। শুধু তাই না, কলিং বোতাম ও যুক্ত করা যায় এই অন্তর্বাসের সাথে। যাতে মাত্র একটি ক্লিকেই ফোন চলে যায় পুলিশে! নানা, এখানেই শেষ নয়, অন্তর্বাসে থাকবে একটি লক সিস্টেম যা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দ্বারা খোলা যাবে অর্থাৎ সেটি না জানা কোনো ব্যাক্তি সেই অন্তর্বাসকে খুলতে পারবেন না।

তবে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে হঠাৎ এরকম একটা আবিষ্কারের কথা কিভাবে তার মাথায় এলো। উত্তরপ্রদেশের মতন জনবহুল রাজ্যে নিত্য ধর্ষনের কথা শুনতে শুনতেই তিনি ঠিক করেন এরকম একটি আবিষ্কার প্রয়োজন কিন্তু এই আবিষ্কার করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন একটি প্রতিবেদন পরে। সেই প্রতিবেদনে একটি সাত বছরের শিশুর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কথা বর্ণনা করা হয় যা পরার পর তিনি এই আবিষ্কারের কথা ভাবেন।এলাহাবাদের ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশনে পুরস্কৃত করার জন্য এই আবিষ্কারটির নাম যায়।

সিনু কুমারীর মতে, সবসময় এটি পড়ার প্রয়োজন না হলেও একা কোথাও যাওয়ার সময় নারীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ কথাও ভাবতে হবে যে আমাদের সমাজের পরিস্থিতি বর্তমানে কুরুপ যে এরকম আবিষ্কার নারীদের প্রয়োজনীয় হয় উঠেছে! এই আবিষ্কারের জন্য সিনু কুমারীর কুর্নিশ অবশ্যই প্রাপ্য।

৭ মাস ধরে স্বামী কলকাতায়, স্বামীকে স্বপ্নে ভালোবেসে বিহারে গর্ভবতী স্ত্রী!

নিজস্ব প্রতিবেদন : জীবনের প্রতি মুহূর্তে বিস্ময়কর ঘটনা বারংবার আমাদের হতবাক করে তোলে। গর্ভাবস্থা নিয়েও রয়েছে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা। তবে সম্প্রতি বিহারের এক গৃহবধূর গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা সকলকে করেছে চক্ষু চড়কগাছ। রামায়ণ বা মহাভারতের যুগে দেবতাদের আশীর্বাদে সন্তান প্রাপ্তির ঘটনা বহুল প্রচলিত ভারতে। তবে বর্তমান কলিকালে স্বপ্নে স্বামীকে ভালোবেসে গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা কেউ শোনেননি।

ঘটনা বিহারের ভাগলপুরের। যেখানে এক মহিলা গর্ভবতী হওয়ার কারণে উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। মহিলার স্বামীর কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়, আর কাজের কারণে সাত মাস পর পর ফিরে যান বাড়িতে। ফোনে দুজনের নিয়মিত কথাবার্তা হত। তবে দুর্গা পুজোয় বাড়ি ফিরে আসে ওই মহিলার স্বামী।

ওই গৃহবধূর ননদ দিন কয়েক আগে ঘটনাটি লক্ষ্য করেন। জানতে পারেন ওই গৃহবধূ তাই তিন মাসের গর্ভবতী। কিন্তু সাত মাস ধরে স্বামী বাইরে থাকা সত্ত্বেও কিভাবে গর্ভবতী হলেন তা নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়েন তিনি। পুজোর সময় দাদা বাড়িতে এলে তাকে সমস্ত কথা খুলে বলেন। তারপর ওই গৃহবধূর স্বামী গৃহবধূকে গর্ভবতী হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। প্রশ্নে গৃহবধূর উত্তরে বিস্মিত হয়ে যান ওই গৃহবধূর স্বামী।

উত্তরে গৃহবধূ জানাই, প্রতিদিন রাতে স্বপ্নে তিনি স্বামীকে দেখতেন। স্বপ্নে স্বামীকে ভালোবাসতেন আর সে কারণেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে ওই গৃহবধূর লোক ভোলানো কথায় বরফ গলেনি। অবশেষে ঘটনাটি ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পঞ্চায়েতে জানাই। কিন্তু সেখানেও কোন কাজ না হওয়ায় অবশেষে ওই গৃহবধূর ননদ দ্বারস্থ হয় বিহারের ডিআইজি বিকাশ ভৈরবের নিকট।

তারপর ডাক্তারি পরীক্ষা করে জানা যায় ওই গৃহবধূ ৭৮ দিনের গর্ভবতী। ওই গৃহবধূর ননদ সন্তানের পরিচয় জানতে ডিএনএ টেস্টের দাবি করেছেন। অন্যদিকে বারবার সন্তানের পরিচয় জানতে চাপ সৃষ্টি করলে ওই গৃহবধূ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

তবে সেই হুমকিতে কাজ হয়নি, ওই গৃহবধূকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ,পূর্ব পরিচিত এক যুবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পরই ওই গৃহবধূ গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে আসছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

অমরনাথ দত্ত : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে এবার পা রাখতে চলেছেন দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রীতি অনুসারে তিনি বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ পরিদর্শকের পদে রয়েছেন। তিনি ১১ ই নভেম্বর বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে বিশ্বভারতী সূত্রে।

বিশ্বভারতীতে রাষ্ট্রপতি’র উপস্থিতি নিয়ে রাইসিনা হিল থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম আসতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ শে মে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের শ্যামলী গৃহের উদ্বোধনে এবছর ১৬ ই আগস্ট বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু।

আর এবার ১১ ই নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় আম্রকুঞ্জে সমাবর্তনে উপস্থিত হবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। প্রথা অনুযায়ী সেদিন তিনি পড়ুয়াদের হাতে শংসাপত্র ও ছাতিম পাতা তুলে দেবেন। বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে এবছর রাষ্ট্রপতি’র উপস্থিতি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সমস্ত কথা হয়ে গেছে, সেই মতো তারা প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন।

পুজোর আগে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, বাড়লো গ্যাসের দাম। জানেন কত?

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোয় আর হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন। আর তার আগেই মধ্যবিত্তের হেঁসেলে আগুন। মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে বাড়লো গ্যাসের দাম। গতমাসে দাম বাড়ার পর আবার এ মাসে এক ধাক্কায় ভর্তুকি সিলিন্ডারে দাম বাড়লো ১৫ টাকা। আজ পয়লা অক্টোবর থেকে ভর্তুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কার্যকরী হলো।

গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমেই দাম বেড়েছিল ভর্তুকিহীন গ্যাসের। এরপর ফের অক্টোবর মাসে দাম বাড়লো ভর্তুকিহীন গ্যাসের সিলিন্ডারের। সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ মাসে দাম বেড়েছে ১৬.৫০ টাকা প্রতি ১৪.২ কিলোগ্রাম সিলিন্ডার পিছু।

গত মাসে যে সিলিন্ডার কলকাতায় মিলতো ৬০১ টাকায় তার জন্য এই মাস থেকে গুনতে হবে ৬১৬.৫০ টাকা। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সাথে পাল্লা দিয়ে পরপর দু মাসে দু’দফায় বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। তবে তার আগে সব মিলিয়ে রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়েছিল ১৬৩ টাকা।

আইওসির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বিদেশি মুদ্রার মূল্য ওঠা পরা, মুদ্রাস্ফীতির কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পেট্রোপণ্য নিয়ে কেন্দ্র সরকারের নতুন নীতির ফলে প্রতি মাসেই এলপিজির দাম বাড়া কমা করে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে ভারতের বাজারে দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে দামের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও নির্ভর করে ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের মতো বড় বড় সংস্থার উপর। আর এই দাম বাড়া কমার ফলে যারা ভর্তুকির বাইরে তাদের কপালে দামের কপিটা পড়ে বেশি।

রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বছরে ১২টি সিলিন্ডার পাওয়া যায় ভর্তুকি সহ। তার থেকে বেশি সিলিন্ডার নিতে বলে ভর্তুকি ছাড়াই গ্রাহককে নিতে হয়। আর এমতো অবস্থায় পুজোর আগে গ্যাসের দাম কিছুটা হলেও বৃদ্ধিতে ব্যাজার মুখ আমজনতার।

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে LIC! বাজারে ছড়ছে গুজব, কি বলছেন এলআইসি কর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই বাজারে সাধারণ মানুষদের মধ্যে ছড়িয়েছে জীবন বীমা সংস্থা এলআইসি সংক্রান্ত একটি খবর। আর যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত এলআইসি জীবন বীমা সংস্থার পলিসি হোল্ডার থেকে শুরু করে এজেন্টরা। এলআইসি নিয়ে এই খবরে এত আতঙ্ক কিসের! আসলে খবরটি হলো, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এলআইসি নাকি কোটি কোটি টাকা লোকসানে চলছে, আর এলআইসি তাদের সমস্যা বেশি দিন টেনে নিয়ে যেতে পারবে না, এমনকি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারবে না।

তবে এই খবরের সত্যতা কতটা। রটে যাওয়া এই খবর আদৌ কতটা সত্য, বা কতটা মিথ্যা। যার প্রসঙ্গে অনুসন্ধান করতে আমরা সরাসরি যোগাযোগ করেছিলাম এলাইসির সিউড়ি শাখার ডেভেলপমেন্ট অফিসার চন্দন রুদ্রর সাথে। তিনি এই খবর সংক্রান্ত সমস্ত সত্য মিথ্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেন।

তাঁর কথা অনুযায়ী, “ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত গুজব, অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে ভারতীয় জীবন বীমা নিগম (Life Insurance Corporation of India) নাকি লোকসানে চলছে, ৫৭০০০ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে, ফলে পলিসি হোল্ডারদের টাকা ফেরত দিতে পারবে না। এই অপপ্রচারে জনসাধারণ কিছুটা বিভ্রান্তও হচ্ছেন।”

এরপর তিনি বলেন, “প্রথমেই বলে রাখি এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। ভারতীয় জীবনবীমা নিগম এদেশের নিরাপদতম অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান।”

এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু তথ্য দিয়ে তিনি বিষয়টি করেন। বলেন, “১৯৯১ সালে ভারতীয় বাজার খুলে যায় বিশ্বের কাছে। বিভিন্ন সেক্টরে নানা প্রাইভেট কোম্পানি আসে। ইনস্যুরেন্স মার্কেট খোলে ২০০০ সালে। বর্তমানে জীবন বীমা ক্ষেত্রে সরকারী এলআইসি ছাড়াও আরও ২৩টি প্রাইভেট কোম্পানি কাজ করছে। সময়ের সাথে সাথে, মূলত সরকারের ভুল আর্থিক নীতির জন্য, সরকারী সংস্থাগুলো প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে গেছে। সরকারী ব্যাঙ্ক, বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া তার জ্বলন্ত উদাহরণ। ব্যতিক্রম ভারতীয় জীবন বীমা নিগম। ভারতীয় জীবন বীমা নিগম শুধু এদেশের নয় পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বড় (পলিসি সংখ্যায়) জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান। ৩১ শে মার্চ ২০১৯ এর হিসাব অনুযায়ী আমাদের চালু পলিসির সংখ্যা ২৯.০৯ কোটি, মোট সম্পত্তি ৩১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। পলিসি ও প্রিমিয়ামে আমাদের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ৭৪.৭১শতাংশ এবং প্রিমিয়ামে ৬৬.২৪ শতাংশ। ভারতীয় অর্থনীতি যখন খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখনও এই অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে আমাদের প্রিমিয়াম ইনকাম গ্রোথ অবিশ্বাস্য ৪৬.৫২ শতাংশ।”

তিনি আরও জানান, “শুধু তাই নয়, প্রিমিয়াম ইনকামের মার্কেট শেয়ার গতবারের থেকে ৭% বেড়ে ৭৩.০৬ শতাংশ। অর্থাৎ বাকি ২৩ টি প্রাইভেট কোম্পানির সম্মিলিত মার্কেট শেয়ার মাত্র ২৬.৯৪ শতাংশ।”

রটে যাওয়া ভুয়ো খবরের বিপক্ষে তিনি দাবি করেন, “আগেই বলেছি ৫৭০০০ কোটি টাকার ক্ষতির যে অপপ্রচার বাজারে চলছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কুতর্কের খাতিরে সেটাকে সত্যি বলেও যদি ধরা হয় তাহলে দেখবেন তা এলআইসি’র মোট সম্পত্তির ২ শতাংশেরও কম। শুধুমাত্র ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সমস্ত পাওনা মেটানোর পরও উদ্বৃত্ত বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৫৭০০০ কোটি নিয়ে যে অপপ্রচার চলছে সেটাও গতবারের উদ্বৃত্ত অর্থের মাত্র ১৬ শতাংশ।”

তাঁর দাবি, “ভারতীয় জীবনবীমা নিগম একটি জনকল্যাণকামী সংস্থা, তাই সাধারণ মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে এই সংস্থার অধিকাংশ অর্থ মূলত দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়, যার পরিমাণ ইতিমধ্যে ২২ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা কিছু টাকা শেয়ার মার্কেটেও ইনভেস্ট করি। শেয়ার মার্কেট সর্বদা পরিবর্তনশীল হওয়ায় আপনার আমানতও পরিবর্তিত হয়। একটা সহজ উদাহরণ নেওয়া যাক। ধরা যাক, আপনি ২ বছর আগে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ৩ মাস আগে আপনার ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছিল ১৩০ টাকা। বর্তমানে সেটা কমে হয়েছে ১২০ টাকা। এখন প্রশ্ন হল, আপনি উপরের উদাহরণ থেকে কি বলবেন যে আপনার ১০ টাকার ক্ষতি হয়েছে? নিশ্চয় নয়। আপনি বরং বলতে পারেন আপাতত ভাবে আপনার লাভ ৩০ টাকা থেকে কমে ২০ টাকা হয়েছে। আপনি তো শেয়ারটা বিক্রি করেননি তাহলে লাভ-ক্ষতির হিসেব কোথা থেকে আসবে? শেয়ার মার্কেট চাঙ্গা হলে আবার ওই ২০ টাকার লাভটা বেড়ে আবার ৪০ টাকা হতে পারে। ৫৭০০০ কোটি টাকা ক্ষতির অপপ্রচারটাও ঠিক এমনই। ভারতীয় জীবন বীমা নিগম বিগত চার বছরে শেয়ার মার্কেট থেকে যথাক্রমে ১১০০০ কোটি টাকা, ১৯০০০ কোটি টাকা, ২৫০০০ কোটি টাকা ও ২১০০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। সত্যিটা জানুন,মিথ্যাকে পরিত্যাগ করুন।”

বাড়িতে বসেই সংশোধন করুন ভোটার আইডি কার্ড, পাল্টাতে পারেন ছবিও

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটার কার্ড একজন ভারতীয় নাগরিকের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ভোটার কার্ডেই আমরা দেখেছি বেশিরভাগ নাগরিকের রয়েছে অজস্র ভুল ত্রুটি। আর এই ভুল ত্রুটি সংশোধনের জন্য বারবার ছুটে যেতে হতো নির্বাচন কমিশনের দপ্তরগুলিতে। কিন্তু এখন থেকে আর ছোটাছুটির দরকার নেই, বাড়িতে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই মাত্র ৫-১০ মিনিটেই এই সকল ভুলত্রুটি আপনি সংশোধণ করে নিতে পারবেন।

আর প্রক্রিয়াটি আপনি করে নিতে পারবেন নির্বাচন কমিশন ১লা সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচকের তথ্য যাচাই করণ যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে তার মাধ্যমেই। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত। ভোটার কার্ড সংশোধন করতে আপনাকে ভোটার নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্বাচক তালিকায় নিজের এবং নিজের পরিবারের সকল ভোটারের নাম ও তালিকা যাচাই করতে হবে।

ভোটার কার্ডের ভুল ত্রুটি সংশোধনের জন্য যা যা করতে হবে-

  • পরিবারের সকল ভোটারের তথ্য যাচাই বা সংশোধনের জন্য একটি মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।
  • সঙ্গে রাখতে হবে সকল ভোটারের এপিক বা সচিত্র পরিচয় পত্রের (ভোটার কার্ড) নম্বরটি।
  • ভোটার কার্ডে যেগুলি সংশোধন করতে চান সেগুলির সপক্ষে যথোপযুক্ত ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখুন।
  • যেমন – আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেশন কার্ড, আইডেন্টিটি কার্ড ইত্যাদি। ডকুমেন্টের ছবি, যার সাইজ ২ এমবি’র কম মাপের পেন ড্রাইভে বা অন্য কোন ভাবে সফট কপি হিসাবে রাখুন।
  • ছবির পরিবর্তন করার প্রয়োজন থাকলে ছবির সফট কপি, যার সাইজ ২ এমবি’র কম মাপের সঙ্গে রাখুন।
  • এরপর www.nvsp.in এই ওয়েব সাইটটিতে লগইন করতে হবে ও একটি ক্যাপচা দিতে হবে।
  • ফোন নম্বর দেওয়ার জায়গায় ফোন নম্বর দিতে হবে ও ক্যাপচা অনুযায়ী নির্দিষ্ট বক্সে তা লিখতে হবে।
  • এরপর নতুন রেজিস্ট্রেশনের জন্য চেক করতে হবে।
  • আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বার একটি OTP আসবে। সেই OTP নির্দিষ্ট ঘরে দিতে হবে।
  • এরপর Password তৈরি হবে। তার জন্য পর পর দুবার পাসওয়ার্ড বসাতে হবে। একবার প্রথমে ও দ্বিতীয়বার সেটিকে কনফার্ম করার জন্য। তাহলেই রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে।
  • রেজিস্টার হয়ে যাওয়ার পর আবার www.nvsp.in নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ-ইন করতে হবে।
  • User ID দিতে হবে, আপনার পূর্ব প্রদত্ত মোবাইল নং এবং Password দিতে হবে, যেটি আপনি তৈরি করেছেন।

এরপরে EVP নামক ট্যাবে গেলে আবার ৪ টি ট্যাব পাবেন।

১) Verify Self Details

২) Polling Station Feedback

৩) Family Listing & authentication

৪) Unenrolled Members

Verify Self Details-এ গেলে ভোটারের তথ্য ও পাশে View Details দেখতে পাবেন।

এখানে ভোটার নিজের নাম ও ভোটার তালিকার বিশদ বিবরণ দেখতে পাবেন। বিবরণের নিচে দুটি অপশন দেওয়া থাকবে।

(১) সব বিবরণ ঠিক আছে।

(২) সব বিবরণ ঠিক নেই।

এখন যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ভুল থাকে তাহলে আপনাকে দ্বিতীয় অপশন অর্থাৎ ‘সব বিবরণ ঠিক নেই’ -এ ক্লিক করতে হবে।

  • তারপর কোন কোন ক্ষেত্রে ত্রুটি আছে, সেগুলি চেক বক্সে টিক সিলেক্ট করুন।
  • চেকবক্স অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফিল্ডগুলি পূরণ করুন। পূরণ করা যাবে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষার মাধ্যমে। বাংলায় পূরণ করার জন্য ডানদিকে কিবোর্ডের আর বটন রয়েছে।
  • ভুল সংশোধনের করার সাথে সাথে সেই সংক্রান্ত একটি নথি আপলোড করতে হবে যার সর্বোচ্চ সাইজ হবে ২ এমবি এবং কোন নথি আপলোড করা হলো তা ডানদিকের ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে সিলেক্ট করতে হবে।
  • সবশেষে সাবমিট করার পর একটি ফর্ম নম্বর দিয়ে ফর্ম ৮ নিজে নিজেই তৈরি হবে যা দেখে সঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিয়ে আবার সাবমিট করে দিতে হবে।

সুবিধা –

  • কমিশনের পোর্টাল নিবন্ধভুক্ত ভোটার হিসাব স্থায়ী অন্তর্ভুক্তি।
  • এস.এম.এসের মাধ্যমে তথ্যের বিনিময় ও অ্যালার্ট।
  • ই.আর.ও এবং বি.এল.ও-র সাথে যােগাযােগের সুবিধা।
  • আপনাকে অবহিত না করে ভোটার তালিকা থেকে আপনার নাম বাদ না দেওয়া।
  • নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য আপনার মোবাইলে ই-মেলে প্রদান।
  • পরিবারের সকল নির্বাচক সদস্যের ভোটার তালিকায় একই স্থানে অবস্থান
  • প্রতিবন্ধকতা যুক্ত নির্বাচকের সুবিধার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ! অবিলম্বে করুন ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন, জানুন পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় নির্বাচন কমিশন ১লা সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচকের তথ্য যাচাই করণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন যে কেউ বাড়িতে বসেই নিজস্ব মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে ভোটার তালিকা আপডেট করাতে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে গরিব সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষেরা অধিকাংশই সচেতন নয়, তাই আমার আপনার কর্তব্য সকলের মধ্যে এই প্রক্রিয়াকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাদের সজাগ করা।

নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকাকে নির্ভুল করে তোলার জন্য এই বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আর সে কারণে ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্বাচক তালিকায় নিজের এবং নিজের পরিবারের সকল ভোটারের নাম ও তালিকা যাচাই করে নিন।

কিভাবে যাচাই করবেন?

যা যা প্রয়োজন –

পরিবারের সকল ভোটারের তথ্য যাচাইয়ের জন্য একটি মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।

সঙ্গে রাখতে হবে সকল ভোটারের এপিক বা সচিত্র পরিচয় পত্রের (ভোটার কার্ড) নম্বরটি।

যদি ভোটার কার্ডে কোনরকম সংশোধন করতে হয় তাহলে যেটি সংশোধন করবেন সেই সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখুন।

আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেশন কার্ড, আইডেন্টিটি কার্ড এই ধরনের যেকোনো একটি ডকুমেন্টের ছবি, যার সাইজ ২ এমবি’র কম মাপের পেন ড্রাইভে বা অন্য কোন ভাবে সফট কপি হিসাবে রাখুন।

ছবির পরিবর্তন করার প্রয়োজন থাকলে ছবির সফট কপি, যার সাইজ ২ এমবি’র কম মাপের সঙ্গে রাখুন।

যদি পরিবারে নতুন সদস্যের নাম তোলার যোগ্য বা প্রয়োজন (০১-০১-২০১৯ তারিখে ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে) সদস্য থাকে, সেক্ষেত্রে তার সমস্ত রকম ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখুন।

যা যা করতে হবে-

www.nvsp.in এই সাইটটিতে লগইন করতে হবে ও একটি ক্যাপচা দিতে হবে।

ফোন নম্বর দেওয়ার জায়গায় ফোন নম্বর দিতে হবে ও ক্যাপচা অনুযায়ী নির্দিষ্ট বক্সে তা লিখতে হবে।

এরপর নতুন রেজিস্ট্রেশনের জন্য চেক করতে হবে।

আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বার একটি OTP আসবে। সেই OTP নির্দিষ্ট ঘরে দিতে হবে।

এরপর Password তৈরি হবে। তার জন্য পর পর দুবার পাসওয়ার্ড বসাতে হবে। একবার প্রথমে ও দ্বিতীয়বার সেটিকে কনফার্ম করার জন্য। তাহলেই রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে।

রেজিস্টার হয়ে যাওয়ার পর কি কি করতে হবে

আবার www.nvsp.in নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ-ইন করতে হবে।

User ID দিতে হবে, আপনার পূর্ব প্রদত্ত মোবাইল নং এবং Password দিতে হবে, যেটি আপনি তৈরি করেছেন।

এরপরে EVP নামক ট্যাবে গেলে আবার ৪ টি ট্যাব পাবেন।

১) Verify Self Details

২) Polling Station Feedback

৩) Family Listing & authentication

৪) Unenrolled Members

Verify Self Details-এ গেলে ভোটারের তথ্য ও পাশে View Details দেখতে পাবেন।

এখানে ভোটার নিজের নাম ও ভোটার তালিকার বিশদ বিবরণ দেখতে পাবেন। বিবরণের নিচে দুটি অপশন দেওয়া থাকবে।

(১) সব বিবরণ ঠিক আছে।

(২) সব বিবারণ ঠিক নেই।

সব বিবরণ ঠিক থাকলে কি করবেন?

এবার যদি সব বিবারণ ঠিক থাকে তাহলে নিম্নলিখিত নথিপত্রের একটিকে স্ক্যান করে আপলোড করে দিন। মনে রাখবেন স্ক্যানের সাইজ সর্বোচ্চ ২ এমবি, তার বেশি হলে আপলোড হবে না।

যে ডকুমেন্টগুলি আপলোড করতে পারবেন -১) পাসপোর্ট, ২) ড্রাইভিং লাইসেন্স, ৩) আধার কার্ড, ৪) রেশন কার্ড, ৫) সরকারি অথবা আধা-সরকারি পরিচয় পত্র, ৬) ব্যাঙ্কের পাস বই, ৭) কৃষক পরিচয়পত্র, ৮) প্যান কার্ড, (pan) ৯) NPR এর স্মার্ট কার্ড, ১০) সাম্প্রতিক জল, টেলিফোন, বিদ্যুত, গ্যাস কানেকশন, এর বিল, (যেখানে ওই ভোটারের ঠিকানা দেওয়া আছে) ১১) ECl দ্বারা অনুমোদিত অন্যান্য নথিপত্র, যেকোনো একটি।
কি ধরনের ডকুমেন্ট আপলোড করছেন সেটি পাশে দেওয়া ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে সিলেক্ট করতে হবে ও সবশেষে তার নম্বর পাশের বক্সে দিতে হবে এবং সাবমিট করে দিন।

যদি সব বিবরণ ঠিক না থাকে-

তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ত্রুটি আছে, সেগুলি চেক বক্সে টিক সিলেক্ট করুন।

চেকবক্স অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফিল্ডগুলি পূরণ করুন। পূরণ করা যাবে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষার মাধ্যমে। বাংলায় পূরণ করার জন্য ডানদিকে কিবোর্ডের আর বটন রয়েছে।

ভুল সংশোধনের করার সাথে সাথে সেই সংক্রান্ত একটি নথি আপলোড করতে হবে যার সর্বোচ্চ সাইজ হবে ২ এমবি এবং কোন নথি আপলোড করা হলো তা ডানদিকের ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে সিলেক্ট করতে হবে।

সবশেষে সাবমিট করার পর একটি ফর্ম নম্বর দিয়ে ফর্ম আট নিজে নিজেই তৈরি হবে যা দেখে সঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিয়ে আবার সাবমিট করে দিতে হবে।

পরিবারের সদস্যদের নাম যাচাইয়ের জন্য যা করবেন

নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল পোর্টালে নিজের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন।

এবার EVP ট্যাবে গিয়ে সেখানে Family Listing & Authentication পাবেন এবং সেখান থেকে প্রথম ট্যাব অর্থাৎ Family Listing ট্যাবে যান।

তারপর নিজের নাম ও ভোটার লিস্টের সিরিয়াল নাম্বার দেখা যাবে, পাশের Add Self to Family অপশনে ক্লিক করে নিজেকে ওই পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে যুক্ত করুন। ড্রপ ডাউন বক্সে Relation Type হবে Self এবং Add Member এ ক্লিক করুন।

এবার যাকে যাকে যুক্ত করতে চান তার EPIC No (ভোটার কার্ড নাম্বার) নির্দিষ্ট বক্সে দোয়া Add to Family বটনে ক্লিক করুন। এবার ড্রপ ডাউন বক্সে সেই ব্যক্তির সাথে নিজের Relation Type সিলেক্ট করুন। যেমন – বাবা, মা, স্ত্রী, স্বামী ইত্যাদি।

এবার নিচে Staying With You (আপনার সঙ্গে থাকেন) অথবা Not Staying With You (আপনার সঙ্গে থাকেন না) এর মধ্যে যেটি প্রযোজ্য সেটিকে সিলেক্ট করুন।
Not Staying With You করলে Shifted (স্থানান্তরিত) ও Deceased (মৃত) দুইটি অপসন পাবেন, এর মধ্যে যেটি প্রযোজ্য সেটিকে সিলেক্ট করুন।

এবার নিচে অ্যাড মেম্বারে সিলেক্ট করুন, তখন ওই ব্যক্তির নাম পরিবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।

পরিবারের সকলের নাম লিস্টে যুক্ত করে দেওয়ার পর নিচে ‘Have You Added all Family Members’ এর ‘Yes’ অপশনটি সিলেক্ট করে সাবমিট করলে পরিবারের তালিকা লক হয়ে যাবে আর কোন নাম পরিবারে যুক্ত করা যাবে না।

এবার পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম যাচাইয়ের Family Listing & Authentication ট্যাবে গিয়ে নিজের ভোটার তালিকা যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করুন। তারপর দ্বিতীয় ট্যাব অর্থাৎ Family Verification সিলেক্ট করতে হবে।

এখানে পরিবারের সদস্যদের নাম ও তার পাশে নীল রঙের View Details এ গেলে ওই সদস্যদের নির্বাচনী তথ্য দেখতে পওয়া যাবে, যে ভাবে আপনি নিজের ক্ষেত্রে দেখতে পেয়েছিলেন।

প্রতিটি সদস্যের তথ্য যাচাই করুন ঠিক নিজের করা যাচাইয়ের মত।

তথ্য যাচাই হলে View Details এর বটনের রং নীল থেকে সবুজ হয়ে যাবে।

তথ্যাদি নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল নোটিফিকেশন থেকে সংগৃহীত।

জাতীয় পতাকা ব্যবহারের রয়েছে বিশেষ কতকগুলি বিধিমালা ও আইন কানুন

নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বাধীনতা দিবস হোক অথবা প্রজাতন্ত্র দিবস জাতীয় পতাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে কতকগুলি বিশেষ বিধিমালা এবং আইন কানুন। জাতীয় পতাকা বিশেষ দিনে ব্যবহারের আগে আমরা কতটা পালন করে থাকি সেই বিধিমালা ও নিয়ম কানুনকে! স্বাধীনতা দিবস অথবা প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের আগে অবশ্যই এগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন।

জাতীয় পতাকা দেশের স্বভিমান এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। তাই জাতীয় পতাকাকে ব্যবহারের সময় আমাদের সকলের উচিত তার উপযুক্ত সম্মান দেওয়া। আমাদের অনেকের মধ্যেই জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা নেই। জাতীয় পতাকার যথাযথ ব্যবহার এবং সম্মান প্রদর্শনের জন্য ২০০২ সালে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বেশ কিছু নির্দেশাবলী জারি করেছিল যা ‘ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া’ নামে পরিচিত। ভারতের ঐতিহ্য ও স্বভিমান জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই জেনে রাখা উচিত সেই সকল নিয়ম কানুনকে।

Source

জাতীয় পতাকার আকার অবশ্যই আয়তাকার হতে হবে, যার মাপ হবে ৩:২ অনুপাতে। এছাড়াও যানবাহন এবং বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় পতাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পতাকার সাইজ। যেমন বিশিষ্ট দেশ প্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বিমানে ৪৫০×৩০০ মিলিমিটার সাইজের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে হবে। মোটর গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করলে ২২৫x১৫০ মিলিমিটার সাইজের পতাকা ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসনিক টেবিলে জাতীয় পতাকা রাখার জন্য সাইজ হবে ১৫০x১০০ মিলিমিটার।

ভারতের জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ভারতের সাধারণ নাগরিক, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই যদি তারা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন। আর সেই নিয়মগুলি হলো –

স্বাধীনতা দিবস, গণতন্ত্র দিবস, মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। এছাড়াও এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডে শহীদ দেশবাসীর স্মৃতিতে ও রাজ্য সরকার কতৃক ঘোষিত বিশেষ কিছু দিনে এবং রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবসের মত বিশেষ কতকগুলি দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত পতাকা উত্তোলিত করা অবস্থায় রাখা যেতে পারে।

Source
  • কোনরকম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না জাতীয় পতাকাকে।
  • তরল জাতীয় কোন পদার্থে জাতীয় পতাকাকে ডোবানো যাবে না।
  • জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করা যাবে না পোশাকের অংশ অথবা পোশাক রূপে।
  • জাতীয় পতাকাকে সেলাই করা যাবে না অথবা বালিশ, চাদর, গামছা, রুমালের মত কোন কিছুর উপর প্রিন্ট করা যাবে না।
  • জাতীয় পতাকার উপর যে কোন রকম লেখালেখি নিষিদ্ধ।
  • জাতীয় পতাকাকে কোন কিছু দিয়ে ঢাকা দেওয়া অথবা জাতীয় পতাকার ব্যবহার করে কোন কিছু বহন করা যাবে না।
  • জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন গেরুয়া রং সবসময় উপরে থাকে। অর্থাৎ উল্টোভাবে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা জাতির অবমাননা।
  • জাতীয় পতাকাকে মঞ্চ বা টেবিল ঢাকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
  • ছিঁড়ে যাওয়া অথবা ক্ষতিগ্রস্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন অথবা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
  • সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত এই সময়ের মধ্যেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন অবস্থায় থাকা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ অন্ধকার নামার আগেই জাতীয় পতাকাকে উত্তোলন স্থল থেকে যথাযথ মর্যাদায় নামিয়ে নিতে হবে।
Source

তবে ভারতের বিভিন্ন হাইকোর্ট, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সচিবালয়, পুলিশ কমিশনের অফিস, জেলা কালেক্টারের অফিস, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সংশোধনাগার, জেলা পরিষদ অফিস, জেলা প্রশাসন ভবন, এছাড়াও সরকারি অধিগ্রহনকারী বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয়ে প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যেতে পারে। তবে সূর্যাস্তের পর যথাযথ মর্যাদায় তা খুলে রাখতে হবে এবং রবিবার ও ছুটির দিন পতাকা উত্তোলন বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সস্তা প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা উচিত নয়।

গোপন অথবা প্রকাশ্যে জাতীয় পতাকার অপমান করলে ১৯৭১ (The Prevention Of Insult To National Honour Act)-এর ২ নং ধারা অনুযায়ী ওই ব্যক্তি হবেন। দোষ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হতে পারে।

নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়নি কেন? ‘ভারতরত্ন’ কি কি সুবিধা দেয়?

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯৫৪ সালের ২রা জানুয়ারি ভারতরত্ন উপাধি প্রদান শুরু করেন। ভারতরত্ন ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। প্রথমদিকে এই সম্মান সাহিত্য, কলা, বিজ্ঞান এবং সামাজিক ক্ষেত্রেই দেওয়া হতো। তবে পরে এই নিয়মের পরিবর্তন করা হয়। মানবিক কৃতিত্বের ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম আনা হয়।

ভারতরত্ন পুরস্কার বা উপাধি হলো ৩৫ মিলিমিটার গোলাকার একটি সোনার পদক। পূর্বে এর সামনের দিকে মাঝখানে থাকতো সূর্যের ছবি, উপরের দিকে রূপোর গিলটিতে লেখা থাকতো “ভারতরত্ন”। নিচের দিকে থাকতো পুষ্পহার খোদিত।

Source

পরবর্তীকালে এই সকল বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমানে ভারতরত্ন পুরস্কারটি তামা দিয়ে তৈরি এবং বট পাতার মতো দেখতে। বর্তমানে এটি ৫৯ মিলি মিটার লম্বা, ৪৮ মিলিমিটার চওড়া এবং ৩ মিলিমিটার প্রস্থ। যার সামনে থেকে প্লাটিনামের তৈরি সূর্যের ছবি থাকে এবং রূপোর গিলটিতে থাকে ভারতরত্ন। পিছন দিকে খচিত থাকে ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং নিচে লেখা থাকে ভারতের জাতীয় নীতিবাক্য ‘সত্যমেব জয়তে’।

সাধারণত প্রতিবছর ২৬ শে জানুয়ারি এই পুরস্কার প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে। প্রতি বছর তিন জনকে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

ভারতরত্ন পুরস্কারের সাথে কোন অর্থ দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র রাষ্টপতির হস্তাক্ষরে একটি প্রমাণ পত্র দেওয়া হয়। সঙ্গে একটি মেডেল যার মূল্য দু লক্ষ টাকার বেশি।

ভারতরত্ন প্রাপকদের কোন রকম ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় না এবং এয়ার ইন্ডিয়া ও রেলের প্রথম শ্রেণীর যাত্রা বিনামূল্যে করতে পারেন।

১৯৫৪ সালের পর থেকে এ অবধি ৪৫ জন ব্যক্তি এই সম্মান পেয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জন পেয়েছেন মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান। প্রথমে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে এই নিয়ম শুরু হয়। ১৯৬৬ সালে প্রথম মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান পান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী।

ভারতরত্ন সম্মান প্রাপককে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। মাদার টেরিজা ছাড়াও এই সম্মান পেয়েছেন আরো দুজন বিদেশি। পাকিস্তানি নাগরিক আবদুল গফর খান ১৯৮৭ সালে এবং আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯০ সালে এই উপাধি পান। ৪০ বছর বয়সে সচিন তেন্ডুলকর ভারতরত্ন উপাধি পান। তিনিই কণিষ্ঠ ভারতরত্ন সম্মানের অধিকারী।

Source

প্রথম বাঙালি হিসেবে ভারতরত্ন উপাধি পেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়। তিনি ১৯৬২ সালে পেয়েছিলেন ভারতরত্ন সম্মান। ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় পেশায় একজন ডাক্তার হলেও তাঁর অবদান ছিল শিক্ষা, সমাজসেবা এবং রাজনীতিতে অপরিসীম। তাইতো তিনি পশ্চিমবঙ্গের রূপকার হিসাবে অভিহিত। দ্বিতীয় বাঙালি হিসাবে ভারতরত্ন সম্মান পেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়ের ১৯৯২ সালে। ১৯৯৯ সালে আরো দুই বাঙ্গালী নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত অমর্ত্য সেন এবং পন্ডিত রবি শংকর এই সম্মানে ভূষিত হন। আর এবার ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি আরো একজন বাঙালী হিসাবে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্নের অধিকারী হতে চলেছেন ২০১৯ সালে।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং ভারতরত্ন

Source

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের অবসান এখনো ঘটেনি। ১৯৯২ সালে তাকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়। কিন্তু এই মহান দেশপ্রেমিকের মৃত্যুর প্রমাণ হিসেবে ভারত সরকার অথবা অন্য কেউই যথোপযুক্ত তথ্য পেশ করতে পারেননি এ অবধি। তাই এই পুরস্কার নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। পরে ১৯৯৭ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে দেওয়া সেই ভারতরত্ন সম্মান ভারত সরকার ফিরিয়ে নেয়। আর এটাই হল ভারত এবং ভারতরত্নের ইতিহাসে প্রথম, সেখানে ঘোষণা করেও পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

আধার কার্ডে ভুল থাকলে ১০০০০ টাকা জরিমানা! কেন্দ্রের নয়া আইন

অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি বাজেটে ঘোষণা করেছেন আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বা প্যান কার্ড যে কোনও একটি নথি জমা দিলেই চলবে৷ যদি কারোর প্যান নাম্বার না থাকে, তবে আধার নাম্বার দিলেও হবে৷ এর মধ্যেই আধার কার্ডের আধার নাম্বারের সত্যতা যাচাইয়ে এবার কড়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। মোটা টাকার লেনদেনে আধার নাম্বার ভুল করলেই দিতে হবে ১০,০০০ টাকা জরিমানা।

১ লা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে চলেছে এই নির্দেশিকা। আয়কর রিটার্ন জমা অথবা বড় অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে প্যান উল্লেখ না করার কোনও অজুহাত আর শুনবে না কেন্দ্র। আগষ্ট মাসের মধ্যে আপনি যদি আপনার প্যান ও আধার নাম্বার ‘লিঙ্ক’ না করান, তবে ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে ওই প্যান ‘ইনভ্যালিড’ বা বাতিল করে দেবে আয়কর দপ্তর।

কেন এই আইন?

আয়কর রিটার্নের সময় যাতে ভুল আধার নাম্বার দিয়ে কেউ কারচুপি করতে না পারে সেকারণেই এই নিয়ম জারি করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশের ১২০ কোটি নাগরিকের আধার কার্ড রয়েছে আর প্যান কার্ড রয়েছে ৪১ কোটি মানুষের। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র ২২ কোটি মানুষেরই প্যান ও আধার লিঙ্ক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাকি আধার নাম্বার এবং প্যান সংযুক্তিকরণ না থাকায় আয়কর ফাঁকি সহ একাধিক বেআইনী লেনদেনের পথ প্রশস্ত থাকছে। সেই সম্ভাবনা রুখতে কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকা।

জরিমানা থেকে বাঁচতে কি করতে হবে?

আধার কার্ডে কোনও ভুল থাকলে দ্রুত তা পরিবর্তন করান৷ সেপ্টেম্বরের পর সেই তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে বা ভুল তথ্য দিয়েই কোনও গ্রাহক আধার কার্ডের সুবিধা পেতে চাইলে, তা গ্রাহ্য কোনোভাবেই হবে না৷ উপরন্তু গ্রাহককে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা৷ যতবার এই ভুল তথ্য সম্বলিত আধার কার্ড ব্যবহার করা হবে, ততবারই এই পরিমাণ জরিমানা দিতে বাধ্য থাকবেন গ্রাহক

প্যান আধার লিঙ্ক না করলে কি হবে?

প্যান-আধার যোগ না থাকলে বা প্যান না থাকলে আপনি আয়কর রিটার্ন জমা বা বড় অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে আধার ব্যবহার করতে পারেন অবশ্যই। কিন্তু, আগষ্ট মাসের মধ্যে প্যান-আধার যোগ না করলে আপনার পুরোনো প্যান বাতিল করে দেবে আয়কর দপ্তর এবং যাঁদের প্যান নেই আয়কর দপ্তর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাঁদেরকে আধার-লিঙ্কড ‘ই-প্যান’ ইস্যু করবে। তখন সব জায়গায় সেই ‘ই-প্যান’ উল্লেখ করতে হবে।

প্যান আধার লিঙ্ক করার সময়সীমা?

১ লা এপ্রিল থেকে কর জমা দেওয়ার সময় আধার-প্যান লিঙ্ক বাধ্যতামূলক। যাঁরা এখনও লিঙ্ক করে উঠতে পারেন নি, তাঁদের আগামী ৩১ শে আগস্টের মধ্যে আধার ও প্যান লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। আগে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সঙ্গে শেষ সময়সীমা স্থির হয়েছিল ৩০ শে জুন, ২০১৮ ৷ কিন্তু এরপর সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ ধার্য করা হয়। সেই সময় শেষ হতে না হতেই ফের বাড়ানো হয় সময়।

কীভাবে প্যান আধার লিঙ্ক করবেন?

ইনকাম ট্যাক্স ই-ফাইলিং পোর্টালের মাধ্যমে প্যান কার্ড ও আধার কার্ড লিঙ্ক করতে পারবেন আপনি। পোর্টাল খোলার পর ‘Link Aadhaar’-এ ক্লিক করলে, নতুন একটি পেজ খুলে যাবে। সেখানে যথাস্থানে আপনার আধার নম্বর ও প্যান কার্ডের নম্বর ও নাম নথিভুক্ত করুন। পাশাপাশি আধারে যদি জন্মতারিখের উল্লেখ থাকে তাহলে ক্লিক করুন চেক বক্সে। তারপর স্ক্রিনে আসা ক্যাপচা যথাস্থানে লিখে ফেলুন। এছাড়া বেছে নিতে পারেন ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ পদ্ধতিও। তারপর ক্লিক করুন ‘লিঙ্ক আধার’-এ ।

লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার দিন শেষ! রেলের নতুন পরিষেবায় দুর্দান্ত সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : টিকিট কাউন্টারের (Ticket Counter) বাইরে লাইন দেওয়ার দিন শেষ। রেলের অসংরক্ষিত কামরার টিকিট এবার অনলাইনেই। ভারতীয় রেলের টিকিট এখন UTS অ্যাপের মাধ্যমেই লাইনে না দাঁড়িয়েই। গত ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে গোটা দেশে লোকাল ট্রেনের টিকিট (Local Train Ticket) অনলাইনের মাধ্যমে কাটা শুরু হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষকে টিকিট কাউন্টারের সামনে আর লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না।

‘‌UTS’‌ অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারবেন গ্রাহকরা। সাত বছর আগেই এই সুবিধাটি চালু করেছিল রেল (Indian Railway)। কিন্তু তখন মুম্বই ছাড়া সেরকম সফল হয়নি। বর্তমানে রেলের প্রায় প্রতিটি জোনে এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কেনার পরিষেবা চালু রয়েছে। আগে কেবল দূরপাল্লার ট্রেনের জন্য হলেও এখন লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।

এই ‘‌UTS’‌ অ্যাপের মাধ্যমে মান্থলি এবং স্টেশন টিকিটও কাটা যাবে। পাশাপাশি পেমেন্ট করা যাবে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড কিংবা নেট ব্যাকিংয়ের মাধ্যমেও।

শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে প্রায় এক কোটি মানুষ এই অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। প্রতিদিন এই অ্যাপের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টিকিট বিক্রিতে প্রায় কোটি টাকার আয় হয় বলে জানা গিয়েছে।

ভারতীয় রেলের UTS মোবাইল অ্যাপের সুবিধা নিতে গেলে, যাত্রীকে নির্দিষ্ট ষ্টেশন থেকে ৩০ মিটার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে থাকতে হবে। এই দূরত্বেই একসঙ্গে চারটি টিকিট কাটা যাবে। নথিভুক্ত ব্যবহারকারী টিকিট কাটার সুবিধা ছাড়াও, প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটতে পারবেন। মাসিক টিকিটও কাটা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।

কিভাবে অ্যাপটি ব্যবহার করে টিকিট কাটবেন?

প্রথমে এই অ্যাপটিকে Playstore থেকে মোবাইলে ডাউনলোড করুন। তারপর আপনাকে নিজের নাম দিয়ে রেজিস্টার করে মোবাইল নম্বর ও আইডি কার্ড নম্বর দিতে হবে। এরপরেই আপনার মোবাইল নম্বরে একটি OTP আসবে। আপনার আইডি ও পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। এরপর R-wallet-এ আপনাকে টাকা রাখতে হবে অথবা পেমেন্টের আলাদা অপশনও পাবেন। আপনি R-wallet-এ ১০০ টাকা থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখতে পারেন। আপনি এই R-Wallet-এ টাকা ভরতে পারবেন Paytm বা অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে। ক্রেডিটকার্ড ও ডেবিট কার্ড দিয়েও টাকা ভরা যাবে। শুধু তাই নয়, টিকিট কাটলে রয়েছে ক্যাসব্যাকের সুবিধাও।

তবে এই টিকিট কাটার ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলি আপনাকে মনে রাখতে হবে, তাহলো, প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটার সময় আপনাকে প্ল্যাটফর্ম থেকে দু কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে হবে। তাছাড়া টিকিট কাটতে পারবেন না। স্টেশনে ঢুকে যাওয়ার পর কিন্তু আপনি প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটতে পারবেন না।

concessional tickets কাটার ক্ষেত্রে আপনাকে যেদিনের টিকিট সেদিনই কাটতে হবে। এই টিকিট কাটার পর ট্রেনে যাত্রা অবস্থায় টিটি টিকিট দেখতে চাইলে টিটিকে অ্যাপ খুলে দেখিয়ে দিলেই হবে। কোনও কাগজে ছাপানো টিকিটের দরকার হবে না।

একজন ব্যক্তি এই অ্যাপের মাধ্যমে এক সঙ্গে সর্বাধিক চারটির টিকিট কাটতে পারবেন, তার বেশি পারবেন না। আপানার কনফার্ম টিকিটের জন্য একটি PNR নাম্বার থাকবে। মোবাইলে টিকিট কাটার সময় GPS অন থাকতে হবে, আপনার স্টেশন আসার আগে GPS থেকে আপানাকে নোটিফিকেশন পাঠানো হবে।

EVM হ্যাকিং বা কারচুপি কি আদৌ সম্ভব! সিনিয়র ইলেক্টোরাল অফিসার কি জানাচ্ছেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা হোক অথবা বিধানসভা, উপনির্বাচন বা নির্বাচন, বিরোধীরা অনেক ক্ষেত্রেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলেন, ওঠে নানান প্রশ্ন। যেমনটা হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের পর। এমনকি এই অভিযোগে বারবার বিরোধীরা এই ইভিএম নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থও হয়। এত এত বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে সাধারণ ভোটদাতাদের মধ্যেও ওঠে নানান প্রশ্ন। তাহলে কি!

সত্যিই কি ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব!

লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ইভিএমের কারচুপি নিয়ে সর্বভারতীয় একটি সংবাদপত্রে সিনিয়র ইলেক্টোরাল অফিসার নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। রণবীর সিং নামে ওই ইলেক্টোরাল অফিসার জানিয়েছেন, “ইভিএম একেবারে স্বচ্ছ ব্যবস্থা, এখানে কারচুপির কোন সুযোগ থাকে না। ইভিএম ম্যানিপুলেশন অথবা হ্যাকিং করাও সম্ভব নয়। কারণ ইভিএমের সাথে বহির্বিশ্বের কোনরকম যোগাযোগ থাকে না। এমনকি ইভিএমের সাথে ব্লুটুথ, ইন্টারনেট অথবা ওয়াইফাই-এর মত কোন সংযোগ থাকে না। যার অর্থ কোনোভাবেই বাইরে থেকে ইভিএমকে প্রভাবিত করা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “ইভিএমের মধ্যে থাকে ওয়ান টাইম প্রোগ্রামেবেল চিপ। ইসিআইএল ও ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ইভিএম তৈরি করে থাকে। শুধু তাই নয় ইভিএম তৈরির সময় দেশের সর্বোচ্চ প্রটোকোল সুরক্ষা থাকে, যাতে করে গোলমাল পাকানোর কোন সুযোগই থাকে না।”

এছাড়াও ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর ইভিএমকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে স্ট্রং রুমে রাখা হয়। সেই নিরাপত্তা বলয় লংঘন করেও কেউ যদি ইভিএমে কারচুপি করতে চাই, তখন ইভিএম তার প্রযুক্তি অনুযায়ী খুব জোরে কাঁপতে থাকে। আর তারপরেই ইভিএম এর সুইচ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ওই সিনিয়র ইলেক্টোরাল অফিসার রণবীর সিং। তাই তিনি দাবি করেছেন কোনভাবেই ইভিএম হ্যাকিং অথবা কারচুপি করা সম্ভব নয়।

যদিও এর পরেও বিরোধীদের ইভিএম বদলানোর প্রসঙ্গ তুলেও কমিশন এবং শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে। বিরোধীদের ইভিএমের জালিয়াতির অভিযোগ রুখতে ভিভিপ্যাটের ব্যবস্থা আসে গত লোকসভা নির্বাচনে। গণনার ক্ষেত্রে কমিশনের নিয়ম অনুসারে লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া পাঁচটি বুথের ভিভিপ্যাট গণনার ব্যবস্থাও হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপানো হলুদ ও নীল পোশাকের দুই পোলিং অফিসার

নিজস্ব প্রতিবেদন : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজনৈতিক হানাহানি, ঝামেলা ঝঞ্ঝাট, প্রচারে একে অপরকে আক্রমণ, বাংলাতে স্বাধীনতার পর ৩২৪ ধারার প্রয়োগ, এসব ছাড়াও এক্কেবারে আলাদা এক মুহূর্ত তৈরি করেছে। নির্বাচনে ভোটপ্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করে থাকেন বহু তারকারাই, কিন্তু ভোটের কাজ করতে এসে রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠার মতো ঘটনা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে দুই মহিলা ভোট কর্মীর ক্ষেত্রে।

ভোটের ডিউটি করতে এসে রাতারাতি প্রচারের আলোই দুই মহিলা। এই দুই মহিলার ছবি রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

একজনের পরনে হলুদ শাড়ি, স্লিভলেস ব্লাউজ, হাতে ইভিএম আর অন্যজন নীল ড্রেস, ফ্যাশনেবল চশমা, সাথে পোলিং ইউনিট। হলুদ শাড়ি পরা ওই ভোট কর্মীর নাম রিনা দ্বিবেদী, তিনি লখনউয়ের বাসিন্দা। অন্যদিকে নীল ড্রেসের ওই ভোটকর্মী হলেন যোগেশ্বরী গোহিতে, ভোপালের বাসিন্দা।

রিনা দ্বিবেদী উত্তরপ্রদেশে পি.ডব্লিউ.ডি.তে কর্মরত। এর আগেও তিনি দুইবার ভোটের ডিউটি করেছেন। তবে এবার স্মার্টফোনে তোলা একটি ছবিতে রাতারাতি ফেমাস তিনি। পঞ্চম দফার নির্বাচনের পরে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। এবারের নির্বাচন নিয়ে তার ভোটের ডিউটি পড়েছিল লখনৌতে, তবে তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি কৌতুহল হিমাচল প্রদেশে। গুগল সার্চে ইতিমধ্যে রিনার ছবি ট্রেন্ডিং YELLOWSAREEPOLLINGOFFICER নামে। শুধু পেশাগত জীবন নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি বেশ ফ্যাশনেবল। তারকা রূপে নিজের ছবি রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় বেশ খুশি তিনি। এই পোলিং অফিসারের ফ্যাশনে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল যোগেশ্বরী গোহিতের ছবিও।

তিনি একজন কানারা ব্যাঙ্কের কর্মী। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তার ডিউটি পড়েছিল ভোপালের গোবিন্দপুরের আইআইটিতে।

BLUEDRESSPOLLINGOFFICER নামে গুগল সার্চে ট্রেন্ডিং তার ছবি। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন শুধু তার ডিউটির ছবি ভাইরাল হয়েছে তাই নয়, সাথে সাথে তার ব্যক্তিগত জীবনেরও দুটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারকা রূপে নিজের ছবি ভাইরালের খবর জানতে পেরেই বেজায় খুশি তিনিও।

কিভাবে হবে ভোট গণনা! জেনে নিন খুঁটিনাটি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক উৎসব প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের লড়াই শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের ১১ ই এপ্রিল। মোট ৭টি দফায় ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ১৯ শে মে। ২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনের গণনা ২৩ মে। সেদিন সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হবে।

আর মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা আর তারপরই দেশের রাজনীতির সাথে সাথে বঙ্গ রাজনীতির গোটা অঙ্কের হিসাব পাওয়া যাবে। কার হবে জয়, কার হবে হার তা জানা যাবে আগামীকাল অর্থাৎ ২৩ শে মে। ভোটের ফল কী হবে তা জানতে আমরা আগ্রহী ঠিকই। কিন্তু কিভাবে ভোট গণনা হয় বা ভোটগণনার পদ্ধতি কী তা কি আমরা জানি? অধিকাংশের উত্তরই হয়তো না হবে। তাহলে আসুন একঝলকে দেখে নেওয়া যাক ভোটগণনার খুঁটিনাটি।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দেশের ৫৪৩ টি কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে মোট পাঁচটি পদ্ধতিতে। প্রথমেই গণনা করা হবে পোস্টাল ব্যালটের। অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে গণনা হবে পোস্টাল ব্যালটের। পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে ৫৮ দিন গণনা কেন্দ্রে।

তারপর গণনা হবে সার্ভিস ভোটারদের ভোট। তিনটি খামের ভিতর থাকবে পোস্টাল ব্যালট। প্রথমেই খোলা হবে একেবারেই প্রথমের খাম, তারপর দ্বিতীয় খাম, যেখানে থাকবে সার্ভিস ভোটের ডিক্লেয়ারেশন। তারপর তৃতীয় খামে থাকবে পোস্টাল ব্যালট। এই খামের ভেতর পোস্টাল ব্যালটের সঙ্গে থাকবে কিউআর কোড। এই কোডকে স্ক্যান করা হবে। যদি স্ক্যান মিলে যায় তবেই এই ভোট গণনা করা হবে।

এরপর গণনা হবে ইভিএম। গণনা কেন্দ্রে থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। এরপরই ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসা হবে স্ট্রং রুম থেকে। প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্র যার ভিতর কাউন্টিং হল থাকবে সেখানে সাতটি বিধানসভায় প্রায় ১৪টি টেবিল ১৫ থেকে ১৬ রাউন্ড। এভাবেই কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা করা হবে। দেখা যায় যদি কোনো কন্ট্রোল ইউনিট বিগড়ে যায় তাহলে সেই কন্ট্রোল ইউনিটের ভিভিপ্যাট গণনা করা হবে।

কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা শেষেই শুরু হবে ভিভিপ্যাটের গণনা। লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে পাঁচটি করে ভিভিপ্যাট বেছে নেওয়া হবে। যাদের আনা হবে স্ট্রং রুম। তারপর সেগুলি একসাথে গণনা হবে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বিধানসভার গণনা করতে সময় লাগতে পারে আনুমানিক ২ ঘন্টা।

প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা। স্ট্রং রুমে থাকবে প্যারা মিলিটারি ফোর্স। এক প্লাটুনের কিছু বেশি সংখ্যায় থাকবে এই বাহিনী। স্ট্রং রুমের লাগোয়া থাকবে কাউন্টিং হল। কাউন্টিং হলের ভেতর থাকবে সিএপিএফ। কাউন্টিং হলের বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। তার বাইরে থাকবে কেবলমাত্র সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। এই জায়গা থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকবে পেদেস্ট্রিয়ান জোন। যেখানে থাকবেন পুলিশ আধিকারিক ও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকরা। গণনাকেন্দ্র চত্বরে সমস্ত রকম গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারবেন। বাইরে ১৪৪ ধারা থাকবে গণনার দিন সকাল থেকেই। দেশের সমস্ত গণনাকেন্দ্রে একই নিয়ম লাগু থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে কোন রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে কড়া নজর থাকবে কমিশনের।

প্রতিটি রাউন্ডের গণনা শেষ হলেই রিটার্নিং অফিসার সেই ফলাফল যোগ করে লিখে দিবেন একটি বোর্ডে। অন্যদিকে মাইকিং করেও বাইরে ঘোষণা করা হবে।

ঘোষণা শেষ হওয়ার পরই দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য স্ট্রং রুম থেকে নতুন কন্ট্রোল ইউনিট আনা হবে কাউন্টিং হলের ভিতর।

ভোটের কর্মীদের ভোটগণনার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বাছাই হয়। গণনার একসপ্তাহ আগে তাদের একটি গণনা কেন্দ্রের জন্য তাদের নির্বাচিত করা হয়। তারপর চলে তাদের প্রশিক্ষণ। কোন গণনা কেন্দ্রের জন্য একজন ভোট কর্মীকে সেখানে পাঠানো হবে তা তিনি গণনার ২৪ ঘন্টা আগে জানতে পারবেন।

ভোটগণনার দিন সকাল ৫ টায় ভোটকর্মীদের টেবিল দেওয়া হয়। প্রত্যেক গণনা টেবিলে থাকবে একজন করে সুপারভাইজার। এছাড়াও থাকবেন একজন সহকারী এবং একজন মাইক্রো অবজার্ভার।

প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনার জন্য থাকবেন একজন করে পর্যবেক্ষক। তারা রিপোর্ট দিবেন নির্বাচন কমিশনে। প্রতি রাউন্ড গণনা শেষে, পর্যবেক্ষকরা ফল মূল্যায়নের জন্য যেকোনও ২ টি ভোটিং যন্ত্র বেছে নেন। প্রত্যেক রাউন্ডের পর ভোট গণনার কার্যপ্রণালী একাধিক বার পরীক্ষা করার পর কমিশনে জানান। এরপর তারা ভোট কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টারে সাধারনের জন্য ফলের প্রবণতা জানাতে থাকেন। গণনার শেষে সংখ্যাগুলি ৩ বার করে পরীক্ষা করেন পর্যবেক্ষকরা, এবং প্রত্যেক টেবিলের ভোটগণনার কর্মীকে যাচাই করার পর রিটার্নিং অফিসারকে ফল ঘোষণা করতে বলা হয়।

পর্যবেক্ষকরা ছাড়া গণনাকেন্দ্রের ভিতর অন্য কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারেন না। ভোটগণনা চলাকালীন কোনও ভোট কর্মী সেখান থেকে বেরোতে বা ঢুকতে পারবেন না।

ভোটার কার্ড না থাকলেও ভোট দেওয়া যায়। জেনে নিন কিভাবে

দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন ২০১৯। ভারতবর্ষে একটি নির্বাচন যেন উৎসবের মতো, যে নির্বাচন উৎসবকে কেন্দ্র করে মেতে ওঠেন আপামর জনতার। আবার এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই দেখা যায় সংঘর্ষ, বাদানুবাদ, নানান মতানৈক্য। তবে সে যাই হোক, নির্বাচনের মতো উৎসবকে কেউ কখনো মিস করতে চান না। কিন্তু তা সত্ত্বেও উপযুক্ত পরিচয় পত্রের অভাবে অনেক সাধারণ ভোটদাতাকে দূরে থাকতে হয় বুথে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে। ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভোটার লিস্টে আপনার নাম থাকা। যদি নাম না থাকে তাহলে আপনি কখোনোই ভোটদানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভোটার লিস্টের নাম রয়েছে অথচ ভোটার কার্ড কাজের সময় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে কি আপনি আপনার মতামত বা ভোটাধিকার নির্বাচনে পেশ করতে পারবেন না!

এই বড় সমস্যা সমাধানের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই দেখি দীর্ঘদিন ধরে ভোটার কার্ড এখানে ওখানে রেখে দেওয়ার ফলে কাজের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা দূর করার জন্য নির্বাচন কমিশন নিয়ে এসেছে তাদের নতুন নির্দেশিকা। যে নির্দেশিকা অনুসারে আপনার হাতের কাছে ভোটার কার্ড না থাকলেও আপনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অবশ্য সে জন্য লাগবে আপনার সচিত্র পরিচয় পত্র। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন কোন কোন সচিত্র পরিচয় পত্র নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের পরিবর্তে বিকল্প নথিপত্র পেশ করেও ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের পরিবর্তে চিত্র সম্বলিত পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, কর্মক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দেওয়া সচিত্র পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের ছবি সম্বলিত পাসবুক, প্যান কার্ড, এমজিনারেগা’র জব কার্ড, স্বাস্থ্য বিমা সংক্রান্ত স্মার্ট কার্ড, সাংসদ, বিধায়ক এবং বিধান পরিষদের সদস্যদের প্রদেয় সরকারি সচিত্র পরিচয়পত্র এবং আধার কার্ড পেশ করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে
। তবে এসবের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন ভোটার লিস্টে আপনার নাম থাকার পরই আপনি আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানলে চমকে যাবেন

বাপ্পাদিত্য পাল : ভারতীয় রাজনীতিবিদরা সবাই অশিক্ষিত যেমন নন ঠিক অন্যদিকে শিক্ষিত না হয়েও ভারতের বিভিন্ন বড় বড় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন কিছু অশিক্ষিত রাজনীতিবিদরা। কিন্তু শিক্ষিত না হয়েও তাদের কর্ম যোগ্যতা গুণে সারা দেশজুড়ে তারা এক বিপুল প্রভাব বিস্তার করে গেছেন। আজ আমরা সেই রকমই কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করব যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিম্নমানের হলেও ভারতীয় রাজনীতিতে তাদের প্রভাব ছিল অপরিসীম।

রাবড়ি দেবী – ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও এক সময় তিনি ছিলেন বিহারের শেষ কথা অর্থাৎ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তার পুরো নাম রাবড়ি দেবী যাদব। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ভারতীয় জনতা দলের রাজনৈতিক সদস্য এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনটি দায়িত্বপূর্ণ পালন করেছিলেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী হওয়ার কারণে তার প্রভাব আজও অপরিসীম এবং তিনি বর্তমানে বিহার আইন পরিষদের বিরোধী দলের নেত্রী।

ফুলনদেবী : ফুলনদেবী তথা ‘বন্দিত রানী’ নামে পরিচিত এই ভারতীয় সংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল শূন্য। প্রচন্ড আর্থিক অনটনের কারণে তিনি কোন দিন স্কুলে পা দেননি। উত্তর প্রদেশের একটি দরিদ্র পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং প্রচন্ড দারিদ্রতার জন্য অপরাধজগতের নাম লেখিয়ে ফেলেন তিনি। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে প্রায় ১১ বছর কারাগারে কাটিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে মুলায়ম সিং যাদবের নেতৃত্বাধীন সরকার তার বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় এবং মুক্তি পান ফুলন দেবী। পরে তিনি মীরসর পুরের লোকসভার সাংসদ হিসেবে দুবার নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে এমপি বাংলোর মধ্যেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু তার সমর্থকরা তার মৃত্যুর পর তার প্রতিপক্ষকে বোমা হামলায় খুন করে।

বিজয়কান্ত : পরিবারের প্রচন্ড আর্থিক অনটনের কারণে স্কুলে পা রাখতে পারেননি। তিনি প্রথম থেকেই বাবার সাথে সালের মিলে কাজ করতে বাধ্য হন। এই অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ বিজয়কান্তকে ২০১১ সালে তামিলনাড়ু একটি নির্বাচনী আসন থেকে জিতেছিলেন তিনি।

গোলামা বিবি : মিনা সম্প্রদায় নেতা কিরোরি লাল মিনার স্ত্রী হওয়ার কারণে একজন বিধায়ক হয়ে ওঠেন তিনি। এতটাই অশিক্ষিত ছিলেন যে নিজের শপথ অনুষ্ঠানে নিজের শপথ নিতে পারেননি।

জাফের শরীফ : একজন চালক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীকালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং পরবর্তীকালে রেলমন্ত্রীও। সাবেক এই রেল মন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল শুধুমাত্র মেট্রিকুলেশন।